বিএনপির জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বর্জন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে গঠিত কমিশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন কমিশনারদের কুশপুতুল দাহ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত নির্বাচনেও বর্তমান ইসি কমিশন বিতর্কিত অবস্থান নিয়েছিলো। সে সময়ে আমাদের প্রার্থীদের ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবারও একই ব্যক্তিদের ইসি কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় বিএনপির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীরাও এর প্রতিবাদ করেছে। সুতরাং এই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আদালতের অতিরিক্ত পিপি, জিপি ও ভিপিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীনদের অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে জোড়পূর্বক ফলাফল নিয়ে যেতে চায় তারা। এছাড়া সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের পরিচিতি সভাতেও তারা অংশ নিয়েছে। আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক বেয়াইনি কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ নির্বাচনের ২ দিন পূর্বে তারা ভেন্যু পরিবর্তন করেছে যার কোন এখতিয়ার কমিশনের নেই। আমরা এর পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করলেও আমাদের অপদস্ত করা হয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছে। সকল দিক বিবেচনায় আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে যাবার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এবং একই সাথে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে এই অবাঞ্ছিত কমিশনার সরিয়ে নতুন করে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী নেতা এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী ভুঁইয়া, এডভোকেট বারী ভুঁইয়া, এডভোকেট জাকির হোসেন, এডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর, এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, এডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু, এডভোকেট আজিজ আল মামুন, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন সহ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন কমিশনারদের কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী ও আইনজীবীরা। পরে নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আদালত জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।