শিশু চত্বরে ‘তিল ঠাঁই আর নাহিরে’
বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে’- বর্ষা বন্দনা করতে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঘরের বাহিরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কচিকাঁচা'দের। সময়টা বর্ষার না হলেও আকাশের মেঘ এবং মেঘের ফাঁক গলে মিষ্টি রোদ চকচকে দিনটায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে প্রকৃতিতে। আর এ আবহাওয়া উপেক্ষা করে বইমেলায় ভিড় করেছে কচিকাঁচা'র দল। মেলা প্রাঙ্গণে যেন "তিল ঠাঁই আর নাহিরে"।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন শিশুপ্রহর। মেলা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বাবা-মার সাথে কচিকাঁচারা এসে ভিড় জমাতে থাকে শিশু চত্বরে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার শিশু চত্বর ঘুরে দেখা যায়, বাবা মায়ের হাত ধরে শিশুরা নিজের পছন্দের বই দেখছে ও কিনছে শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে। শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে থেকেও অনেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের নিয়ে এসেছেন বইমেলায়। টাঙ্গাইল থেকে আসা আব্দুর রশিদ ও তার দুই সন্তান বেশ কিছু বই কিনেছেন শিশু চত্বরের স্টলগুলো থেকে। আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আজ অনেক ভিড়, দুই বাচ্চাকে নিয়ে স্টলগুলো ঘুরতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে এতো বাচ্চাদের উপস্থিতিতে আমার বাচ্চারাও অন্যরকম আনন্দ পাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। আনন্দ করতে করতে যদি বাচ্চারা কিছু শিখতে পারে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।
শিশু চত্বরে বই কেনার পাশাপাশি আগত কচিকাঁচারা ভীষণ আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে উপভোগ করছে সিসিমপুরের আয়োজনে বিশেষ পরিবেশনা। শুধু কচিকাঁচারা নয় তাদের বাবা-মায়েরাও বেশ আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়ে সিসিমপুরের আয়োজন উপভোগ করছেন বলে জানা যায়।
এদিকে শেষ সময়ে বেচা বিক্রিও বেড়েছে বলে জানান শিশুতোষ প্রকাশনা ও স্টল মালিকরা। প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স, ডাংগুলি প্রকাশনীসহ পঙ্খিরাজ ও শৈশব প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেলার প্রথম ঘণ্টা থেকেই বিক্রি হচ্ছে বই। সময়ের সাথে সাথে বিক্রি বাড়ছেই। শেষ সময়ে এসে ভুত, কমিকস, রুপকথাসহ রাক্ষস-খোক্কোসের গল্পের বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে জানান তারা। সকাল এগারোটা থেকে শুরু হওয়া শিশু প্রহর চলবে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।