মোহাম্মদী, কৃষক ও নবযুগে যেভাবে চাকরি হারান আবুল মনসুর আহমদ

  • ড. কাজল রশীদ শাহীন
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদী, কৃষক ও নবযুগে যেভাবে চাকরি হারান আবুল মনসুর আহমদ

মোহাম্মদী, কৃষক ও নবযুগে যেভাবে চাকরি হারান আবুল মনসুর আহমদ

(পূর্ব প্রকাশের পর) আবুল মনসুর আহমদ ‘মোহাম্মদী’তে ভালই ছিলেন, কর্মঘণ্টা বেশি হলেও বিবিধ রকমের কাজ মনের আনন্দে শিখে নেন। মনে করেছেন সকল সুযোগকে কাজে লাগানো উচিৎ। এমনকি প্রুফ দেখার মধ্যেও তিনি বিশেষ আর্ট খুঁজে পান।

তিনি লিখেছেন ‘প্রুফ দেখা একটা বিশেষ আর্ট। জ্ঞানের চেয়ে দক্ষতা ও নিপুণতা এ কাজে অধিক আবশ্যক।’ এ ছাড়া তাঁর ‘মতিগতি’ও ছিল অন্যরকম। এই ‘মতিগতি’র সুবাদে এবং ‘কাঁধ পাতিয়া দেয়ার’ অভ্যাস গুণেই তাঁর পক্ষে পরবর্তীতে একজন কিংবদন্তিতুল্য সম্পাদক হয়ে ওঠা সম্ভব হয়।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদীতে চাকরি করেন প্রায় দেড় বছর। তারপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো চাকরি চলে যায়। অপরাধ কি, কিছুই জানানো হয়নি। কারণ খুবই গৌণ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিষেধ না করে, কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর হাতে বরখাস্তের কাগজ ধরিয়ে দেন। আর তক্ষুনি আবিষ্কার করেন, মোহাম্মদীতে কাজ করার পরও ‘সত্যাগ্রহী’ পত্রিকার মওলানা আবদুল্লাহিল কাফী ও মওলানা আবদুল্লাহিল বাকীকে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান মোহাম্মদী কর্তৃপক্ষ যৌক্তিক মনে করেননি।

আবুল মনসুর আহমদ পরবর্তীতে এ প্রসঙ্গে ‘আত্মকথা’য় বলেছেন, ‘সত্যাগ্রাহীতে সাহায্য করা অপরাধ জানিলে এ কাজ তিনি করিতেন না। কারণ এই পঞ্চাশ টাকা বেতনের চাকরি ছাড়িয়া থাকার মতো উপায় নেই। ...বিবাহ করিতে রাজি হইয়াছেন এবং বিয়ার দিন তারিখও ঠিক হইয়া গেছে।’

বিজ্ঞাপন

আবুল মনসুর আহমদের তৃতীয় চাকরি ‘দি মুসলমান’ পত্রিকায়। মওলানা আবদুল্লাহিল কাফীর অনুরোধে মৌলবি মুজিবুর রহমান এখানে চাকরি দেন। অগ্রিম বেতন পঁয়ষট্টি টাকা দিয়ে গ্রামে গিয়ে বিয়ে করে আসার নির্দেশ দেন। এখানে চার বছর চাকরি করেন।

অভিজ্ঞতার কথায় লিখেছেন মৌলবি সাহেবের কাছে শেখা শিষ্টাচারের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘কোন সমালোচনা বা নিন্দা করিতে গিয়া শিষ্টাচার ও ভদ্রতার খেলাফ করিও না।’ এই প্রতিষ্ঠানে তাঁর কর্মদক্ষতার যথাযথ মর্যাদাও পেয়েছিলেন। শুধুমাত্র তাঁর কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ বাংলা সাপ্তাহিক ‘খাদেম’ প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি সম্পাদন-পরিচালনার পুরো দায়িত্ব পান। এবং একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বিশেষ দূরদর্শিতার পরিচয় দেন।

ঘটনাটা এরকম-এলাহাবাদের স্বামী সত্যদেব ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় এলে তাকে অভ্যর্থনা ও টাকার তোড়া দেওয়ার আয়োজন করা হয়। সেই সময়ের সব মুসলমান সংবাদপত্রই এ কাজের সমর্থন করেন। কিন্তু ‘খাদেম’ একা এর প্রতিবাদ জানায়। এ ব্যাপারে তাঁর যুক্তি হলো, ‘‘কোনো অমুসলমান ইসলাম কবুল করিলেই তাকে অভ্যর্থনা দেওয়ার যে ঘটা হয়, এটা ইসলাম ও মুসলমান সমাজের জন্য অপমানকর। এতে প্রমাণিত হয় যে ঐ ভদ্রলোক ‘ইসলাম’ ও মুসলমান সমাজের শক্তি ও মর্যাদা বাড়াইয়াছেন।’’

এ কারণে খাদেমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে মৌলবি সাহেবের কাছে নালিশ করা হয়। মৌলবি সাহেব তাঁর মত সমর্থন করেও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর উপদেশ দেন। তিনি চুপ থাকেন।

কয়েকদিন পর দেখা গেল, আবুল মনসুর আহমদই ঠিক ছিলেন। স্বামী সত্যদেবরূপী মহীউদ্দীন এই অঞ্চল থেকে পাঁচ লাখ টাকা হস্তগত করে এলাহাবাদে ফিরে আর্য ধর্মে পুনরায় দীক্ষিত হন এবং ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন।

আবুল মনসুর আহমদ লিখেছেন, ‘অভ্যর্থনা-ওয়ালাদের মুখে চুনকালি পড়িল। আমার সমর্থকদের দন্ত বিকশিত হইল। কিন্তু বিজয়ানন্দের উল্লাসে নিজের হতভাগ্য নির্বোধ সমাজের জন্য আমার চোখে পানি আসিল।’

তাঁর প্রথম পর্যায়ের সাংবাদিকতার ইতি ঘটে ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে। এ পর্বের সাংবাদিকতায় বিশেষভাবে লক্ষণীয় হলো, তাঁর আগামী দিনের সম্পাদক হওয়ার ‘ড্রেস রিহার্সাল’ সম্পন্ন হয়। ‘ছোলতান’, ‘মোহাম্মদী’, ‘দি মুসলমান’, ও ‘খাদেম’ পত্রিকায় নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেন। বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে, ‘মতিগতি’ ও ‘কাঁধ পাতিয়া দেয়ার অভ্যাস’। যার সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যাপক পড়াশোনার অভ্যাস। অনুসন্ধান বলছে এসব গুণাবলীই একজন সহ-সম্পাদককে সাংবাদিকতা জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে সফল ও সার্থক সম্পাদক হয়ে উঠতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু ১৯৩৮ সালের ডিসেম্বরে। মাঝে নয় বছরের ব্যবধান। কিন্তু এ সময়ে সক্রিয় সাংবাদিকতায় যুক্ত না থাকলেও পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে দীপ্যমান ও গতিশীল রেখেছিলেন সাংবাদিক-সম্পাদকের প্রবৃত্তিকে। এ পর্বে তিনি আবির্ভূত হন পূর্ণ সম্পাদক রূপে।

নিখিল-বঙ্গ-কৃষক-প্রজা সমিতির উদ্যোগে ‘কৃষক’ প্রজা আন্দোলনের মুখপত্ররূপে প্রকাশনায় আসে ‘দৈনিক কৃষক’। ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন হুমায়ুন কবির। পরিচালক সভায় যুক্ত হন মৌ. শামসুদ্দীন আহমদ, মৌ. সৈয়দ নওশের আলী, নবাবজাদা সৈয়দ হাসান আলী, খান বাহাদুর মোহাম্মদ জান ও ডা. আর আহমদ। পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি শ্রীযুক্ত সুভাষ চন্দ্র বসু। সম্পাদকের বেতন দুই শ টাকা আর টেবিল অ্যালাওয়েন্স পঞ্চাশ টাকা।

কৃষকের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আবুল মনসুর আহমদ লিখেছেন: ‘‘খাটিলাম খুব। অল্পদিনেই কাগজ সাংবাদিক মহলে সম্মান ও জনসাধারণের মধ্যে পপুলারিটি অর্জন করিল। আদর্শ নিষ্ঠায় স্বাধীন মতবাদে এবং নিরপেক্ষ সমালোচনায় ‘কৃষক’ বেশ নাম করিল।’’ যদিও নাম-যশে কৃষক সকলের কাছে সমাদৃত একটা পত্রিকা হয়ে উঠল, কিন্তু ভাগ্যাকাশে দেখা দিল কালোমেঘ। কৃষক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে হুমায়ুন কবির পদত্যাগ করলেন।

উক্ত ঘটনায় আবুল মনসুর আহমদের উপলব্ধি হলো:

এক. দৈনিক পত্রিকা চালাতে হলে যথেষ্ট মূলধন দরকার, যা বিবেচনায় নেয়নি কৃষক কর্তৃপক্ষ।

দুই. সংবাদপত্র এখন আর মিশনারি ওয়ার্ক নয়, এর চারিত্র্যকাঠামো এখন ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিয়েছে।

তিন.  দৈনিক পত্রিকা চালাতে এবং লাভজনক করতে মোটা অংকের মূলধন বিনিয়োগ করার সামর্থ্য ও সদিচ্ছা থাকতে হবে।

হুমায়ুন কবিরের পর কৃষকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন খান বাহাদুর মোহাম্মদ জান। অবাঙালি হওয়ায় চার-পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি এ কাজে আগ্রহ হারান। এরপর দায়িত্ব নেন মি. হেমেন্দ্র নাথ দত্ত ওরফে মি. এইচ দত্ত। তিনি কলকাতা কমার্শিয়াল ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ায় কৃষকের ভাগ্যে সুদিন ফিরে আসে। আবুল মনসুর আহমদ লিখেছেন, ‘আমি কম্পোজিটারদের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করিলাম (পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো)। বড়ো-বড়ো লাভের কাগজ সচরাচর ঐ সময় তা করে নাই। আমার কাজকে তারা বিদ্রূপ করিয়াছে।’

কিছুদিনের মধ্যে কৃষকে নীতিগত বিরোধ দেখা দেয়। ওই সময় হক মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত মাধ্যমিক শিক্ষা বিল নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ওই বিল পাস হলে মেট্রিক পরীক্ষার কর্তৃত্ব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে উপরমহলের প্রায় সকলেই এর বিরোধিতায় নামে। বেশির ভাগ সংবাদপত্র ও কংগ্রেস পার্টি আইন সভার ভেতরে-বাইরে এর প্রতিবাদে জনমত গড়ে তোলে। কেবল কৃষক এই বিলের সমর্থন করে সম্পাদকীয় লেখে।

এই নিয়ে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে বিরোধে শেষাবধি পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি। সে সময় প্রশ্ন ওঠে যে, সংবাদপত্র তা হলে কার কথায় চলবে? মালিক না সম্পাদক। তাঁর যুক্তি ছিল মালিকপক্ষের কথায়। যা সেদিন ওয়ার্কিং জার্নালিস্টরা কেউই পছন্দ করেননি। প্রতিবাদ জানান।

আবুল মনসুর আহমদ এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বলিয়াছিলাম সাংবাদিকতা ওকালতির মতোই একটা প্রফেশন। এটা মিশনারির মতো আদর্শ সেবা নয়। উকিল  যেমন দোষী-নির্দোষ সকলের কেস নেন, সাংবাদিকও তেমনি কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, হিন্দুসভা নির্বিশেষে সকলের কেস নিবেন। সাংবাদিক এইভাবে পরের জন্য টাকার বিনিময়ে কলম চালাইতে গিয়া এতটুকুমাত্র দেখিবেন যে ঐ সাংবাদিক কর্তব্যের বাহিরে তাঁর স্বাধীনতা যেন ব্যাহত বা সংকুচিত না হয়। আপনি যদি কংগ্রেসি হন, তবে কংগ্রেস বিরোধী কাগজে আপনি চাকরি নিবেন না। যদি নেন, কংগ্রেস বিরোধী কথাই আপনাকে লিখিতে হইবে।’

১৯৪১ সালের অক্টোবর মাস। আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার তৃতীয় পর্যায় শুরু হয় ‘নবযুগ’ পত্রিকায়। এ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে নাম দিতে রাজি হননি, দেনওনি। ছিলেন ‘শ্যাডো এডিটর’। বেতন সাকুল্যে তিনশ’ টাকা। সম্পাদক হিসেবে নাম দেওয়া হয় কাজী নজরুল ইসলামের। নবযুগ ছিল এ. কে. ফজলুল হকের দৈনিক পত্রিকা।

নাম না দেওয়ার পেছনে উনার যুক্তি হলো, নিরপেক্ষভাবে যে কোনো মতের পত্রিকায় কাজ করা যায়। এই উপদেশ তিনি অন্যদেরও দিতেন। কিন্তু নিজে গ্রহণ করেননি। যুক্তি হলো তাঁর একটা ‘রাজনীতিক জীবন আছে’।

অবশ্য নবযুগের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় বেশিদিন তিনি এই মতে অটল থাকতে পারেননি। আবার কৃষক থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতায় এই বোধোদয়ও হয় যে, পত্রিকা চলবে মালিকের অভিপ্রায় অনুযায়ী। তিনি লিখেছেন, ‘‘হক সাহেবের তখনকার রাজনৈতিক সাফল্য-অসাফল্যের সাথে ‘নবযুগ’ এর মরা-বাঁচা অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত ছিল।

‘নবযুগ’-এর বাঁচিয়া থাকা শুধু আমার একার নয়, ‘নবযুগে’র শতাধিক চাকুরিয়ার জীবন নির্ভর করিতেছে। দু’চার জন বাদে এঁরা সবাই মুসলমান। ‘নবযুগ’ না থাকিলে এঁদের বিপদ হইবে। ‘কৃষক’-এর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা হইতে এটা আমি বুঝিয়াছিলাম। কাজেই অন্তত ‘নবযুগ’-এর জন্যও হক সাহেবের এই নয়া রাজনীতিকে সফল করিতেই হইবে, এই প্রয়োজনের বিচারেই আমি সম্পাদকীয় লিখিয়া চলিলাম।’’

যে হেমেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আবুল মনসুর আহমদ কৃষক ছেড়েছিলেন। আকস্মিকভাবে তিনি আবার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপে নবযুগে আবির্ভূত হন। প্রথম দিনের সৌজন্য পরিচয়েই ঘটে বড় রকমের বিপত্তি। দু-এক কথার আলাপেই তা রূপ নেয় অনভিপ্রেত ঘটনায়। এবং ঘটনা প্রকৃতপক্ষে যা নয়, সেদিকেই মোড় নেয়। দত্তবাবু রেগে বলে উঠলেন, ‘আমাকে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইয়াছেন? এ অপমানের আমি বিচার করাইব।’ এ কথা বলে বের হতে গিয়ে দুর্ভাগ্যবশত হুমড়ি খেয়ে চৌকাঠের উপর পড়ে মূর্ছা যান।

এই নিয়ে ‘ভোটরঙ্গ’ ও ‘অবতার’ নামের জনপ্রিয় দুই স্যাটায়ার পত্রিকায় লেখা হয় ‘হেমেন্দ্র বধ কাব্য’ ও ‘হেমেন্দ্র-মনসুর-সংবাদ’ নামে অমিত্রাক্ষর ছন্দের কাব্য নাটিকা। এসব ঘটনায় দত্তবাবু আরও রুঢ় হয়ে ওঠেন এবং নবযুগের দুই প্রধান ব্যক্তির মধ্যে কথা ও মুখ দেখাদেখি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

কিছুদিনের মধ্যে আবুল মনসুর আহমদ ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গেলে কাজী নজরুল ইসলামের তরফে পাঠানো টেলিগ্রামে জানানো হয় ‘আপনার সার্ভিসের দরকার নাই।’ উনার সাংবাদিকতা জীবনের তৃতীয় পর্যায়ের সমাপ্তি হয় এভাবেই। (চলবে…)

লেখক: সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গবেষক, [email protected]