“কবিতা নতুন কিছু না, যেহেতু গদ্যেই কবিতা ছিল”



রোজেন হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার এডিটর
গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালের ৫ মার্চ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখালেখি শুরু আশির দশকে। নাসরীন জাহানের গদ্য ঝরঝরে, ঋজু, মেদহীন। তার পর্যবেক্ষণশক্তিও গভীরতাশ্রয়ী, তিনি যে কোনো ক্ষুদ্র বিষয়কেও মেলাতে পারেন সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যার মূল বিন্দুতে। এ কারণে দুই বাংলাতেই সমঝদার পাঠকরা তাকে সমান আগ্রহে গ্রহণ করেছেন।

দীর্ঘ সাহিত্য জীবনে তিনি অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম উপন্যাস ‘উড়ুক্কু’র জন্য ১৯৯৪ সালে ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯৫ সালে পাওয়া আলাওল সাহিত্য পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

সম্প্রতি বার্তা২৪-এর বিশেষ আয়োজন বইপ্রহরে কবি ও সাংবাদিক শিমুল সালাহ্উদ্দিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাসরীন জাহান। বইমেলায় বেরিয়েছে তাঁর নতুন দুটি বই—এর মধ্যে একটি কবিতার এবং অন্যটি উপন্যাস। এ বই দুটি নিয়েই মূলত কথা বলেছেন তিনি। আলাপকালে অনেক বিষয়ের সাথে এসেছে—কেন অতি সাম্প্রতিক সময়ে কবিতা লিখতে শুরু করেছেন, তাঁর সাহিত্যজীবন এবং স্বামী আশরাফ আহমদের সাথে দাম্পত্য জীবন।

দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক তখন কবি আহসান হাবিব। নাসরীন জাহান এবং তাঁর স্বামী আশরাফ আহমদ দুজনেরই যথাক্রমে গল্প-কবিতা প্রকাশিত হতো। তারা পরস্পরকে না দেখেই মুগ্ধ হন লেখায়, কালক্রমে একজন আরেকজনের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন।
শিমুল সালাহ্উদ্দিনের সাথে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে তিনি, “আশরাফের কবিতা ওখানে ছাপা হতো, আমার গল্পও সেখানে ছাপা হতো। এভাবেই আমাদের দুজনের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আমার গল্প সে পছন্দ করত আর তার কবিতা আমি পছন্দ করতাম।”


আরো পড়ুনঃ সাক্ষাৎকারে আন্দালিব রাশদী “দুই নাম্বারি মুক্তিযোদ্ধা সচিবরা আমারই বন্ধু”


শিল্পমূল্যায়নের প্রশ্নে নিজের আপোসহীন অবস্থানকে তিনি ব্যাখ্যা করেন এভাবে—“... শিল্পের ব্যাপারে, আমার বাবাও যদি খারাপ লিখতেন, আমি জীবনেও বলতে পারতাম না যে তিনি ভালো লেখেন।”

এবার মেলায় কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত তাঁর ‘মদের গেলাসে নাচে বরফের ওম’ বইটি নিয়ে কথায় কথায় উঠে এসেছে কিভাবে তিনি কবিতা লিখতে শুরু করলেন সেই গল্প। জানান সেটি ছিল ফেসবুক কেন্দ্রিক—“...তখন আমি ওখানে স্ট্যাটাস দিতাম, আমি যে স্ট্যাটাসই দিতাম সবাই বলত আপনি কবিতা লিখছেন, মুশকিল হয়ে গেল আমার সব স্ট্যাটাসেই সবাই বলত আহা কী সুন্দর কবিতা। কাব্যিকও না, বলত কী সুন্দর কবিতা।”

তিনি বলেন, “আমরা যারা সিরিয়াস লেখক, ফেসবুককে খুব ফালতু মনে করতাম। তো মাঝখানে প্রচণ্ড একটা অসুখ হয়ে গিয়েছিল আমার, তখন আমার ছোট বোন ঝর্ণা ইয়াসমিন এসে আমাকে ফেসবুক ধরিয়ে দিল সময় কাটানোর জন্য। ফেসবুকে আমি অনেক পুরনো মানুষকে খুঁজে পেলাম, এইভাবে একটা নেশা তৈরি হয়ে গেল, বিশ বছর তিরিশ বছর আগে একজনকে হারিয়ে ফেলেছিলাম, ফেসবুকে তাকে খুঁজে পেলাম।”


গত শতকের আশির দশকে বাংলা কথাসাহিত্যে নাসরীন জাহানের জমকালো আবির্ভাব। একের পর এক সফল উপন্যাস তাঁকে উভয় বাংলায় বোদ্ধা পাঠকদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। উপন্যাস ‘উড়ুক্কু’র জন্য পান ফিলিপস পুরস্কার। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য। তাঁর উপন্যাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আলোচনা করেন কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কথাসাহিত্যে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করেই ক্ষ্যান্ত নন। সম্প্রতি লিখছেন কবিতা। এবার বইমেলায় অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মদের গেলাসে নাচে বরফের ওম’ এবং একই প্রকাশনা থেকে প্রকাশিতব্য তাঁর নতুন উপন্যাস ‘সূর্যাস্তের শেষ রঙ’। কথা বলেছেন বইমেলা উপলক্ষে বার্তার বিশেষ আয়োজন ‘বইপ্রহর’-এ।


মেলায় অন্যপ্রকাশ থেকে বেরিয়েছে নাসরীন জাহানের নতুন উপন্যাস ‘সূর্য়াস্তের শেষ রঙ’। উপন্যাসটি নাসরিন জাহানের জাহাঙ্গীরনগরে দেখা জীবনের অন্য এক অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। জানালেন, পুরো উপন্যাসে জাহাঙ্গীর নগরের এক বিশদ ছাপ ফেলেছেন তিনি। উপন্যাসটির প্লট পেয়েছিলেন একদিন ঘুম না আসা রাতে। বললেন, “ঘুম আসছিল না, তখন এই থিমটা পেলাম—খুবই সুন্দরী এক নারীকে কুত্সিত এক পুরুষ অপহরণ করে, পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করে, মারধোর করে, পরে সেই মেয়ের গর্ভে যে বাচ্চা হয় সেই মেয়ে তাকিয়ে দেখে বাচ্চাটা হুবহু বাবার মতো হয়েছে, এটা দেখে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।”

অপহরণকারী যখন মেয়েটির সন্তানের পিতা হয়ে গেল, আর সেই সন্তান যখন হুবহু পিতার আদল পেলে, তখন সেই নারীটির সাথে তার মেয়ের দ্বন্দ্বই উপন্যাসে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে। মা আর মেয়ের এই দ্বন্দ্বের একটি দার্শনতাড়িত পরিসমাপ্তির বা পরিণতির কথা তিনি বলেছেন এভাবে—“শেষ দিকে দেখা গেল যে, মা দাঁড়ায় না, ব্যক্তি দাঁড়িয়ে যায়।”

নাসরীন জাহানের গদ্যের স্বীকৃত গুণ হলো তা কাব্যতাড়িত, কবিতার অনেক চোরাগুপ্তা ইঙ্গিত এবং অনেক সময় কবিতার আবেশ জড়িয়ে থাকে তাঁর লেখায়। বইপ্রহরে কবিতার বই প্রকাশের অনুভূতি অন্যরকম কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, “অন্যরকম তবে খুব বেশি অন্যরকম না, অনেক অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল, যদি আমার গদ্যের মধ্যে কবিতা না থাকত।”

জানালেন, তিনি ছড়া লিখতেন একসময়, বাংলা কবিতার তিনটি ছন্দই তাঁর জানা আছে। তবে কবিতায় ছন্দের দিকে যাননি। ‘মদের গেলাসে নাচে বরফের ওম’ বইয়ে বেশির ভাগই গদ্যকবিতা—সেখান থেকে বইপ্রহরে পড়ে শোনালেন মাত্রাবৃত্তে লেখা প্রকৃতি গান নামে একটি কবিতাঃ

আঁধারের পাতাগুলো গান দিয়ে বোনা
বাতাসের কান্নায় সুর যায় শোনা
জলের কান্না ভারি মিষ্টি ও মিহি
শীত কাঁদে তার সাথে রাত্তিরে হি হি
এর মাঝে তুমি খাও প্রেমময় চুমো
আকুল পরাণে বলো ঘুমো সোনা ঘুমো
হি হি রব শুষে নেয় জ্যোৎস্নার ঘ্রাণ
বনভূমি তন্ময় কী আকুল প্রাণ
এরপর রোদ্দুর তার গান গাই
ডানাবোঝা রাত্তির বলে আমি যাই।

নাসরীন জাহানের কথাসাহিত্যিক সত্তার অন্তরালে লুকোনো কবিসত্তা এবার স্বরূপে তার পথ করে নিয়েছে। বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস ও কবিতা পড়তে তাঁর পাঠকরাও উন্মুখ থাকবেন।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;