ঝিনাইদহের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে থাকেন না চিকিৎসক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝিনাইদহ
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নেই চিকিৎসক, ছবি: বার্তা২৪.কম

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নেই চিকিৎসক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসক নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত ১২ নভেম্বর ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ৮৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে সদরে ১৫ জন, শৈলকুপায় ১৫ জন, হরিণাকুন্ডুতে ১৫ জন, কালীগঞ্জে ১৬ জন, কোটচাঁদপুরে ৮ জন ও মহেশপুরে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পদায়ন করা হয়েছে।

কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে গ্রামের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার শর্ত দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হলেও মানছে না তারা। এতে করে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।

যোগদানের এক মাস পেরেই গেলেও কেউ কেউ এখনও কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। পুরনোদের পথেই হাঁটছেন নতুন চিকিৎসকরা। পালা করে কর্মস্থলে অফিস করছেন কেউ কেউ। কেউবা আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন।

নিজেদের সুবিধামত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসেন চিকিৎসকরা

ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ভবন থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোন অবকাঠামো নেই এ অজুহাতে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাচ্ছেন না পদায়নকৃতরা। থাকছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোতে। যে কারণে সেবা পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষগুলো। সেই সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শৈলকুপার কচুয়া ও হাটফাজিলপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন পর ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই জন চিকিৎসকের পদায়ন থাকলেও কেউ সেবা দিতে যাননি। পদায়ন থাকলেও তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসছেন। এতে ওই এলাকার মানুষের সেবা নিতে দূরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হচ্ছে।

কচুয়া গ্রামে ব্যবসায়ী শহিদুজ্জামান বলেন, সরকার চিকিৎসা সেবা গ্রামের মানুষের দোরগোরায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সেখানে আসছেন না। এতে আমরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সেই সাথে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যটি মানুষের অগোরচরে রয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন ভবন নেই, তবে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ভবন রয়েছে। সেখানে বসে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে পারেন। তারপরও স্থাপনা নেই এ অজুহাতে গ্রামে আসছেন না চিকিৎসকরা।

একই এলাকার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের জাহিদ হোসেন বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসার স্থান নেই তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ সেখানে চিকিৎক নিয়োগ দিল কিভাবে। নিয়োগ দিলে তারা কেন গ্রামে এসে চিকিৎসা দিবেন না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অরুন কুমার দাস জানান, কালীগঞ্জে ১৩ জন নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ১ জনকে বারোবাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও বাকিদের ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। ইউনিয়নে পদায়নকৃতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করছেন। সেখানে বসার স্থান না থাকার কারণে চিকিৎসকরা যেতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কাজ করতে হবে। কোন অজুহাত চলবে না। যদি এর ব্যাহত ঘটে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;