“দুই নাম্বারি মুক্তিযোদ্ধা সচিবরা আমারই বন্ধু”



রোজেন হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার এডিটর
গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ উপলক্ষে বার্তা২৪-এর বিশেষ আয়োজন বইপ্রহরে কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদীর সঙ্গে কথা বলেছেন কবি ও সাংবাদিক শিমুল সালাহ্উদ্দিন। কথা হয়েছে মূলত এবারের বইমেলায় আসা তাঁর নতুন বইগুলো নিয়ে।

আলাপকালে আন্দালিব রাশদী জানিয়েছেন বইমেলা নিয়ে তাঁর সারাবছরের প্রস্তুতি এবং আগ্রহের কথা। উপন্যাস, অনুবাদগ্রন্থ এবং চিত্রকলা বিষয়ক বইসহ এবার মোট ৭টি বই প্রকাশিত হচ্ছে। এরমধ্যে উপন্যাস ৪টি, অনুবাদ গ্রন্থ ২টি এবং চিত্রকলার ওপর ১টি।

লেখালেখির শুরু থেকেই আন্দালিব রাশদী একাগ্র নিষ্ঠায় মননশীল এবং সৃজনশীল দুই ঘরানাতেই সমান উত্কর্ষের পরিচয় দিয়ে এসেছেন। তিনি উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং গল্প লেখার পাশাপাশি অনুবাদ করেছেন বিশ্বসাহিত্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বই।

আন্দালিব রাশদী তাঁর উপন্যাসে বাস্তবতার বস্তুনিষ্ঠ উপস্থাপন যেমন করেন তেমনি সেই বাস্তবের সাথে মেশান কল্পনার অবিরল ফল্গুধারা। বইপ্রহরে শিমুল সালাহ্উদ্দিনের সাথে নিজের নতুন উপন্যাস ‘সচিব সাহেব’ নিয়ে এ বিষয়গুলোই প্রতিধ্বনিত হয়েছে তাঁর কণ্ঠে, তিনি বললেন, “দুই নাম্বারি মুক্তিযোদ্ধা সেজে একজন কিভাবে সচিব হয়, সচিব হয়ে তারপর কিভাবে তার পদ-পদবি ব্যবহার করে দেশকে এক্সপ্লয়েড করে এইসবই আমার বর্ণনায় উঠে এসেছে।”

এসব আমাদের জাতীয় বাস্তবতারই অংশ দাবি করে তিনি বলেছেন, “এরা আমার বন্ধুরাই, বাইরের কেউ না। চরিত্রগুলি আমার পরিচিত, পড়ে আপনাদেরও মনে হবে আরে! আমিও তো উনাকে চিনি। সেই সচিব, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আবার তাদের সন্তানরাও সেই বেনিফিট নিয়ে বিভিন্ন পদ-পদবী, সম্পত্তি ইত্যাদি কিভাবে অর্জন করে, গ্রহণ করে—সেসব কাহিনী নিয়ে এই ‘সচিব সাহেব’ উপন্যাসটা।”

নিজে দীর্ঘদিন সচিব পদে দায়িত্বপালনের কারণে আমলাতন্ত্রের নাড়ি-ন্ক্ষত্র জানেন খুব ভালোভাবে। কিন্তু এই জানার অভিজ্ঞতাকে তিনি এইবার শিল্পের চৌহদ্দীতে নিয়ে এসেছেন। আন্দালিব রাশদীর সচিব সাহেব উপন্যাসটি প্রকাশ করছে কথাপ্রকাশ।

সিরিয়াস পাঠক হিসেবে আন্দালিব রাশদীর খ্যাতি আছে। বিশ্বসাহিত্য নিয়ে আছে অগাধ জানাশোনা ও বোঝাপড়া। তার পঠনতালিকায় ইতিহাস, কবিতা, কথাসাহিত্য যেমন আছে, তেমনি আছে সাম্প্রতিক সাহিত্যের বিভিন্ন প্রবণতা এবং সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে মৌলিক অনুসন্ধান—যেখানে তিনি আবার শিল্পিত চৌর্যবৃত্তিকে প্রাধান্য দেন। এর সমর্থনে বইপ্রহরে তিনি বললেন, “আমি পড়ি মূলত শিল্পিত চৌর্যবৃত্তির প্রবণতা নিয়ে। আমি মনে করি এটা থাকতে হবে, এটা হচ্ছে আমি কত শিল্পিত উপায়ে তা ধারণ করতে পারি এবং আমার করে প্রকাশ করতে পারি সেটা। আমার মনে হয় এইধরনের শিল্পিত চৌর্যবৃত্তি, এটা বোধহয় খুব খারাপ কিছু না।”


কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক আন্দালিব রাশদী এদেশের সেইসব বিরলপ্রজ লেখকদের একজন যাঁরা লিখে উপার্জিত টাকায় সংসার চালান। সারা বছরই লেখেন দুহাত ভরে। সেসব লেখা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত হয়। আন্দালিব রাশদীর পঠন-পাঠন ও জানাশোনা এতই সর্বব্যাপ্ত যে তাঁর হাতে যে কোনো ফরমায়েসী লেখাও হয়ে ওঠে একেকটি যথার্থ মননশীল রচনা। তাঁর সৃজনশীল লেখালেখির বিচরণক্ষেত্র মূলত উপন্যাস ও গল্প। অনুবাদে সিদ্ধহস্ত আন্দালিব রাশদীর বিষয়-নির্বাচন বরাবরই চমকপ্রদ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এবারের বইমেলায়ও একাধিক প্রকাশনা সংস্থা থেকে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও অনুবাদ মিলিয়ে আন্দালিব রাশদীর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে ও হতে যাচ্ছে। আজকের ‘বইপ্রহর’-এ থাকছে সেইসব বইয়ের খবর। 


জানান, এ বিষয়ে বহু বছর আগে লেখা নিজের একটি ছড়ার কথা। যেখানে এক বালক রবীন্দ্রনাথকে বলে, তুমি কোত্থেকে চুরি করেছো সব আমি জানি। রবীন্দ্রনাথ জিজ্ঞেস করলেন কোথা থেকে? তখন বাচ্চাটা দেখিয়ে দিল, এই যে অভিধান থেকে। বলল, তোমার প্রত্যেকটা শব্দ এই অভিধান থেকে নেওয়া।

পাবলো নেরুদার স্ত্রী মাতিলদা উরুটিয়া নেরুদাকে নিয়ে একটা বই লিখেছিলেন—‘মাই লাইফ উইথ নেরুদা’। আন্দালিব রাশদীর অনুবাদে বইটি বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত। নেরুদার সাথে রবীন্দ্রনাথের প্রতিতুলনায় তিনি বললেন, “পাবলো নেরুদার মতো বহুল পঠিত কবি পৃথিবীতে আর একজনও নেই। আমরা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত গর্বই করি না কেন—রবীন্দ্রনাথ আমাদের খুব প্রিয় কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রিয় না।” আন্দালিব রাশদী মনে করেন, এ বইটি নেরুদা আর মাতিলদার প্রেমের উতুঙ্গ সময়কে ধরে আছে, সে হিসেবে বইটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বইটি অনুবাদ করে তিনি তৃপ্তি পেয়েছেন বলেও জানান সাক্ষাৎকারে।

মূলত লাতিন আমেরিকার সাহিত্যকে তুলে ধরতে দুই বন্ধু-শত্রু মার্কেজ এবং ইয়োসাকে নিয়ে তাঁর আরেকটি বই—‘গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ও মারিয়ো ভার্গাস ইউসা’ মেলায় এনেছে কথাপ্রকাশ।

‘এসএসমএস যুগের আগে’ নাম নিয়ে তার আরেকটি উপন্যাস আসছে এই বইমেলায়। প্রযুক্তির কল্যাণে বিদ্যুৎ-গতিতে পরিবর্তিত সমাজ এবং সভ্যতার ছায়াহীনতায় মানুষেরা তাদের পূর্বেকার যে সহজ-স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়ে বসেছে, সেই যুগকে নিয়েই এই উপন্যাস।

বিশ্বসাহিত্যের কয়েকজন লেখকের গল্পের অনুবাদ নিয়ে তাঁর আরেকটি বই—‘আমরা অমৃতসর পৌঁছে গেছি’। এখানে বিশ্ব সাহানির লেখা নামগল্পটি দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে সাদত হাসান মান্টো, কৃষণ চন্দরের গল্পের সাথে পরিচিত বাংলাদেশের পাঠকদের মনে দাগ কাটবে।

চিত্রকলার ওপর আলোঘর থেকে প্রকাশিত ‘বিশ্বসেরা ৫১ চিত্রশিল্পী’ বইটি নিয়ে তিনি বলেন, “পেইন্টিংয়ের ওপরে এ ধরনের কালারফুল বই এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। এটা মূলত যারা পেইন্টার এবং পেইন্টিং নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে তাদের জন্য লেখা, বইটা পড়ে আগ্রহ আরো উসকে যাবে তাদের।”

আন্দালিব রাশদীর আগ্রহের পরিধির বিচিত্রতাও বিস্ময় জাগানোর মতো। তাঁর অতলগামী অভিজ্ঞতার একটু পরিচয় পাওয়া যায়, যখন তিনি বইপ্রহরে ‘সচিব সাহেব’ উপন্যাসের ব্যাপারে জানাতে গিয়ে বর্ণনা করেন—“আমরা যখন সচিবালয়ের করিডোর দিয়ে হাঁটি, আমার শরীর যত চিকনই হোক কিন্তু মনে হয় এই করিডোরটা খুব অপ্রশস্থ। আমাকে ধারণ করতে পারে না। তখন আমাদের হাত প্রসারিত হয়ে যায়, আমাদের অজান্তে আমাদের দৈর্ঘ্য বেড়ে যায়, আমাদের প্রস্থ বেড়ে যায়। আমরা এর মধ্যে চলতে থাকি।”

নিজের অভিজ্ঞতার বরাতসহ আমলাতন্ত্রকে তিনি বর্ণনা করেন এভাবে—“আমলাদের একটি বিশেষ প্রবণতা—এটাকে বলা হয় ম্যাগালোম্যানিয়া—আমরা কী হয়ে গেছি আমরা কত বড়!”

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;