বইমেলায় বিদ্যানন্দের ভিন্ন আয়োজন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বইমেলা প্রাঙ্গণে বিদ্যানন্দের স্টল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বইমেলা প্রাঙ্গণে বিদ্যানন্দের স্টল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা মানেই দেশ-বিদেশের নানা বইয়ের সমাহার, লেখক ও পাঠকদের সমাগম। মেলায় পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করতে ভিন্ন ধরনের আয়োজন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি পুরাতন জিনিসপত্রের বিনিময়ে দিচ্ছে নতুন বই সংগ্রহের সুযোগ।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিদ্যানন্দের স্টল (৭৭ নম্বর) ঘুরে দেখা যায়, নগদ অর্থের পাশাপাশি পুরাতন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল বা ওষুধের বিনিময়ে বিদ্যানন্দের স্টল থেকে বই কিনতে পারবেন পাঠকরা।

বিজ্ঞাপন
ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে বিদ্যানন্দের স্টল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবেশ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন করতে স্টলটিও সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল, বোতলের মুখ, খবরের কাগজ, নির্বাচনী পোস্টার, নষ্ট হওয়া ইলেকট্রনিকসের যন্ত্রপাতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে সাজানো হয়েছে এ স্টল।

এসব জিনিসপত্র দিয়ে স্টলের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা শিল্পকর্ম। এসব শিল্পকর্মে মানুষ ও প্রাণীদের ওপর প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। প্লাস্টিক ব্যবহারে সংযত হওয়ার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে এসব শিল্পকর্মে।

বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে বিদ্যানন্দের স্টল/ছবি: বার্তা২৪.কম

স্টলের বিক্রয়কর্মী সুলতানা জান্নাত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আসলে আমরা মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে, একজনের জন্য যা বর্জ্য, অন্যের জন্য সেটা সম্পদ। আমরা চেষ্টা করি বর্জ্যকে কাজে লাগানোর। কারণ দিনদিন পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে চলে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণত মোবাইল, ল্যাপটপ ও ওষুধ এক্সচেঞ্জ করে বই দিচ্ছি। এখান থেকে সংগৃহীত মেডিসিন চলে যাবে আমাদের মেডিকেল ক্যাম্পে। মোবাইল চলে যাবে বিচ্ছিন্ন কোনো পরিবারের কাছে, যারা স্বাভাবিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ল্যাপটপগুলো যাবে এতিমখানার ল্যাবে।

বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে বিদ্যানন্দের স্টল/ছবি: বার্তা২৪.কম

মানুষের সাড়া কেমন পাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে তেমন সাড়া পাচ্ছি না। কিন্তু মানুষ আমাদের অ্যাপ্রিশিয়েট করছে। আমরা যে মেসেজ মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, সেটা পৌঁছাচ্ছে।

হারুনুর রশিদ নামের তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পুরাতন ও পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে অনেক সময়ই আমরা নতুন কিছু ক্রয় করে তাকে থাকি বা এক্সচেঞ্জ করে থাকি। তবে পুরাতন কিছু দিয়ে বই সংগ্রহের ব্যাপারটা নতুন। এটা অভিনন্দন পাওয়ার মত। পাশাপাশি তাদের (বিদ্যানন্দ) পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করতে নানা আয়োজন ভালো লেগেছে।