“পার্থক্য তৈরি করার জন্য কোনো কিছুকে বেছে নিইনি”



রোজেন হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার এডিটর
গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

গ্রাফিক: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ কবিতাভবন প্রকাশ করেছে মাসুদ খানের নতুন কবিতার বই ‘ঊর্মিকুমার ঘাটে’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাতিঘরের ৪৪৩-৪৪৫ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

মাসুদ খানের প্রথম বই ‘পাখিতীর্থ দিনে’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর ২০০১ সালে ‘নদীকূলে করি বাস’, ২০০৬ সালে ‘সরাইখানা ও হারানো মানুষ’, ২০১১ সালে আঁধারতমা আলোকরূপে তোমায় আমি জানি, ২০১২ সালে ‘হাওয়াকল’, ২০১৪ সালে ‘এই ধীর কমলাপ্রবণ সন্ধ্যায়’, পরের বছর ‘দেহ-অতিরিক্ত জ্বর’, ২০১৬ সালে ‘প্রজাপতি ও জংলি ফুলের উপাখ্যান’, ২০১৮ সালে ‘প্রসন্ন দ্বীপদেশ’, এবং গত বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর ‘পাখপাখালির গান পাগলাঝোরার তান’। এছাড়া তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ও ‘গদ্যগুচ্ছ’ সংকলিত হয় ২০১৮ সালে।

নতুন প্রকাশিত তাঁর কবিতার বইটি, নিজস্ব লেখালেখির জগৎসহ বর্তমান সাহিত্যাঙ্গন ও আরো নানাবিধ বিষয়ে সম্প্রতি বার্তা২৪-এর সাথে কথা বলেছেন মাসুদ খান


বার্তা২৪: ঊর্মিকুমার ঘাটে বইটা সম্পর্কে জানতে চাইব।
মাসুদ খান: ২০১৮-তে ‘প্রসন্ন দ্বীপদেশ’ কবিতার বইটি প্রকাশিত হবার পর থেকে গত দুই বছরে যে কবিতাগুলি লিখেছি সেগুলি নিয়েই এবারকার বই ঊর্মিকুমার ঘাটে। বরাবরের মতোই এ বইয়েরও উপজীব্য প্রেম, প্রকৃতি, মানুষ, জীবন, সমাজ-সংসার, বিশ্ব-মহাবিশ্ব আর এদের রহস্য, এদের নৈঃশব্দ্য ও কলরব, যা জলছাপের ইশারার মতো লিপ্ত হয়ে আছে কবিতার শরীরে। শব্দে-নৈঃশব্দ্যে, ছন্দে-দুন্দে, রূপনিধি রজকিনী আর যোগিনী ব্যঞ্জনায়, পিশাচীস্পর্শে, লাল-কালো কোলাহলে জেগে-ওঠা এক ভোরের ঊর্মিকুমার ঘাট।
বইটির অনেক কবিতাই ছাপা হয়েছে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায়। নানা সময়ে নানাভাবে সাড়া পেয়েছিলাম কবিতাগুলির ব্যাপারে। বইটার বেশ কিছু কবিতা ছিল অপ্রকাশিত। এখন সব মিলিয়ে বইটি প্রকাশের পর বেশ সাড়া পাচ্ছি সংবেদী সমঝদার পাঠকদের।

বার্তা২৪: আপনার পূর্ববর্তী কবিতার বইগুলোর সাথে এই বইয়ের পার্থক্য আছে কি, কবিতাগুলোতে কি নতুন কোনো দিকে যেতে চেয়েছেন?
মাসুদ খান: প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি বইয়েই একটু একটু করে বদলে গেছি, ভাব ও ভাষা উভয়ত। এ বইটাতেও। তবে ব্যাপক কোনো বদল নয়। আমার প্রতিটা কবিতার বইয়ে থাকে এক বা একাধিক দীর্ঘ কবিতা। এবারকার বইটিতে নেই। এবারে জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটি গীতিকবিতা। রয়েছে বেশ কিছু ছোট ছোট কবিতা। আর আছে সব অনুচ্চ স্বরের হর্ষবিষাদ পদাবলি।

বার্তা২৪: আপনার প্রথম কবতিার বই ‘পাখিতীর্থ দিনে’ প্রকাশতি হয়ছেলি ১৯৯৩ সালে এরপর ২০০১-এ ‘নদীকূলে করি বাস’। প্রথম বইয়রে পর দ্বিতীয় বই করতে এত দীর্ঘ সময় নিয়েছিলেন কেন?
মাসুদ খান: এক তাড়াবিহীন ধীরগতি সময় কেটেছে সেই বছরগুলিতে। হঠাৎ হঠাৎ দু-একটি করে কবিতা লেখা হতো। বেশি হতো আড্ডা আর পঠনপাঠন। তারপরও ৭/৮ বছরে লেখা হয়েছিল অনেকগুলি কবিতা। পরে সেগুলি একত্র করে ৫ ফর্মার ‘নদীকূলে করি বাস’।

বার্তা২৪: আপনার কবিতায় বিজ্ঞান এবং এর নানা অনুষঙ্গের বড় ভূমিকা পাওয়া যায়। সেখানে ব্যক্তি, বস্তু, সমাজ, সভ্যতা, মহাবিশ্ব সবকিছুর সাথেই বিজ্ঞানের একটা সংযোগ থাকে। আপনি কি তিরিশ এবং তিরিশ পরবর্তী কবিদের সাথে নিজের কবিতার পার্থক্য তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানকে বেছে নিয়েছিলেন?
মাসুদ খান: তাই কি? বিজ্ঞানকে কি খুব বড় ভূমিকায় পাওয়া যায় আমার কবিতায়? পুরাণ নৃতত্ত্ব অধিবিদ্যা ইতিহাস ভূগোল সমাজ-রাজনীতি... মানববিদ্যার সব বিষয়ই তো অনুষঙ্গ আকারে থাকে আমার কবিতায়, সেইসঙ্গে প্রকৃতিবিজ্ঞানও। বিজ্ঞানের বিষয়টা আগেও কবিতায় ছিল—বিশ্বকবিতায়, বাংলাকবিতাতেও। নতুন কিছু না। তবে বলতে পারেন, একটা কসমিক ভিউ, একটা ক্ল্যাসিক এপিক লক্ষণা বা ব্যঞ্জনা প্রায়শই থাকে আমার কবিতায়, দীর্ঘ কবিতায় তো বটেই, এমনকি থাকে হ্রস্ব কবিতাতেও। পার্থক্য তৈরি করার জন্য ঠিক কোনো কিছুকে বেছে নিইনি আসলে।

বার্তা২৪: আপনার কিছু কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির নানা বিরোধিতা আছে। সেখানে ঔপনিবেশিক বিভিন্ন ধ্যান-ধারণার একটা পাল্টা ভাষ্য পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সত্তরের দশক-পরবর্তী সময়ের রাজনৈতিক কবিতা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? এই সময়ে রাজনৈতিক কবিতা আদৌ লেখা হচ্ছে কি বা কবিতায় গণমানুষের উপস্থিতি পান?
মাসুদ খান: কবিতাকে কবিতা হয়ে উঠতে হয় সবার আগে। তারপর বিবেচনায় আসে তার উপজীব্য বিষয় ও অনুষঙ্গরাশি। কবিতায় সমাজ-রাজনীতি বা যে কোনো বিষয়ই থাকতে পারে, কিন্তু তাকে থাকতে হয় জলছাপের মতো, আবছা ইশারা আকারে। সমস্ত বিষয়, প্রসঙ্গ ও অনুষঙ্গকে ছাপিয়ে কবিতাকে ফুটে উঠতে হয় ফুল ফোটার মতো করে। কবিতা বা যে কোনো নন্দনশিল্প মানেই রূপ রচনা, সৌন্দর্য সৃজন। যে কোনো বিষয়খণ্ড কিংবা অনুষঙ্গপুঞ্জকে ঘিরে এমনকি বিষয়হীনতা ঘিরেও সৃজিত হতে পারে সেই সৌন্দর্য। সমাজ-রাজনীতিসহ বিচিত্র বিষয় নিয়েই কবিতা হচ্ছে এ সময়ে, হচ্ছে ‘নির্বিষয়’ কবিতাও।

বার্তা২৪: কবিতার পাশাপাশি আপনি গদ্য লিখছেন, কয়েক বছরে ধরেই গদ্যের বই প্রকাশিত হচ্ছে আপনার। হঠাৎ গদ্য লিখতে শুরু করলেন কেন?
মাসুদ খান: হঠাৎ না তো, আগে থেকেই লিখতাম। তবে খুব কম-কম। একটি প্রবন্ধ/নিবন্ধের বই (গদ্যগুচ্ছ) আর একটি কথাসাহিত্যের বই (প্রজাপতি ও জংলি ফুলের উপাখ্যান) বের হয়েছে এ যাবৎ। অবশ্য আরেকটি মুক্তগদ্যের (আমি বলি গদ্য-আলেখ্য) বই আছে আমার—‘দেহ-অতিরিক্ত জ্বর’। অনেকে এ বইয়ের লেখাগুলিকে কবিতা বলেই বিবেচনা করে। তুলনামূলকভাবে কবিতাতেই আমি স্বচ্ছন্দ বেশি।

বার্তা২৪: বাংলা সাহিত্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
মাসুদ খান: ভালো, বৈচিত্র্যপূর্ণ। বইছে বহু বাতাস, ফুটছে নানা ফুল, প্রবাহিত হচ্ছে বহু ঝরনা।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;