মহীবুল আজিজের বীক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যাভাবনা

  • ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মহীবুল আজিজের বীক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যাভাবনা। বার্তা২৪.কম

মহীবুল আজিজের বীক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যাভাবনা। বার্তা২৪.কম

ডেটলাইন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ২০ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৩০ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিজরি। মধ্যাহ্ন।

বিস্তৃত উদ্যান, অফুরন্ত বৃক্ষরাজি ও অনুচ্চ পাহাড়ের সমান্তরালে পুরনো কলাভবনের নান্দনিক বিন্যাস। ধ্রুপদী স্থাপত্যকলার পরশে নির্মিত ভবনের বর্তমান নাম ইতিহাসবিদ আবদুল করিমের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত। ভবনের দ্বিতলে বাংলা বিভাগ। শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও চিন্তক অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ কথা বলেন তাঁর সাম্প্রতিক প্রকাশিত নন-ফিকশান নিয়ে। মননে ঝদ্ধ ও সৃজনে উজ্জ্বল প্রবন্ধ গ্রন্থের শিরোনাম 'বিশ্ববিদ্যাভাবনা ও অন্যান্য'। প্রকাশক 'আপন আলো'। প্রচ্ছদ আনিকা নাওয়ার।

বিজ্ঞাপন

উচ্চশিক্ষার দৈন্যদশা ও স্খলন-পতনের পটভূমিতে মহীবুল আজিজ বিশ্বব্যাপ্ত জ্ঞানকাণ্ডের প্রসারিত দিগন্তকে ছুঁয়েছেন গ্রন্থের মূল প্রবন্ধে। গ্রিকো-রোমান সভত্য থেকে শুরু করে প্রাচী-প্রতীচির প্রতিটি কেন্দ্র ও প্রান্তে জ্ঞানের সঞ্চালনের পথপরিক্রমায় বৈশ্বিক মানবমেধা ও সভ্যতার প্রযুক্ত হওয়ার দার্শনিক-বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়াস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় নামক প্রাতিষ্ঠানিকতায় ঘনীভূত হওয়ায় অভিযাত্রা বয়ান করেছেন তিনি। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য কেন্দ্রের বিপথগমনের ধারা কিছুটা রুদ্ধ হবে মহীবুল আজিজের বীক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যাভাবনাকে আত্নস্থ করার মাধ্যমে।

আলোকপাত করেছেন জাদুঘর, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাক, জসীমউদ্দীন, ওমর আলী, সুশান্ত মজুমদারের জীবন ও কর্মের বহুবিস্তৃত বিষয়ে। প্রাসঙ্গিকভাবে স্থান পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক বিন্যাস।

বিজ্ঞাপন

১২টি প্রবন্ধের সমন্বয়ে বিন্যস্ত গ্রন্থে সমকালীন বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক বুননকে নানাভাবে প্রশ্ন করেছেন মহীবুল আজিজ। ক্রিটিক্যাল এনালাইসিসের চমৎকৃত উপস্থাপনায় নিরীক্ষা করেছেন তিনি বাঙালিচিন্তার প্রথাগত কাঠামোকে এবং অঙুলি নির্দেশ করেছেন নবতর বীক্ষণের দিকে।

সমকালীন বাংলাদেশের মনন ও সৃজন চর্চায় মহীবুল আজিজের কাজগুলো বিশিষ্ট হয়ে আছে বহুমাত্রিকতায়। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, অনুবাদ, এমনকি গীত রচনায় তিনি সিদ্ধহস্ত। একমাত্রিক লেখকসত্তার ঘেরাটোপ ছিন্ন করে সাহিত্যের প্রতিটি মাধ্যমে প্রবল সক্রিয়তায় তিনি কথা বলেন কাল, সমকাল ও মহাকালের কর্ণকুহরে। তাঁর কর্মের দ্যুতি বাংলা সাহিত্যে ও বাঙালিচিন্তায় ছড়াচ্ছে হীরন্ময় আলোকজ্যোতি।