আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে টুপি কেনার হিড়িক
বিশ্ব ইজতেমা শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) শুরু হয়ে আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এর প্রথম পর্ব। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টায় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শুরু হতে পারে। সকাল থেকেই টঙ্গী ও এর আশেপাশের মানুষ সমবেত হচ্ছেন ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য। এই আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে রাস্তার পাশে টুপির দোকানে ভিড় জমাচ্ছে শত শত মুসল্লি। শুরু হয়েছে টুপি কেনার হিড়িক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইজতেমা সংলগ্ন কামারপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টুপি ও আতর নিয়ে বসেছে ভ্রাম্যমাণ টুপি ব্যবসায়ীরা। কেউবা বাঁশের তৈরি ফ্রেমে টুপি সাজিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘুরছেন মুসল্লিদের ভিড়ে। এসব টুপি ১০ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ১২০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করছেন তারা।
ঢাকার ধামরাই থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন আব্দুর রহমান। তিনিও টুপি কিনতে এসছেন ভ্রাম্যমাণ টুপি বিক্রেতার কাছে। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে আসায় ভুল করে সঙ্গে টুপি আনা হয়নি। তাই টুপি কিনতে আসলাম। ৭০ টাকা দিয়ে একটা টুপি কিনেছি। এখন ইজতেমা ময়দানে গিয়ে আমার বাবা-মার জন্য দোয়া প্রার্থনা করবো।
টুপি কিনতে আসা আহসান নামে আরেকজন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাসা থেকে টুপি ছাড়াই বের হয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি সবার মাথায় টুপি। তাই আগে টুপি কিনে তারপর ইজতেমা ময়দানে গিয়ে মোনাজাতে শরিক হবো।
ভ্রাম্যমাণ টুপি বিক্রেতা মুছা বলেন, ইজতেমার আগের দিন থেকে মোটামুটি ভাল বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল থেকে আজ এখন পর্যন্ত অনেক টুপি বিক্রি করেছি। এবার ইজতেমায় অনেক মুসল্লি এসেছেন। গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। ইজতেমার মতো সারাবছর বিক্রি থাকলে আমাদের আর কষ্ট থাকতো না। খুব ভালো বিক্রি করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।
অপর টুপি বিক্রেতা আসাদুল বলেন, আমাদের শীতের সময় বেশি বেচা-কেনা হয়। শীতের সময় ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়। ওয়াজ মাহফিলের খবর পেলেই আমারা সেখানে টুপি বিক্রি করতে যাই। মোটামুটি বিক্রি ভালই হয়। আর সারাবছর ইজতেমার আশায় বসে থাকি। ইজতেমায় ভালো বিক্রি হলেই বউ পোলাপানের জন্য ভালো খাবার, কাপড় ও ব্যবসার পুঁজি বাড়ে। সারাবছর খেয়ে-পরে চলতে পারলেও ইজতেমায় আল্লাহর রহমতে কিছু সঞ্চয় করা যায়।