আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘জীবনের অভিব্যক্তি’
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লাগ্যালারিতে শুরু হয়েছে শারমিন জামানের ‘জীবনের অভিব্যক্তি’ শীর্ষক দ্বিতীয় একক চিত্রপ্রদর্শনী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার পরিচালক অলিভিয়ে দঁতজে অতিথিদের স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রদর্শনীতে প্রায় ৪৮টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। শারমিন জামান এর প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনীর কেন্দ্রভূমিতে ছিল বাংলাদেশের নারী। পরিবার বা সমাজের প্রতিকূল চোরাস্রোতের সাথে একজন নারীর জীবনব্যাপী সংগ্রাম যেন আরেক অগ্নিপরীক্ষার গাথা, যা শিল্পী তার ক্যানভাসে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কিন্তু এই প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে, শিল্পী তার অনুভূতি ও সেইসঙ্গে তার নিজেকেও যেন ভেঙে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। রঙ ও তুলির সাথে তার সম্পৃক্ততার পেছনে প্রথম ও প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে যা কাজ করেছে, তা হলো- প্রকৃতি।
বাংলাদেশ রঙের দেশ এবং মৌসুমের পরিবর্তনের সাথে সাথে, এইসব রঙ পরস্পরের মেলবন্ধনে সৃষ্টি করে নতুনতর রঙের! তাইতো রঙ ও জমিনে এত ঋদ্ধ তার চিত্রকর্ম। কোনো প্রাচীন বৃক্ষের বাকল অথবা নোনাধরা কোনো দেয়াল তার কাছে ভিন্ন ভিন্ন একেকটা গল্প। এই কাহিনীগুলো বিবর্তিত হয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দৃশ্যে এবং সেই ‘রঙের বিচ্ছুরণ’কে ধরে রাখবার চেষ্টা করেন তিনি তার শিল্পকর্মে। এভাবেই তার চারপাশের জীবনঘটিত ছায়া ও কাঠামোগুলো তার মনে কী অভিঘাত সৃষ্টি করছে তার ওপর ভিত্তি করে তার শিল্পকর্মে জায়গা করে নেয়। তাইতো তার দ্বিতীয় একক প্রদর্শনীর শিরোনাম হলো ‘জীবনের অভিব্যক্তি’।
এই দেশের রঙহীন অগণিত মানুষের জীবন, যদিও, চতুর্পাশের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির অসংখ্য রঙের একেবারে বিপ্রতীপ। জামানের চিত্রকর্ম এই জীবনসত্যকেও মূর্তিমান করে তোলে।
প্রদর্শনীটি চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।