জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিশু রাইসা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, যশোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ের কোলে শিশু রাইসা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মায়ের কোলে শিশু রাইসা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

রাইসা খাতুন বাঁচতে চায়! লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার স্বপ্নটা ফিকে হয়ে গেছে তার। যে বয়সে শিশুরা হৈ-হুল্লোড় করে মাতিয়ে রাখে সারা বাড়ি; সেই বয়সেই চুপটি করে বিছানায় শুয়ে দিন পার করতে হচ্ছে রাইসার। মরণব্যাধি নানা রোগে জর্জরিত রাইসা।

রাইসার বয়স মাত্র সাত। কিন্তু মাত্র এই সাত বছরেই জীবনে লিভার নষ্ট, প্রস্রাবের নালীতে সংক্রমণ হওয়ায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সে। দরিদ্র পিতা-মাতার একমাত্র মেয়ে রাইসার চোখে চরম হতাশা। হতদরিদ্র পিতা-মাতা চেয়ে আছেন বিত্তবানদের দিকে।

বিজ্ঞাপন

সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মশিয়ার রহমান ও রেবেকা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান রাইসা খাতুন। সেখানেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো রাইসা। অসুস্থ হওয়াতে একমাত্র মেয়েকে চিকিৎসা ও জীবিকার তাগিদে তারা এখন যশোর শহরের কারবালা বামনপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মেয়ের চিকিৎসা আর সংসার চালাতে মশিয়ার এখন সবজি দোকানের বিক্রয়কর্মী ও মা রেবেকা বেগম শহরের একটি ছাত্রাবাসে রান্নার কাজ করেন।

রাইসার মা রেবেকা বেগম জানান, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। রাইসার বয়স যখন ৩, তখনই জানা জানা যায় তার শরীরের বাসা বেঁধেছে নানা সংক্রামণ রোগ। প্রথম দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করালে অবস্থার অবনতি হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া রাইসাকে বাঁচানোর অন্য কোন উপায় নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে নিয়ে যেতে হবে। তার চিকিৎসার জন্য ৬-৭ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সমাজের দানবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা-সহমর্মিতা ও ভালবাসা পেলে আবারও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে রাইসা খাতুন-এমনটা আশা করছেন তার মা রেবেকা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, মেয়েকে বাঁচাতে এখন দরকার প্রচুর অর্থের। একার পক্ষে এ চিকিৎসা ব্যয় বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই একমাত্র মেয়ের চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তবান, হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গসহ সকল স্তরের মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। মানুষ মানুষের জন্য-সেই অর্থে রাইসাকে বাঁচাতে হবে। সামর্থ্যানুযায়ী এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তা না হলে সত্যিই একটা সম্ভাবনা চিরতরে হারিয়ে যাবে।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-রাইসার বাবা মশিয়ার রহমান। নিজস্ব বিকাশ নাম্বার ০১৭৫৪-৪৩১৩৫৬।