বইমেলায় শেখ কামালকে নিয়ে সনৎ বাবলার বই

  • মিলু হাসান, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সনৎ বাবলার লেখা বই ‘শেখ কামাল ক্রীড়াঙ্গনের ধুমকেতূ’

সনৎ বাবলার লেখা বই ‘শেখ কামাল ক্রীড়াঙ্গনের ধুমকেতূ’

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ কথাপ্রকাশ থেকে আসছে সনৎ বাবলার বই ‘শেখ কামাল ক্রীড়াঙ্গনের ধুমকেতূ’।

বঙ্গবন্ধু ‍শেখ মুজিবুর রহমানের বড় পুত্র শেখ কামাল ছিলেন বিস্ময়করভাবে প্রজ্ঞাবান একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড চঞ্চল, ডানপিটে শেখ কামালের খেলাধুলায় ছিল প্রচণ্ড আগ্রহ। শাহীন স্কুলে থাকাকালীন অংশগ্রহণ করতেন প্রায় সব খেলায়। কী ফুটবল, কী ক্রিকেট, কী হকি, সবকিছুতেই শেখ কামালের সরব উপস্থিতি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের খেলার মাঠে যে আধুনিকায়ন তা শুরু হয় শেখ কামালের হাত ধরেই। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুদ্ধের গোলাবারুদের মাঝে বসে তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, দেশে ফিরে এসেই শুরু করেন তা বাস্তবায়নের কাজ।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা। সেই বছরই এ সংস্থার পক্ষ থেকে ইকবাল স্পোর্টিং ফুটবল দল কিনে নেওয়া হয়। সেইসাথে কিনে নেওয়া হয় ক্রিকেট আর ফুটবল টিমও। এসব দল মিলে তিনি গড়ে তোলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র। এর ফসল ছিল আশি আর নব্বইয়ের দশকজুড়ে ঢাকার ফুটবল মাঠগুলোয় কানায় কানায় দর্শক। আবাহনী-মোহামেডানের মধুর দ্বৈরথ।

বিজ্ঞাপন

শেখ কামাল চাইতেন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে একটা পাকাপোক্ত আসন করে নিক। নিরলসভাবে কাজ করে যেতেন তিনি। ১৯৭৩ সালে বিদেশি কোচ বিল হার্টকে এনে তো তিনি রীতিমত সবাইকে অবাক করে দেন। ওই সময় ক্লাব দল তো দূরের কথা, উপমহাদেশের কোনো জাতীয় ফুটবল দলের বিদেশি কোচ ছিল না।

শেখ কামাল ছিলেন একজন তূখোড় স্বাপ্নিক মানুষ। তার স্বপ্নের ডানায় ভর দিয়েই ১৯৭৪ সালে কলকাতার মানুষও দেখে আবাহনীর অসাধারণ ফুটবল নৈপুণ্য। তারা অবাক হয়ে যায় ছোট ছোট পাসের জাদুতে। তিনি এতটাই ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন যে সহধর্মিণী হিসেবেও ১৯৭৫ সালে বেছে নেন আরেক সুনামধন্য ক্রীড়াবিদ সুলতানা কামালকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় ঘাতকের হাতে শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাঙলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক স্বপ্ননায়ক, অকালেই ঝরে গেলেও তাঁর অবদান কোনোদিন বাঙলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ভুলবে না।

ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান নিয়ে বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যাবে সনৎ বাবলার বই ‘শেখ কামাল ক্রীড়াঙ্গনের ধুমকেতূ’-তে।