পীরের আস্তানায় পুলিশের ওপর হামলা, আটক ২২
বগুড়ায় কথিত এক পীরের আস্তানায় চলা ওরস মাহফিল বন্ধ করার কথা বলে মারপিটের শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পীরের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিল নুরুল ইসলাম নুরুসহ ওই পীরের ২২ মুরিদকে আটক করেছে।
বুধবার (২৫ মার্চ) রাতে বগুড়া শহরের গোয়ালগাড়িতে শাহসুফি আলহাজ্ব হজরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতী (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে পীরের আস্তানায় বার্ষিক ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ মুরিদেরা আসতে শুরু করেন। সেখানে গরু জবাই করে রান্নার আয়োজনও করা হয়। এমতাবস্থায় ওরস মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী-পুরুষরা সম্মিলিতভাবে জিকির শুরু করে। এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত ৯টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কথা বলে ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। এতে পীরের অনুসারীরা দুই পুলিশকে তাদের আস্তানায় আটকে রেখে বেদম মারপিট করে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের আস্তানা সংলগ্ন একটি চারতলা বাসভবনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মুরিদরা। পরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী হ্যান্ডমাইকে তাদেরকে আত্মসমর্পনের আহবান জানায়। পরে রাত ১০টার দিকে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু বের হয়ে আসেন।পরে পুলিশ পীরের অনুসারী ২২ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ২২ জনসহ জড়িত অন্যদের নামে মামলা দায়ের করা হবে।