আনকাবূত: বৈচিত্র্যময় দৃশ্যপটের অংকন



শাহাদাত জামান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আনকাবূত’ কাব্যগ্রন্থের কবিতায় নিখুঁত ভাস্করের মতো পাথর কেটে অপরূপ সুন্দর মূর্তি নির্মাণ করেছেন কবি আদিল মাহমুদ। সেই সাথে ভাব, ভাষা, বিষয় ও প্রকাশ-নৈপুণ্যের দিক দিয়ে এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উজ্জ্বল কবি মনে হয়েছে তাকে। কাব্যের বিভিন্ন রূপরীতি ও প্রকরণে তিনি তার বৈচিত্র্যময় অবদানে বাংলা কাব্যের ভান্ডারকে সুসমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছেন বলে বুঝা যাচ্ছে। এজন্য গদ্য-পদ্য উভয় রীতিতে তিনি পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন তার কাব্যগ্রন্থে।

কবিতায় আদিল মাহমুদের শব্দচয়নের বৈচিত্র্য, উপমার ঔজ্জ্বল্য আর ছন্দোত্থিত সংগীতময়তা অভিনব ও তুলনারহিত। ভাবের দোলায় নৃত্যচপল ভঙ্গিতে সুর ও সঙ্গীতের টানে শব্দের মিছিল দেখেছি তার কবিতায়। আনকাবূতে তিনি সহজ সুন্দর সাবলীল ভাষায় বৈচিত্র্যময় দৃশ্যপট অংকন করেছেন একের পর এক। প্রেমের কবিতায় প্রথাগত আবেগকাতরতা পরিহার করে জ্বলজ্বলে পাড় খুলে কেবল সুন্দরের ছবি এঁকেছেন। কেননা সৌন্দর্যই প্রেমের সবচেয়ে প্রধান উদ্দীপক, শিল্পের প্রধান আরাধ্য। কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো—

১. ধ্রুপদী মরণ দেশে তুমি জীয়নকাঠি/তোমার পরশ পেলেই আমি নতুন জীবনে জেগে ওঠি। [পরশ]

২. সর্বনাশ জেনেও দেহ সঁপে/ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু দিয়ে/রূহ নিয়ে পালিয়েছে মেয়ে। [রূহ নিয়ে পালিয়েছে মেয়ে]

৩. পৃথিবী থেকে পবিত্রশুচিতায় শুভ্র প্রেম হারিয়ে গেছে/মানুষ মানুষকে ভালোবাসতে ভুলে গেছে। [মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে]

৪. প্রেমের ধর্ম স্থায়ীত্ব, কিন্তু বিবর্তন হয়ে যায়/যেমনটা আমার চাঁদমুখের ক্ষেত্রে হয়েছে। [ চাঁদমুখ]

৫. আমি আর তুমি মুখোমুখি হলে/প্রেম হাতছানি দেয় চোখে চোখে। [প্রেমের গন্ধ পেলে]

৬. তোকে জড়িয়ে আলোকময় হোক জীবন/আমাকে জ্বালিয়ে দে, পুড়িয়ে দে/অমর করে দে আরো ভালোবেসে! [দয়িতা]

৭. ছেলেটা বড় বোকা,প্রেম করে মরলো! হাতের কাছে অনেক বিষ ছিল/একটু খেলেই পারতো। [বোকা ছেলে]

৮. মানুষ কখনোই কারো প্রেমে পড়ে না/পড়ে নিজের প্রেমে/ভালোবাসে নফসকে/নিজেকে। [ধুম্রজাল]

নিঃসঙ্গতা এবং সময়ের অস্থিরতা স্বত্বেও আদিল মাহমুদের কবিতায় আছে এক ধরনের নম্রতার আবরণ। সমৃদ্ধ চিত্রকল্প, ব্যতিক্রমী শব্দপ্রয়োগ, পরোক্ষভাষণ, অপ্রচল উপমা এবং কূটাভাসদীপ্তি তার কবিতার বড় সম্পদ। খুব গভীর আর অন্তস্রোতের মতো মনোজগতে ধাক্কা দিতে থাকে তার কবিতা। তিনি জাগতিক বিপন্নতা থেকে কোন এক মহাজাগতিক আশ্রয়চেতনার দিকে হেঁটে চলছেন একা। আর উন্মোচন করছেন নৃত্যনন্দন আচ্ছন্নতার জাদুবলয়। যেমন- [পাপ] ‘সিগারেট হাতে আমার দিকে তাকিয়ে/পুরানো পাপ হাসতে থাকে। যেমন ধারালো দা রক্ত মেখে হাসে!’ [হারিয়ে যাওয়া দিন] ‘আমার হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো যখন তখন মনে পড়ে। মৃত অথচ নড়েচড়ে!’ [স্মৃতিকথা] ‘আমার স্মৃতিগুলো কেন আসে স্বপ্নে জাগরণে/সবসময় খোঁচাতে চায় উতলা অশৃঙ্খলমনে!’ [গুনাহ] ‘মাটিতে পা রেখেছি বলে আমার পিছু ছাড়লো না! তার থেকে চাই ক্ষমা।’ [মৃত্যু] ‘মাটির বুকে ফুলের ঝরে পড়ার মত তুমিও একদিন অনায়াসে ঝরে পড়বে। মাটিতেই মাটি হবে।’

মায়ের স্পর্শেই সন্তান ধীরে ধীরে পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে উচ্চাসীন করেছে। মা, আম্মা, আম্মি, মাম্মি সন্তানেরা যে যেভাবে ডাকুক; এই শান্তির ডাক শতকিছুর বিনিময়েও অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। তাই তো আনকাবূতে 'আম্মা ও মা' বলে পৃথিবীর সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ, আদর, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সুখের কথা লিখেছেন আদিল মাহমুদ। তার কবিতা পড়ে বুঝেছি মা আর ছেলের মাঝে অজানা একটি বাঁধন থাকে। যে বাঁধনের কারণে মা তার ছেলের কথা কোন মাধ্যম ছাড়াই শুনতে পায়। উদাহরণ স্বরূপ কিছু চরণ  উদ্ধৃত হলো—

ক. আম্মা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি। মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণাও নেই। পড়েছেন মাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তবুও আমি যত পড়ালেখা করি, আম্মা তারচেয়েও বেশি জ্ঞানী কিভাবে হয়ে যান জানি। [মুখোশ খসে পড়া আমি]

খ.ঝাপসা চোখে দেখি মা জেগে আছেন পাশে/আমার মাথা তার কোলে/নরম হাতে বিলি কাটছেন চুলে/মায়ের হাত থেকে মায়া পড়ছে গলে গলে/আমার চোখে, ঠোঁটে গালে। [পৃথিবী ও জান্নাত মা]

গ. মিষ্টি সুরের তালে, কিচিরমিচির পাখির গানে, মা এসেছে শৈশব ঘরে। নাড়িছেঁড়া ধনদের সঙ্গে নিয়ে। ম ম ভাসে শিউলি গন্ধ স্বপনে। [মা এসেছে শৈশব ঘরে]

ঘ. আম্মা/ছুটি না নিয়ে/আমার রূহ বারবার পালিয়ে যায়/বাড়ির গোলাপ বনে/তোমার চুলের ঘ্রাণ শুষে নিতে/শাড়ির গন্ধের মাদকতা পেতে/তোমাকে দেখতে হাসতে হাসতে। [আমাকে কেন পাঠালে শহরে]

ঙ. আম্মার কোলে মাথা রাখি/অনুচ্চ স্বরে তাকে পড়ি/জিকির করি, ইবাদত করি/মৌন সেজদায় নত থাকি। আম্মা আম্মা বলে চ্যাঁচাই/তিনি চুপ থাকেন/কিংবা কি বলে ওঠেন/তাকিয়ে মিষ্টি হাসেন, আমাকে দেখেন। আমিও জোছনাকে দেখি। [জোছনা]

জীবনকে নানা কৌণিক দিক দিয়ে দেখার চোখ আদিল মাহমুদ রপ্ত করেছেন তার বোধের বিস্তৃত কাব্যরুচি দিয়েই। যার জন্য আনকাবূতে তিনি প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্য, সমাজচিত্র সবকিছু নিয়েই কবিতা লিখে অনুপম সব পঙক্তির আয়োজন করেছেন। তিনি কবিতাগুলো চিত্রায়িত করেছেন একরকম মাদকতায়। যা পাঠে ক্লান্তি আসে না, অস্বস্তির অনুভূতি হয় না, বরং সুখপাঠ্য মনে হয়। তার পাঠক প্রিয়তা বাড়–ক, কবিতার জীবন সুন্দর হোক।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;