বার্তা২৪.কম’র 'এক প্রহর'-এ কবি হেলাল হাফিজ



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বার্তা২৪.কমের স্টুডিওতে কবি হেলাল হাফিজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বার্তা২৪.কমের স্টুডিওতে কবি হেলাল হাফিজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যাপনে ও রচনায় কবি হেলাল হাফিজের বিশিষ্টতা প্রবাদপ্রতিম। একটি মাত্র কাব্যগ্রন্থের (যে জলে আগুন জ্বলে, ১৯৮৬) মাধ্যমে বছরের পর বছর পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থানের কৃতিত্বও তার। ২৫ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশ পায় তার ‘কবিতা একাত্তর’, যার ইংরেজি অনুবাদের শিরোনাম ‘দ্য টিয়ার্স দ্যাট ব্লেজ’। তারপর ২০১৯ সালে, প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের ঠিক ৩৪ বছর পর ৩৪টি কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হয় তার দ্বিতীয় মৌলিক কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

সমকালীন আধুনিক বাংলা কবিতার জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে থাকা হেলাল হাফিজ প্রথম অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় ভিজুয়াল সাক্ষাতকার দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পোর্টাল বার্তা২৪.কম-এ। বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি বার্তা২৪,কম এই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকার অন-এয়ারে রিলিজ করেছে ‘এক প্রহর’ নামের বিশেষ অনুষ্ঠানে।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অতি-বিশেষ ব্যক্তিত্ব নিয়ে পরিকল্পিত অনুষ্ঠানের ‘এক প্রহর’ নামকরণেও বাংলার, বাঙালির হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছে বার্তা২৪.কম। আদি বাংলার প্রাচীন সময় পরিমাপের একক ছিল ‘প্রহর’। প্রহর মানে আজকের হিসাবে তিন ঘণ্টা। অষ্টপ্রহর মিলে একদিন, যা থেকে চলিতভাবে আটপৌরে শব্দটি এসেছে। প্রতিদিনই যেমন ঘটে তাকে আমরা আটপৌরে বলছি, যার মধ্যে আছে প্রহরের ব্যঞ্জনা ।

আটপৌরে বা অষ্টপ্রহর নিয়ে যে একটি পূর্ণ দিন, যাতে ভোর ছয়টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যে ছয়টায় শেষ হওয়া চারটি আর রাতে চারটি প্রহর রয়েছে, তারই একটি প্রহরকে প্রতীক ধরে অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে 'এক প্রহর', ধরতে চেষ্টা করা হয়েছে চলমান সময়ের একটি একককে।

এমনই একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলাপচারিতার অনুষ্ঠানে অনন্য কবি হেলাল হাফিজকে অতিথি করে কবিতায়, দ্রোহে, প্রেমে, বিষাদে, আত্মআবিষ্কারের ছন্দ ও সৌরভে দর্শকদের রাঙিয়ে দিল বার্তা২৪.কম। তিন পর্বের অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হলেন বিরলপ্রজ কবি তার সহস্র পাঠক, ভক্ত ও অনুরাগীর সামনে বহুমাত্রিক বিন্যাসে। এমন কিছু ব্যক্তিক অভিব্যক্তি এবং শিল্প-সৃজন কথা তিনি বলেছেন এ অনুষ্ঠানে, যা এমন নিবিড়ভাবে মিডিয়ার সামনে আগে আর কখনোই বলেন নি।

গজলের আঙিকে ছোট্ট ছোট্ট কবিতা রচনার কথা হেলাল হাফিজ শুরুতেই উল্লেখ করেছেন তার ‘পথ’ কবিতা প্রসঙ্গে। গজল মনে করিয়ে দেন এই কবিকে ছুঁয়ে কবিতার মহাযাত্রা পথের কথা। হাফিজ, রুমি, ফেরদৌসী, গালিব, মীর তকী মীর হয়ে প্রবহমান কাব্যমতার ঐতিহাসিক ধারার নান্দনিক সুর বাজতে থাকে বার্তা২৪.কম’র ‘এক প্রহর’-এ কবি হেলাল হাফিজের কথা ও আবৃত্তিতে। চলে আসে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের প্রসঙ্গও।

বার্তা২. কম'র কন্ট্রিবিটিং এডিটর মাহমুদ হাফিজের সঙ্গে বর্ণ ও কাব্যময় আলাপে আলাপে বাংলা কবিতার রাজপুত্র হেলাল হাফিজ খুলে দেন তার জীবন, বিশ্বাস, চর্চা ও কবিতার সকল দিগন্ত। ‘এক প্রহর’ অনুষ্ঠানের জানালা দিয়ে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের কেন্দ্র ও প্রান্তে প্রান্তে বসবাসকারী বাংলাভাষী দর্শক, শ্রোতা পৌঁছে যায় আধুনিক বাংলা কবিতার রংধনু আলোয় উজ্জ্বল এক অবারিত আকাশে।

বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি বার্তা২৪.কম বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি-বান্ধব হয়ে ভার্চুয়াল জগতকে বর্ণচ্ছটায় ভরিয়ে দিতে সর্বদাই অগ্রগামী। ব্যক্তিত্ব থেকে সম্প্রদায়, জাতীয় স্তর থেকে তৃণমূল, যেখানেই সংবাদ, সেখানেই সবার আগে এবং সবচেয়ে বিশিষ্টতায় বার্তা২৪.কম উপস্থিত। সংবাদের একটু ঝিলিক বা সংস্কৃতির অসামান্য স্ফুলিঙ্গ বার্তা২৪.কম বিশ্বের সামনে সর্বাগ্রে তুলে আনে গভীর মমতায়, ভালোবাসায় ও সৃজনশীলতায়।

মননের দীপ্তিতে যে মাল্টিমিডিয়া সংবাদমাধ্যমকে নিত্য দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বার্তা২৪.কম’র প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশের অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালের পথিকৃৎ-প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর হোসেন, সতত প্রণোদনার আলোকস্তম্ভ হয়ে এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব একদল চৌকস, কুশলী, সার্বক্ষণিক, সংবাদকর্মীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আজ এবং ভবিষ্যতের নতুন মিডিয়ার বিনির্মাণযজ্ঞে।

‘এক প্রহর’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিজের দ্বিতীয় গৃহ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে কবি হেলাল হাফিজ বার্তা২৪.কম স্টুডিওতে এসেছিলেন গত ৭ ডিসেম্বর। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, সমগ্র বাংলা ভাষায় এই মুহূর্তে জীবিত কবিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত কবি হেলাল হাফিজ, পেশাগত জীবনে নিজেও একজন সাংবাদিক, কাজ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকের সম্পাদকীয় বিভাগে ও সাহিত্য বিভাগ সম্পাদনায়। বার্তা২৪.কম এবং প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক আলমগীর হোসেন সম্পর্কে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি উল্লেখ করেছেন 'এক প্রহর' নিয়ে নিজের স্মরণীয় অভিজ্ঞতার স্মৃতি:

“সহনীয় শীতের সকাল। প্রেসক্লাব থেকে গুলশানের বার্তা২৪,কম’র রুচিস্নিগ্ধ অফিস। সম্পাদক আলমগীর হোসেনের বনেদি অভ্যর্থনা ও রাজকীয় প্রাতঃরাশ। ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে মাহমুদ হাফিজের সঙ্গে সচিত্র ও সুদীর্ঘ এনাটমি ক্লাস। একঝাঁক রূপসী আর বিদুষী সংবাদকর্মীর জন্য নিবেদিত ‘প্রস্তান’ কবিতার স্বকণ্ঠে আবৃত্তি। অবশেষে বিদায়লগ্নে হাত ভরে উষ্ণ ইনভেলাপ। শনির সকালও বুঝি এমন সুন্দর হয়!’’

বার্তা২৪.কম’র ‘এক প্রহর’ অনুষ্ঠানে চোখ রেখে কবির মতো দর্শকের সকালটাও অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে উঠে।

কিশোরগঞ্জে মাজহারুন-নূর সম্মাননা পেলেন ছয় কীর্তিমান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীতকিশোরগঞ্জে মাজহারুন-নূর সম্মাননা পেলেন ছয় কীর্তিমান

ছবি: সংগৃহীতকিশোরগঞ্জে মাজহারুন-নূর সম্মাননা পেলেন ছয় কীর্তিমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিষ্ঠ চিকিৎসক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব ডা. এ. এ. মাজহারুল হক এবং রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ ছয় কীর্তিমানকে সম্মাননা প্রদান করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান।

এতে সম্মাননা বক্তৃতা করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ।

বক্তব্য রাখছেন ড. মাহফুজ পারভেজ

অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ এবং ৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননাপ্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২০ পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের আইনপেশার কৃতীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও শাহ আজিজুল হক।

৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২১ পেয়েছেন ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, পাঠ ও পাঠাগার আন্দোলনের অগ্রণীজন মু আ লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবী এবং শতবর্ষ অতিক্রমকারী ১২০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, প্রবীণ সাংবাদিক মু আ লতিফ ও আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন এবং প্রয়াত শাহ আজিজুল হকের পরিবারের পক্ষে ভাতিজা এডভোকেট শাহ আশরাফ উদ্দিন দুলাল ও মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবীর পক্ষে তার মেয়ে গৌরি রাণী দেবী সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।

 এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমান।


অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজকর্মী আবদুর রহমান রুমী, সাংবাদিক শেখ মাসুদ ইকবাল, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মননা অনুষ্ঠান শেষে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ২০১৫ সাল থেকে সম্মাননা বক্তৃতার আয়োজন করে আসছে।

;

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা রয়েছে: ড. মাহফুজ পারভেজ



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন ড. মাহফুজ পারভেজ

বক্তব্য রাখছেন ড. মাহফুজ পারভেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্তা২৪.কম'র অ্যাসোসিয়েট এডিটর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন'র নির্বাহী পরিচালক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেছেন, 'বাংলার গৌরবদীপ্ত জনপদ কিশোরগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশ ও রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা রয়েছে।'

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম স্মরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল এবং আনুষ্ঠানিকভাবে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি সম্মাননা বক্তব্য প্রদানকালে আরো বলেন, 'অবক্ষয়, অন্ধকার ও অজ্ঞানতার বিরুদ্ধে আলোকিত সমাজ গঠনে ইতিহাস-ঐতিহ্যের শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।'

বরিষ্ঠ চিকিৎসক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব ডা. এ. এ. মাজহারুল হক এবং রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক স্থানীয় ছয় কীর্তিমানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক লাইজু আক্তার।

মাজহারুন-নূর সম্মাননা অনুষ্ঠান

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আবদুর রহমান রুমী, সাংবাদিক শেখ মাসুদ ইকবাল, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, মহিলা পরিষদ সম্পাদক আতিয়া রহনান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, মহিলা পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, সাহিত্য সম্পাদক বাবুল রেজা, ছড়াকার সামিউল হক মোল্লা, ঈসাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান বদরুল হুদা সোহেল, কিশোরগঞ্জ নিউজ প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠ এবং ৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননাপ্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬ষ্ঠ মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২০ পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের আইনপেশার কৃতীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও শাহ আজিজুল হক।

৭ম মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২১ পেয়েছেন ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, পাঠ ও পাঠাগার আন্দোলনের অগ্রণীজন মু আ লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবী এবং শতবর্ষ অতিক্রমকারী ১২০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নাসিরউদ্দিন ফারুকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, প্রবীণ সাংবাদিক মু আ লতিফ ও আলীমুদ্দীন লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. কামাল উদ্দিন সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন এবং প্রয়াত শাহ আজিজুল হকের পরিবারের পক্ষে ভাতিজা এডভোকেট শাহ আশরাফ উদ্দিন দুলাল ও মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষাবিদ উষা রাণী দেবীর পক্ষে তার মেয়ে অধাপিকা গৌরি রাণী দেবী সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।

সম্মননা অনুষ্ঠান শেষে মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রত্নগর্ভা নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে স্মরণ সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারের পূর্বে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাডভোকেট গাজি এনায়েতুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সংস্কৃতিজন লুৎফুন্নেছা চিনু। অনুষ্ঠানে স্পন্সর হিসাবে যুক্ত ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।

প্রসঙ্গত, ‘মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশন’ কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অবদানের স্বীকৃতি জানাতে ২০১৫ সাল থেকে সম্মাননা বক্তৃতার আয়োজন করে কিশোরগঞ্জের শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, সমাজসেবা ও বুদ্ধিবৃত্তিক রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

;

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;