সোনার বার জব্দ, আটকদের চোখ বাঁধায় সমালোচনা
যশোরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ৩০টি সোনার বারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই দুই আসামিকে ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে হাত ও চোখ বেঁধে বসিয়ে রাখার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া ভাঙ্গার মোড় এলাকা থেকে ইকবাল হোসেন (৩৪) ও ওমর ফারুক (৩৪) নামের দুজনকে আটক করা হয়।
বিকালে ৪৯ বিজিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হয়। সেখানে স্বর্ণ উদ্ধার ও গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। এসময় সোনার বারসহ আটক দুজনের চোখ কালো কাপড় দিয়ে এবং দুই হাত পেছন থেকে বেঁধে বিজিবির যশোর কার্যালয়ে রাখার চিত্রটি সাংবাদিকরা দেখতে পান। সেই ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় দাফতরিক মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে দুই আসামির চোখ ও হাত বাঁধা হতে পারে। তবে নির্যাতন করা হয়নি।
দুপুরে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বেনাপোল বিওপির নায়েক মো. নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৩০টি সোনার বারসহ ইকবাল হোসেন ও ওমর ফারুককে আটক করেন। উদ্ধার করা বারগুলোর ওজন তিন কেজি ৪৯৮ গ্রাম। যার মূল্য আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০ টাকা। আটক ইকবালের বাবার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক ও ওমরের বাবার নাম আজিজুর রহমান। তাদের উভয়ের বাড়ি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া গ্রামে।