ছুঁচো

  • তানিয়া চক্রবর্তী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

এই ব্লগে পাঠকদের বিভিন্ন সময়ে তথ্যপূর্ণ লেখা দিয়েছি, আজ মনে হল জীবনের গতিপথে ইচ্ছেডানার উড়ান নাম দিয়ে আমি আমার ইচ্ছেমাফিক লেখার বার্তা দিয়েছিলাম, সেখানে আজ আপনাদের জন্য আরো একটি অণুগল্প দিলাম, এখানে জীবনের প্রতি জীবনের ইচ্ছাকে মূল্য দেওয়ায় এই গল্পের মূল ভাব বাকিটা পাঠকের মনন ও মাত্রা।

নেতিয়ে পড়া স্টেশন, ঘুমন্ত কিছু কুলি, নীল আলোর রাত। এসময় এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো আসে।
গা টা ঘামছে দীপের। নদী আর নীড়ের জন্য অবশ লাগছে শরীর। আচ্ছা, কাল যখন ওরা জানতে পারবে.... !
নীড়টা লজ্জায় স্কুল যায় না অথচ আমায় একবারও বলে না “বাবা মাইনেটা দাও”। নদীর ছেঁড়া নাইটিগুলো রোজ ক্ষিস্তি করে যেন। মনে হয়, ওকে ঝাঁকিয়ে বলি “আমাকে অপমান করতে পারো না”!

বিজ্ঞাপন

লাইনে হাঁটার শব্দে একটা ছুঁচো চমকে গর্তে ঢুকল। পিছু পিছু কটা বাচ্চাও। লাইনের বুকে ওর ঘর। মৃত্যুর সাইরেন আর ওর ঘর পাশাপাশি । বেরিয়ে এদিক-ওদিক কী খুঁজল! ট্রেন আসার শব্দে গর্তে ঢুকে গেল।

ট্রেনটাও পাশের লাইন দিয়ে বেরিয়ে গেল! তাহলে এর পরের ট্রেনটাতেই ...। ছুঁচোটা আবার বেরিয়ে এসেছে। পাগলের মতো খুঁজতে খুঁজতে মুখে কী একটা নিয়ে গর্তে ঢুকে গেল।

বিজ্ঞাপন

দীপ দেখছে , ছুঁচোটা মৃত্যুর পাশে জীবনের খোঁজ নিয়ে ছুটছে তো ছুটছেই।
ট্রেন আসছে। দীপ স্টেশনের কলটা খুলল।

ওভারব্রিজ পার হলে দূর থেকে দেখা যায় ট্রেনটা স্টেশনে দাঁড়িয়ে গেছে...