‘স্কোয়াশ’ চাষে ভাগ্যবদলের চেষ্টা বক্করের 

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘স্কোয়াশ’ চাষে ভাগ্যবদলের চেষ্টা বক্করের 

‘স্কোয়াশ’ চাষে ভাগ্যবদলের চেষ্টা বক্করের 

গাইবান্ধার সদর উপজেলার বাদিয়াখালির রিফাইতপুর (সরকার তারী) গ্রামের বাছের আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। বয়স ৪৫ ছুঁইছুঁই। কয়েক বছর ধরে চাষ করছেন ‘স্কোয়াশ’ শীতকালীন সবজি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। স্কোয়াশ চাষে ভাগ্যবদলের চেষ্টা করছেন আবু বক্কর। 

জানা যায়, ধার-দেনা করে ৫ বছর আগে জীবিকা তাগিদে আবু বক্কর সিদ্দিক পাড়ি দিয়েছিলেন দুবাই। সেখানে নানা বঞ্চনার শিকারে ফিরে আসেন দেশে। এতে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। মোটা অংকের ঋণের ঘানি মাথায় নিয়ে নির্ঘুম রাত পোহাতে হয় তাকে। তবে এই ঋণ পরিশোধে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ফসল উৎপাদনে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন সিদ্দিক। এর মধ্যে সবজি ফসল হিসেবে স্কোয়াশ চাষ শুরু করেন। এ থেকে লাভের মুখ দেখায় হতাশার কমতে থাকে তার।  

বিজ্ঞাপন
শীতকালীন সবজি স্কোয়াশ

সরজমিনে কথা হয় আবু বক্করের সঙ্গে। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের সবজি চাষ করে আসছেন। এর মধ্যে চার বছর যাবত শীতকালীন সবজি হিসেবে চাষ করছেন স্কোয়াশ। এ ফসলটি অধিক লাভজনক হওয়ায় এবারেও দুই বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের স্কোয়াশ রোপণ করেছেন। সম্প্রতি স্কোয়াশ গাছগুলোতে লতাপাতা বের হতে শুরু করেছে। এই গাছে দেখা দিয়েছে থোকা থোকা ফুল ও ফল। আর কিছুদিন পরই ক্ষেত থেকে তুলবেন স্বপ্নের ফসল স্কোয়াশ।  

আবু বক্কর সিদ্দিক বার্তা২৪.কম-কে আরও বলেন, বিঘাপ্রতি জমিতে প্রায় ২ হাজার চারা রোপণ করা যায়। যার উৎপাদনে খরচ হয় ১০-১১ হাজার টাকা। প্রতিটি গাছে ১০-১২ কেজি ফল ধরে। ভালো ফলন হলে প্রায় ৪৫-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব। বর্তমানে এই  আবাদ করে বিদেশ যাওয়ার ঋণ পরিশোধ করেছেন। ফলে তিনি ফিরে পেয়েছেন সোনালী দিনের স্বপ্ন।  

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বীজ রোপণের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফল আসে। ফল দেখতে অনেকটা মিষ্টি কুমড়ার মতো এবং পুষ্টিগুণও রয়েছে। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। অনায়াসে এটি লাভজনক ফসল।