অদ্ভুত আঁধার এক...
অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে এসেছে আজ, সত্যিকারের আঁধারে ছেয়ে গেছে আমাদের বর্তমান, আমাদের ভবিষ্যৎ। এমন এক আচমকা অন্ধকার যার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না আদৌ। আমরা অর্থনৈতিক কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার দিক থেকে যারা তৃতীয় শ্রেণির তারা তো বটেই, প্রথম ও উন্নত বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে এই নতুন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায়।
আমাদের জন্য বছরটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জীবনে বছরটি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী। বিপুল উদ্দীপনায় জাতি প্রস্তুত ছিল বছরটি উদযাপনের। আয়োজনের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু অদৃশ্য শক্তিশালী এক জীবাণু মুহূর্তে সব তছনছ করে দিয়েছে। এক আদেশে থেমে গেছে সব আয়োজন। শুধু কি জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের আয়োজন, রাত পোহালে আমাদের ৪৯তম মহান স্বাধীনতা দিবস। দৃষ্টি মেলে দেখা, অভিজ্ঞতার আলোতে অভ্যস্ত আয়োজনগুলি এবার আর দেখা যাবে না। প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্যান্ডে তাল উঠবে না আমাদের জাতীয় এই গৌরবের দিনটি। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মঞ্চগুলি মেতে উঠবে না কোরাসে—এক সাগরে রক্তের বিনিময়ে... কিংবা তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা...।
এই রোগে মৃত্যুর মিছিল ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা যাচ্ছে না। এটা অনেকখানি নির্ভর করবে, কোন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনা মোকাবেলায় কতখানি প্রস্তুত তার ওপর। যে দেশ যতটা প্রস্তুত সে দেশে মৃত্যুর হার তত কম হবে, আর অপ্রস্তুত দেশে অতিরিক্ত রোগীর চাপে বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবের কারণে মৃত্যুর হার সেটা ৫% বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে। ১০০ জনে ৪ জন (যদি ৪% ধরা হয়), ২০০ জনে ৮ জন, দুই হাজারে ৮০ জন, দুই লক্ষে ৮ হাজার জন; আর যদি দশ লক্ষ মানুষ (মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৬%) সংক্রমিত হয়, তবে মৃতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকবে ৪০ হাজারে!
আমাদের দেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ইউরোপীয় দেশগুলো ধারণা করছে এই ভাইরাস তাদের মোট জনসংখ্যার ন্যূনতম ৬০-৭০% মানুষকে আক্রান্ত করবে। তাই আমাদের দেশে ১০ কেন, ২০ কিংবা ৩০ লক্ষ মানুষের মাঝে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়াটা খুব বিচিত্র কিছু হবে না। ভাবা যায়! দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ শেষ হয়ে যাবে এই সংক্রমণ না প্রতিরোধ না করতে পারলে।
কোভিড-১৯ একজন থেকে আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে আমাদের সামাজিক মেলামেশার কারণে—বিদেশ থেকে দেশে, পরিবারের একজন থেকে অন্যজন, এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারে, এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায়, শহর থেকে গ্রামে, এবং ক্রমান্বয়ে সারাদেশে! আমরা যদি কোনো ধরনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কাজ না করি তবে এই রোগ সারা দেশের প্রতিটি মানুষকে সংক্রমিত করবে! আমরা যদি এলাকা-ভিত্তিক কোয়ারেন্টিন করার চেষ্টা করি, তা সাময়িকভাবে কিছুটা উপকার করলেও দ্বিতীয় দফায় তা আবারও ছড়িয়ে পড়বে; আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দিই, তাহলে সেটা এলাকা-ভিত্তিক কোয়ারেন্টিনের চাইতে ভালো কাজ করবে। তবে, আমরা যদি ব্যাপকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, তাহলে সেটা সবচেয়ে বেশি সুফল দেবে।
আচ্ছা এমন দিন এমন যাপন কি আমাদের কল্পনায়ও ছিল কোনোদিন? আমাদের সব আয়োজন তো বটেই থেমে যাবে আমাদের প্রাত্যহিক দিনগুলো? আমরা কেবলই বাড়ির ভেতরে, ঘর থেকে ঘরে, আরো কক্ষের ভেতরে বিচ্ছিন্ন হবো আরো। আমরা ঘুমাতে যাব প্রবল অনিশ্চয়তায়, কে জানে কাল ভোরটা দেখব কিনা!
এমন নয় যে, আমরা জানি আমরা অসুস্থ। বরং আমরা আছি এক গভীর আতঙ্কে কখন কোন মুহূর্তে আমাদের ভেতর প্রবেশ করে অচেনা অদৃশ্য ঘাতক। আমরা ঢুকে পড়ি মৃত্যুকূপে। আমাদের সাথে প্রতিদিন মহড়ায় আসে, গলা মেলায়, ভুলগুলো ঠিক করে, মঞ্চে উঠার আগে পা ছুঁয়ে আশিস চায়। প্রতি সন্ধ্যায় বাসায় চা-মুড়ি...তুমুল আড্ডা। এই জায়গাটায় বডি লেঙ্গুয়েজটা ঠিক কেমন হলে বেশি ভালো হতো? কিংবা কণ্ঠের ভেরিয়েশন। প্রতিদিন, প্রতিটি সন্ধ্যা। কয়েকদিন ওরা আসছে না। কাল এসে দরজার বাইরে, ঘরে ঢুকছে না। দিদি, না দেখে আর ভালো লাগছে না, তাই দেখতে এলাম। কে জানে যদি এটাই হয় শেষ দেখা!
এ কেমন দিন,এ কেমন অচেনা যাপন!
বিশ্বের সামনে এ এক নতুন পরীক্ষা, ভয়াবহ পরীক্ষা। যে পরীক্ষার মুখোমুখি পরপর কয়েকটি জেনারেশান হয়নি এর আগে। এ এক লড়াই। নতুন লড়াই। কিন্তু শত্রু দৃশ্যমান নয়। চিহ্নিত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই হয়তো সহজ কিছুটা, ঢাল তলোয়ার, অস্ত্র, কিছুটা কৌশল।
কিন্তু শত্রু যখন হয় অদৃশ্য, যার বিরুদ্ধে আমাদের কার্যকর অস্ত্র জানা নেই, জানা নেই কৌশল। জানা নেই এর গতি, স্পষ্ট নয় এর প্রকৃতি। অন্ধকারে দরজা খুললেই মনে হচ্ছে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই গুপ্ত ঘাতক, আমাদের সামান্য অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে ঢুকে পড়েছে আমাদের দেহে, বিপন্ন করে দিচ্ছে আমাদের জীবন, মানব জীবন...মানব সভ্যতা...।
কখনো নিরপরাধ আমরা। কোনো ক্ষমা প্রার্থনা, ভুল স্বীকার, কোনো অনুশোচনা কিছুতেই মুক্তি নেই আর। যদি না প্রকৃতি আমার ভেতর থেকে আমাকে রক্ষা না করে, কোনো পদক্ষেপই কাজে লাগবে না আর।
ভাবতে পারেন কেমন বদলে গেছে আমাদের চেনা পৃথিবীটা? হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা, পরিপুষ্ট হওয়া, শ্লাঘা করা বিশ্বাসের ভিতগুলো কেমন বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়েছে। অতিপ্রাকৃত, সর্বশক্তির আধারের উপাসনালয়গুলো থেকে সরে গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ, স্বীকার করি কিংবা না করি পরোক্ষে এ তো আস্থাহীনতাই।
ভাবতে পারেন, হয়তো আপনার সব প্রয়োজন ফুরিয়েছে! এই উদযাপন, উৎসব সবকিছুর। ভাবতে পারেন আর মেলা জমবে না বটতলা হাটতলায়! প্রয়োজন ফুরিয়েছে পা ছুঁয়ে আশিস নেওয়ার, কোলাকুলিতে সৌহার্দ্য বিনিময়ের, হাতে হাত মিলিয়ে ‘হাউ ডু ইউ ডু’ বলে কুশল বিনিময়ের? এক সম্পূর্ণ নতুন পৃথিবী এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের সামনে।
এখানে থিয়েটার নেই, ম্যুভি নেই, ক্লাব নেই, বার নেই, আড্ডা নেই, চায়ের ঠেক নেই কেবল আছে টিকে থাকার অদম্য অসহায় আশা।
সন্তানের গালে চুমু খেয়ে আমরা ভাবছি, এই কি শেষ চুমু! প্রেমের হাত ছুঁয়ে ভাবছি এই কি অন্তিম ছোঁয়া, এরপর আর গন্তব্য নেই কোনো চূড়ান্তের.....? মাকে ফোন দিয়ে ভাবছি, এই কি শেষ শোনা মায়ের কণ্ঠ?
গানটা মনে পড়ছে—একলা মানুষ মাতৃগর্ভে, একলা মানুষ চিতায়....? কিংবা আবুল হাসানের সেই কবিতা, অবশেষে মানুষ জেনেছে সে তার চিবুকের কাছেও একা...? কিংবা চলচ্চিত্রের সেই মেলোড্রামাটিক দৃশ্যটি প্রতারিত প্রেমিকা চিৎকার করে কাঁদছে—প্লিজ আমাকে একা থাকতে দাও...?
আচ্ছা, বুকে আজ একবার হাত দিয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি, আমরা কে একা নই? আমাদের এমন কে আছে যার সাথে জীবনের সব গোপন, সব গ্লানি, সব অপমান, সব প্রতারণা ভাগ করে নিতে পারি? গর্ভধারিণী জননী কিংবা ঔরস দেওয়া জনক, এক ছাদের নিচে কাটানো জীবন সঙ্গী কিংবা কাবিন বিহীন বন্ধু কিংবা নাড়ি ছেঁড়া আত্মজ!
যে নিজের জীবন শঙ্কায় ফেলেছে আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে কিংবা আমি নিজের জীবন শঙ্কায় ফেলেছি যাদের জন্ম দিতে, যে আমার জন্য দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছে লাল কাপড় কেউ কি প্রস্তুত আমার আমিত্বের সকল প্রকাশ্য গোপনের ভাগ নিয়ে আমাকে একাকীত্ব থেকে মুক্তি দিতে? না।
এই যে সামাজিক যত আয়োজন, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা অপ্রাতিষ্ঠানিক তার অধিকাংশটুকুই কেবল গৌরব ভাগাভাগির, স্বার্থ বিনিময়ের-স্বার্থ শব্দটি সবসময় নেতিবাচক নয়, প্রয়োজনেরও। কখনো দুঃখ কিংবা বেদনা ভাগাভাগিরও। কিন্তু জীবনের প্রতিটি বাঁক উপবাঁকের সত্য বলার মতো একাকীত্বহীন কেউ কি আছে পৃথিবীতে? আসলেই তো মানুষ বড় একা...।
এই নতুন যুদ্ধ আরো ক্রমশ একা হবার যুদ্ধ। কতটা আরো কতটা একা হতে পারে মানুষ, এবার পরীক্ষা তার। মানসিক একাকীত্ব শারীরিক একাকীত্বে স্থানান্তরের পরীক্ষা। তুমি তো একাই ছিলে মানুষ, এবার শুধু বিচ্ছিন্ন হও, সাময়িক বিচ্ছিন্ন হও পুনরায় যুথবদ্ধ হবার প্রত্যাশায়...।
এই একাকীত্বের পরীক্ষায় যত ভালো ফল হবে ততই সম্ভাবনা বাড়বে একটি সভ্যতা বেঁচে যাবার।
মানুষ বাঁচলে সভ্যতা বাঁচবে। সভ্যতা বাঁচলে আবার জমবে মেলা বটতলা, হাটতলা....।আমরা আবার পা ছুঁয়ে ফিরিয়ে আনব প্রিয় মূল্যবোধগুলো, গলাগলির বন্ধুত্বে ফিরে যাব নতুন কোনো মূল্যবোধে। হয়তো আমাদের উৎসব উদযাপনগুলো এই ক্রান্তিকালের সাঁকো পার হয়ে ফিরে আসবে নতুন কোনো পোশাকে। যে পোশাকে থাকবে না প্রকৃতিকর্তৃক নির্ধারিত ভিন্নতা ভিন্ন আর কোনো বৈষম্য!
কে জানে হয়তো সব হতাশার অন্ধকার গুহার পেছনে থাকে একটা সূক্ষ্ম আশার আলোক রেখা।এই মুহূর্তে পৃথিবীর কুড়িটি গবেষণাগারে চলছে নিবিড় গবেষণা। মানুষই নিমগ্ন মানুষকে বাঁচাতে। এর যে কোনো একটির সাফল্য মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে দেবে কয়েক হাজার বছর। স্পেনে, ইটালিতে পৌঁছে গেছে চীন, কিউবার চিকিৎসক দল। হয়তো এই পুলিসেরাতের পুল পার হয়ে আমরা দেখা পাব নতুন এক পৃথিবীর।
যেখানে ‘রাজনৈতিক মেরুকরণ’ এক হাস্যকর শব্দ, ‘বাণিজ্যিক অবরোধ’ শব্দটি হারাবে তার নিজস্ব অর্থ। মানুষের বিজয় বিলীন করে দেবে সমস্ত কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাস।
জনহীন লোকালয়ে নিরাপদে হাঁটছে যে ময়ূর, মানুষের মায়াময় জগত ছেড়ে সে আর ফিরে যাবার প্রয়োজন বোধ করবে না, পানি ছেড়ে ডাঙায় উঠেছে যে ডলফিন মানুষই হবে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।
সব নিরাপদ নিরাপত্তা নিয়ে, সব বুদ্ধি আর মেধা মঙ্গলে নিয়োজিত করে মানুষই হবে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ অংশ। মানুষই দাঁড়াবে মানুষের পাশে...। এর জন্য সবার আগে ভাইরাসটাকে পরাস্ত করার জন্য, আমাদেরকে সারাবিশ্বের সমস্ত তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। ভাইরাসের ওপর মানুষের একটা বড় বিজয় হবে এটি। কিভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবেলা করতে হবে, সে-ব্যাপারে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক মূল্যবান শিক্ষা প্রদান করতে পারে। সিঙ্গাপুরের একজন চিকিৎসক যা আবিষ্কার করেছেন আজ তা বিকেল নাগাদ ভারতে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।
দেশগুলো উদ্বুদ্ধ হবে নিজেদের মধ্যে মুক্তভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে এবং পরস্পরের পরামর্শ চাইতে। মেডিকেল যন্ত্রপাতি, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো টেস্টিং কিট আর শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্র, উৎপাদন ও বিতরণের জন্য আমাদের একটি বৈশ্বিক প্রয়াসের প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটা দেশ স্থানীয়ভাবে এটা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এবং হাতের কাছে যা পাচ্ছে তাই মজুদ করছে, এরকম করার চেয়ে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক প্রয়াসই বরং উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত করতে পারবে এবং জীবন-বাঁচানো যন্ত্রপাতি সুষম ভাগ হচ্ছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করতে পারবে। ৭১ এর বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে প্রধান প্রধান শিল্পখাতগুলোকে জাতীয়করণ করেছিলেন, তেমনি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন উৎসগুলোর শর্তহীন বিশ্বায়নের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
যেখানে করোনাভাইরাসের স্বল্পসংখ্যক রোগী ধরা পড়েছে এমন দেশগুলোর অনেক বেশি রোগী ধরা পড়েছে এমন দেশগুলোতে তারা যন্ত্রপাতি পাঠাতে পারে। তাদেরকে এই ব্যাপারে বিশ্বাস থাকতে হবে, পরবর্তীতে যখন তাদের নিজেদের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, অন্য দেশগুলো সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে একই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রয়াস বিবেচনায় আনতে হবে যেসব দেশ এখনো ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সবচেয়ে খারাপ দশায় থাকা অঞ্চলগুলোতে সেসব দেশ তার স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাতে পারে।
অর্থনৈতিকভাবেও আন্তর্জাতিক সহায়তাটা ব্যাপকভাবেই জরুরি, প্রতিটি সরকার যদি সব ভুলে শুধু নিজের দেশের কথা ভাবে এই গভীর সংকট পার পাওয়া সম্ভব নয়। এ সময় আসলে আমাদের ঘুরে দাঁড়াবার সময় বিশ্বকে বদলে দেওয়ার সময়। সময় রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সব নতুন করে চেনার। স্বাধীনতা দিবসে এ বছর আমাদের নতুন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নতুন প্রত্যয়।