বই মেলায় অলীন বাসারের ‘পেটুক শিয়াল’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বই মেলায় অলীন বাসারের পেটুক শিয়াল

বই মেলায় অলীন বাসারের পেটুক শিয়াল

ক্ষুদে লেখক অলীন বাসারের ‘পেটুক শিয়াল’ বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। এটি তার দশম বই হিসেবে বাজারে এলো।

২০১৫ সালে যখন প্রথম বই প্রকাশ হয়েছিল তখন সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইগুলোতে ১২০টার বেশি গল্প ছাপা হয়েছে। প্রতিনিয়ত গল্পের বিষয়, ভাষা আর বাক্যের গঠনশৈলী পরিবর্তন হচ্ছে। উন্নত হচ্ছে তার ভাব। ছোট গল্পের সাথে এখন লিখছে বড় গল্পও। করোনাকালে লিখে ফেলেছে গোটা সাতেক কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস। মাঝে মাঝে লিখছেন কবিতাও। লেখা আর পড়া এখন তার নেশা, শখ, বিনোদন- সব। স্কুলের নিয়মিত পড়ার পাশাপাশি এসব চলছে সমানতালে।

বিজ্ঞাপন

এবার প্রকাশ হয়েছে ‘পেটুক শিয়াল’। পেটুক শিয়াল বই এ গল্প আছে ছয়টা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শেহরীন আহমেদ ইরিনা। একাদশ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইরিনা মন দিয়ে ছবিগুলো এঁকেছেন। ইরিনার সাথে বইয়ের ভেতরে অলংকরণ করেছেন তাওছিফ চৌধুরী। সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে অলংকরণ করা হয়েছে। পুরোটা চাররঙের ২৪ পৃষ্ঠার বইয়ের দাম ১৩৫ টাকা। প্রকাশ করেছে ঘাসফড়িং প্রকাশন। সুন্দর সহজ ভাষায় লেখা গল্পগুলো পড়তে আগ্রহী করবে শিশুদের। ভালো লাগবে বড়দের পড়তেও। দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাকে গল্প বলতে বলতে তুলে ধরা হয়েছে।

গতবছর দুটো বই প্রকাশ হয়েছিল। পাঞ্জেরী প্রকাশনী থেকে কালো ঘোড়া। আর ঘাসফড়িং থেকে বাঘের গর্জন। প্রতিটা গল্পই আলাদা আলাদা মেজাজের। ভিন্ন ধরনের কিন্তু মজার। পুরোটা চাররঙের এই বইয়ের দাম ১৩৫ টাকা।

বিজ্ঞাপন
অলীন বাসারের দশ বই

অলীন বাসারের অন্য বইগুলো হলো, বিড়াল পণ্ডিত (ঘাসফড়িং ২০১৯), গোরস্তানে বিয়ে (সাম্প্রতিক ২০১৯), পালোয়ানের হার (ঘাসফড়িং, ২০১৮), ভূতের টিউশনি (জ্ঞান বিতান, ২০১৮), ভুতুম (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন, ২০১৭), ভুতুড়ে (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন, ২০১৬), অন্ধকারে ভূতের ছায়া (সাঁকোবাড়ি প্রকাশন, ২০১৫)। ভূতের টিউশনি, ভুতুম, ভুতুড়ে, অন্ধকারে ভূতের ছায়া প্রকাশ হওয়ার পরের বছরই প্রথম সংস্করণ শেষ হয়।

অলীন বাসার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ২০০৭ সালের ২২ মে সাতক্ষীরার পলাশপোলে জন্ম। সেই ছোটবেলা থেকেই তার লেখা আর পড়া অন্যতম কাজ। খেলাতেও পিছিয়ে নেই।

গল্প শুনতে শুনতেই তার গল্প লেখা শুরু। লিখতে অলসতা নেই। সেই ছোট বেলায় পড়া শেষ করেছে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদার ঝুলি। সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায় ইত্যাদি।

এখন আনিসুল হক, হুমায়ুন আহমদ, জাফর ইকবাল, রকিব হাসানের বই তার প্রিয়। শীর্ষেন্দু মুখপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর বই একই সাথে পড়ে। অনুবাদ পড়ে সমান আগ্রহ নিয়ে। অনুবাদ পড়ায় তার তালিকায় আছে আর্থার কোনাল ডয়েল এল শার্লকস হোমস, মেরী শেলি এর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, চালর্স ডিকেন্স এর অলিভার টুইস্ট, ব্রাহাম স্টোকার এর ড্রাকুলা, জুল ভার্ন এর ‘এ জার্নি টু দ্যা সেন্টার অব দ্যা আর্থ, ভিক্টর হুগো এর দ্যাম ম্যান হু লাভস, আগা থা ক্রিস্টি’র থ্রি ব্লাইন্ড মাইস, মার্ক টোয়েন এর ভিখিরি ও রাজপুত্র। এসব লেখকের বাংলা অনুবাদ অন্য বইও তার পড়া।

এছাড়া এলেজান্ডার ড্যুামো, লিমেন র‌্যাঙ্ক বোম, রবার্ট লুইস স্টিভেন সন, , ড্যানিয়েল ডিফো, হাওয়ার্ড পাইল এর বই পড়েছে। করোনায় ঘরবন্দী থেকে এসব লেখক তার আরও কাছের হয়ে উঠছে।