ফুলছড়িতে প্রতিবন্ধীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার আলো

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এখানে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পড়ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

এখানে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পড়ছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন একদল শিক্ষক। এতে আশার আলো দেখছেন এসব শিশুদের অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গুণভরি এলাকার মধ্য উড়িয়া গ্রামে অবস্থিত আসাদ উলদৌলা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে পাঠদানকালে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

এখানে প্রায় শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি ও অংক লিখতে-পড়তে পারে। আর এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন তাদের অভিভাবকরাও।

অভিভাবকরাও বিদ্যালয়ে এসেছেন এসব শিশুদের সঙ্গে

২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ওই এলাকার আসাদ উল দৌলা মাস্টার। বর্তমানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১১৩ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান করাচ্ছেন ১১ জন শিক্ষক। প্রতিবন্ধীরা পরিবার ও সমাজের বোঝা নয়, সবার মাঝে এমন ধারণা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর শিক্ষকরা। ফলে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে শেখানো হচ্ছে খেলাধুলা, নাচ, গানসহ নানা ধরনের বিনোদন।

বিজ্ঞাপন

স্কুলের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ চার বছর যাবত নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। যদিও এর ফলশ্রুতিতে এখনও পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি স্কুলটি। বিনা বেতনেই কাজ করছি আমরা। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এমন উদ্যোগ চলমান রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শিক্ষকরা নিজ অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করাচ্ছেন

অভিভাবক মর্জিনা বেগম জানান, তার সন্তান স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারতো না। ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি করার পর এখন সকল বাক্য সঠিকভাবে বলতে পারছে।

আসাদ উল দৌলা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মওদুদ হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবন্ধীদের পাঠদান দেওয়া অনেক কষ্টকর ব্যাপার। প্রতিকূলতা স্বত্বেও আমরা তাদের শিক্ষাদানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু রায়হান দোলন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ উপজেলার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সমাজসেবা বিভাগের আওতায় মনিটরিং চলছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদানের অনুমতি ও এমপিও আবেদন প্রক্রিয়া চলছে।