দেড়শো লেখাকে গুলি করে মেরে গ্যাব্রিয়েল সুমনের একটি হলুদ বই



রোজেন হাসান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার এডিটর
গ্যাব্রিয়েল সুমন ও তাঁর বইয়ের প্রচ্ছদ

গ্যাব্রিয়েল সুমন ও তাঁর বইয়ের প্রচ্ছদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ চৈতন্য প্রকাশ করেছে গ্যাব্রিয়েল সুমনের তৃতীয় কবিতার বই লাস্ট নাইট অ্যাট প্যাগোডা। মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চৈতন্যের ২৫০-২৫১ নং স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

গ্যাব্রিয়েল সুমনের প্রথম কবিতার বই হাওয়া কাঠের ঘোড়া ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৮ সালে বেরিয়েছিল দ্বিতীয় কবিতার বই ফ্লপ অডিয়েন্স। নতুন প্রকাশিত তাঁর তৃতীয় বইটি, লেখালেখি ও নিজস্ব পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি বার্তা২৪.কমের মুখোমুখি হন গ্যাব্রিয়েল সুমন


বার্তা২৪: লাস্ট নাইট অ্যাট প্যাগোডা বইটি নিয়ে জানতে চাইব।
গ্যাব্রিয়েল সুমন: ‘লাস্ট নাইট অ্যাট প্যাগোডা’র লেখাগুলি তো বটেই আমার সব লেখাই আসলে আমার মনোজগতের ইনসাইট, অন্তর দৃষ্টি কিংবা বলতে পারেন আমার মনোজগতের প্রেস রিলিজ, যেটা প্রকাশিত হয় আমার নিজের ভাষায়। এখন বলতে পারেন এই ভাষা কে তৈরি করল। এই ভাষা তৈরি করেছে আমার কবিতাযাপন, আমি যে জীবনটি যাপন করছি, পৃথিবীর সাথে, প্রকৃতির সাথে আমার যে রিলেশন; সেখান থেকে এসেছে এই ভাষা, এইসব কথা, চিন্তা ইত্যাদি।

বার্তা২৪: কবিতাগুলো নিয়ে নিজের ভাষা নিয়ে কোথায় যেতে চেয়েছেন এ যাত্রায়?
গ্যাব্রিয়েল সুমন: এইখানে আমি কিংবা আমার ভাষা আসলে শূন্য ও শূন্যতার দিকে যেতে চেয়েছে। “১টা ডিমের গায়ে বিষপিপড়ের ছবি একে দেখতে চেয়েছি বিষাদ ঠিক কোন পথে হেটে হেটে আনন্দের দিকে যায়”—ভূমিকায় আমি যেমন বলতে চেয়েছি। এ এক পরিভ্রমণ বলতে পারেন আমার মনোজগতের সাথে আমার নিজের। এইখানে আসলে একটা পুরো সিনেমা আছে, মনের দিক দিয়ে স্থির ও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এই সিনেমা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পাঠে সেটি হয়তো ঘটবে না বা পুরোপুরি প্রকাশিত হবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

বার্তা২৪: আপনার কবিতার পাঠক কারা?
গ্যাব্রিয়েল সুমন: আমার দুয়েকজন পাঠক আছেন বলে আমার মনে হয়েছে বিভিন্ন সময়ে, যাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। এই সময়ে যারা কবিতা লিখতে এসেছেন, তারা এদের বাইরে। বা, আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত মানুষজন, বন্ধু বা প্রেমিকা বা পরিবারের মানুষজন নন। তাদের জন্যই আসলে আমার এই বইটি।

বার্তা২৪: আপনার আগের বই দুটির চেয়ে এটিকে কী কী কারণে আলাদা বলবেন?
গ্যাব্রিয়েল সুমন: আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। আমি একক ও অদ্বিতীয়। প্রতিবার বই প্রকাশের মাধ্যমে আমি নিজেকে টপকাবার একটা খেলা খেলি নিজের সাথে। কতটা পারছি সেই বিবেচনায় আমি যাই না কখনো। খেলাটা যে খেলি, সেই আনন্দটা গুনে গুনে পুরোটা উপভোগ করি। আমার প্রথম বইয়ের যে ভাষা সেখান থেকে আমি কিছুটা সচেতনভাবে এবং কিছুটা প্রকৃতিগতভাবে সরে এসেছি। আমার নিজের বানানো অনেক শব্দ পাঠক পাবেন প্রথম বইয়ে। সেই জায়গা থেকে সরে এসেছি সচেতনভাবে। আবার, কবিতা থেকে মেদ পুরোপুরি ঝরাতে চেয়েছি। মূল ভাষাটা ঠিকই আছে, শুধু মেলোডি থেকে রকের দিকে চলে গিয়েছে। আমার জীবনে বিগত অর্ধযুগে যে ব্যাপারগুলি যোগ হয়েছে, সেইগুলির সাথেও পাঠক প্রথমবারের মতো পরিচিত হবেন। একটা সময়ে এসে আমার মনে হয়েছে, আমার জীবনে প্রচুর ক্লাইমেক্স, রহস্য আর নাটকীয়তা। তার একটা রেশ এখানে একইসাথে প্রকাশিত ও গুপ্ত। গুপ্ত এইজন্য বলছি যে, এটি সময়ের সাথে সাথে দৃশ্যমান হবে।

বার্তা২৪: কবিতায় আপনি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশ্বাস করেন?
গ্যাব্রিয়েল সুমন: ২০১৩ সালে আমার প্রথম কবিতাপুস্তক ‘হাওয়াকাঠের ঘোড়া’ প্রকাশিত হবার পরপরই আমি একসাথে একাধিক কবিতাসংক্রান্ত ভাবনার রাস্তা তৈরি করি। এটা একধরনের এক্সপেরিমেন্ট আপনি বলতে পারেন, আবার একটা পথের সন্ধান পেয়েছি এটাও ভাবতে পারেন। তখন একাধিক চিন্তাসূত্র ধরে আমি লিখতে থাকি। জীবনের আরো যে ব্যাপারগুলি আছে সেখান থেকে আমি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে শুধু কবিতার মধ্যেই আনন্দলাভের একটা স্টেজে চলে যাই। যেমন ধরুন একটা এজেন্সিতে কাজ করতাম, শুধুই কবিতা লিখব বলে কাজটা ছেড়ে দিয়ে সাভারের দিকে চলে গেলাম। সেখান থেকে শুরু করে এই ডিসেম্বর পর্যন্ত একটা বিশেষ ফোল্ডারে এই লেখাগুলি জমা হয়। সেখান থেকে গুটিকয়েক লেখা রেখে বাকি দেড়শো লেখা গুলি করে মেরে ফেলার পর এই হলুদ বই।

বার্তা২৪: বইটির প্রচ্ছদ নিজেই করেছেন।
গ্যাব্রিয়েল সুমন: প্রচ্ছদ হচ্ছে বইয়ের প্রবেশপথ, মানে আমার মনোজগতে পাঠক ঢুকছেন তার সদর দরজা। এইখানে পাঠককে আমিও ভেংচি কাটতে চাইনি। একরাতে ছবি আঁকছিলাম, এও এক্সপেরিমেন্ট। কাছাকাছি টোনের দুটি ছবি দেখে মনে হলো এখান থেকে প্রচ্ছদ হতে পারে। আমার আর্টিস্ট বন্ধুদের সাথে কথা বললাম, তারা বলল মিলেছে জিনিসটা। এভাবে প্রচ্ছদ হয়ে গেল। আমার প্রিয় এক বড়ভাই নির্ঝর নৈঃশব্দ্য নামলিপি লিখে দিলেন এভাবেই হয়ে গেল প্রচ্ছদ।

বার্তা২৪: কবিতা লেখার পাশাপাশি তাহলে ছবিও আঁকেন, ছবি এঁকে কেমন আনন্দ পান?
গ্যাব্রিয়েল সুমন: আমার জীবনে কিছু চর্চা আছে। এখন তো আর গোপন করে লাভ নেই। বলে ফেলি, ওয়াটার কালার করতে আমার ভালো লাগে। আমার মায়ের কাছে আমার ছবি আঁকা শেখার শুরু। চার, পাঁচ, ছয় এই বছরের বয়সগুলিতে। আমার আব্বা আমাকে দুই টাকা দিতেন হাত খরচের জন্য, সেখান থেকে এক টাকা জমিয়ে এক তা পাকশী কাগজ কিনে ভাঁজ করে ছোট্ট একটা খাতা বানিয়ে দিতেন আমার মা। আমি সেখানে ছবি আঁকতাম। আলাদাভাবে বিভিন্ন সময়ে ছবি এঁকেছি। কিন্তু তীব্র আনন্দলাভের ঘটনা ঘটে নাই। জাস্ট পছন্দ করতাম। ২০১৭ তে কিছুকাল সারাদিন সারারাত ছবি এঁকেছি। তখন থেকে জলরঙে আঁকার ব্যাপারটা একটা তীব্র ভালোলাগার দিকে গড়াতে থাকে। কিন্তু এখানে পূর্বসূত্র ধরেই বলি, ছবি আঁকার আনন্দ থাকলেও— প্রচ্ছদ করব কখনোই ভাবিনি, বলতে পারেন, বাধ্য হয়েছি।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;