আশুলিয়ায় তিন দিনে শিশুসহ ধর্ষণের শিকার ৩
সাভারের আশুলিয়ায় গত তিন দিনে পৃথক স্থানে ২ শিশু ও ১ পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও ঘোষবাগ এলাকায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ। তবে বাকি ঘটনার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
আটকরা হলেন, আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার আলহাজ (৫৫), অপরজন পটুয়াখালী জেলার দশমিনা সদর থানার আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৪। তিনি ঘোষবাগ এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক তরুনীর খালাতো বোনের দেবর এবং একই এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে হামিম গ্রুপে কাজ করতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী আলহাজকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে অপর ঘটনায় আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় স্থানীয় নাসা গ্রুপ নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিককে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর খালাতো বোনের দেবরকে গ্রেফতার করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান জানান, গত (১১ জানুয়ারি) শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় বাড়ির পাশের একটি মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলছিলো ভুক্তভোগী শিশু। এসময় প্রতিবেশী আলহাজ নামের এক ব্যক্তি কৌশলে শিশুটিকে মাঠের এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটি চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে এসে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুর পরিবার রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। পরবর্তীতে মামলা দায়েরের পর সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় নাসা গ্রুপ নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর পদে কাজ করেন। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ইকবাল হোসেন ও তার খালাতো বোন ঘোষবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন।
তিনি আরো জানান, গত ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী তৃতীয় তলায় তার খালাতো বোনের কক্ষে যান। এসময় কক্ষে তার খালাতো বোনের দেবর ইকবাল ছাড়া কেউ ছিলো না। পরে ওই নারীকে একা পেয়ে তার হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বখাটে ইকবাল। এঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ইকবালকে ঘোষবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অপর দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, শনিবার বিকেলে জিরাবো এলাকায় বাসার পাশে একটি মাঠে খেলছিলো ভুক্তভোগী শিশু। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে শিশুটি বমি করতে থাকলে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি জানান তার পরিবারকে। এরপর সোমবার সকালে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
এঘটনায় আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ রিজাউল হক দীপু বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
এদিকে গত ৩ জানুয়ারি ধামরাইয়ের ধর্ষণের ঘটনায় মুল এজাহার নামীয় আসামী মো. সোহেল রানা বাবুকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে শ্রীপুর থানার তেলীহাটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সোহেল রানা মানিকগঞ্জ সদর থানার বাড়ারিয়া উত্তর পাড়া গ্রামের আহাদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিপিসি-২ র্যাব -৪ এর নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা।