“উপযোগিতা যদি হয় তবেই সেটা নান্দনিক।”



রোজেন হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার এডিটর
গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এনামুল করিম নির্ঝরের জন্ম ২৩ নভেম্বর ১৯৬২ সালে রাজশাহীতে। তিনি একাধারে স্থপতি, চলচ্চিত্র পরিচালক, আলোচিত্রী, লেখক, সুরকার ও গীতিকার। তাঁর পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আহা’ পেয়েছে শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ চারটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। নির্ঝর স্থাপত্যকলায়ও কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন দেশে বিদেশে অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। ২০১৯ সালের এবং এ বছরও বিনা পারিশ্রমিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার নকশা করে দিয়েছেন তিনি। যা একই সাথে নান্দনিক এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীবান্ধব হওয়ায় ইতোমধ্যেই বেশ প্রশংসিত।

বইমেলা উপলক্ষে বার্তা২৪-এর বিশেষ আয়োজন বইপ্রহরে কবি ও সাংবাদিক শিমুল সালাহ্উদ্দিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন এনামুল করিম নির্ঝর। কথা বলেছেন বইমেলার নকশা, তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও প্রকাশিতব্য একটি বই নিয়ে। মেলার বিন্যাসে সীমাবদ্ধতা ও এর থেকে উত্তরণের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বিষটিও উঠে এসেছে আলাপচারিতায়।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলাদেশের মাসব্যাপী চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই এ মেলায় প্রচুর জনসমাগম ঘটে। বাংলা একাডেমির পক্ষে এই বিশাল জনসমাগমকে একটি নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে এনে সেবা প্রদান করা প্রায়শই অসম্ভব হয়ে পড়ে। এনিয়ে প্রতিবছরই লেখক-পাঠক-প্রকাশক-দর্শনার্থীদের অভিযোগের অন্ত ছিল না। গত বছর থেকে অপরিকল্পনার বেড়ি ভেঙে বইমেলায় একটি শৈল্পিক পরিকল্পনার ছাপ নিয়ে এসেছেন এনামুল করিম নির্ঝর।

এবারের বইমেলার বিন্যাসে নতুন কী যুক্ত হয়েছে?
জবাবে নির্ঝর বললেন, “জায়গাটা বড় হয়েছে, জ্যামিতিকভাবে আরো বেশি শৃঙ্খলার মধ্যে আমরা আনতে পেরেছি, যেটা গতবার ছিল না। বিন্যাসের বিষয়ে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল—কোন জায়গাটুকু পাব, সেটা আমরা জেনেছি দেরি করে, মেলার সামনে যে রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প ছিল সেটা মাথায় রেখে করা হয়েছে।”


অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বর্ধিত হবার কয়েক বছর কেটে গেছে। গত বছর থেকে বইমেলার নকশা করছেন গুণী নির্মাতা ও স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় মেলার আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে বহুদিনের চর্চিত অভিযোগ কিছুটা হলেও স্তিমিত। এ বছরও অমর একুশে গ্রন্থমেলার নকশাকার এনামুল করিম নির্ঝর। কিভাবে বিন্যাস্ত হলো এবারের বইমেলা? স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে, কোনো প্রকার অর্থ না নিয়ে বইমেলার নকশা করে দেওয়া এই স্থপতি কথা বলেছেন বইমেলা নিয়ে বার্তার বিশেষ আয়োজন ‘বইপ্রহর’-এ


এবার বইমেলা স্বাধীনতা স্তম্ভের দুপাশে হচ্ছে। এর ফলে মেলার একটি প্রতিবম্ব তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “কনসেপ্টের ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত যে, পার্কের জায়গা দখল করে মেলা হয় না, পার্কের মধ্যে মেলা হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রথম ধাপে এর খানিকটা বাস্তবায়িত হলেও, সমস্যাগুলো হুট করে মিটে যাওয়ার মতো নয়।


তাঁর মতে নান্দনিকতার অর্থ দেখার সৌন্দর্যে নয়। সেটা তাঁর কাছে খুবই পোশাকি এবং স্বল্প দৃষ্টিভঙ্গির একটি বিষয়। নির্ঝরের ভাষায়—“উপযোগিতা যদি হয় তবেই সেটা নান্দনিক।”

তিনি জানান, বইমেলার ইতিহাস এবং এর অন্তর্গত শক্তি মেলার সামগ্রিক কাঠামোতে প্রভাব ফেলেছে। বললেন, “আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এর সাথে অনেকগুলো ইতিহাস আছে, বিশাল বড় একটা আকর্ষণের জায়গাছে আছে এখানে সেটি স্বাধীনতা স্তম্ভ—সেই স্তম্ভের সাথে যদি স্পিরিটটা এড না করতে পারি, তবে কিসের মেলা কিসের কি।”

বইমেলার সামগ্রিক নকশাকরণে নিজেসহ পুরো অফিসের স্বেচ্ছাশ্রম প্রসঙ্গে নির্ঝর বলেছেন, “আমার অফিসের সবাই এখানে জড়িত, আরো দুটো আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান—এরাও কাজ করছে। সেই সুবাদে আমার আগের যা যা চর্চা ছিল যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, ভাষা নিয়ে কাজ, এই সবকিছুকে মিলিয়ে একটা সমন্বিত মাত্রায় নিয়ে আসতে পারছি।” স্বেচ্ছাশ্রমের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন দেশের জন্য কিছু করার উন্নত মনোভাব।

বাংলা একাডেমি যদি সুযোগ দেয়, আগামী বছর অর্থাৎ স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বইমেলার নকশা করতে চান এনামুল করিম নির্ঝর।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;