বুল্লে শাহ’র কবিতা

  • ভূমিকা ও ভাষান্তর: সৈয়দ তারিক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

অলঙ্করণ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

পাঞ্জাবের সুফি ভাবুক ও কবি বুল্লে শাহ’র জীবনকাল ছিল মোগল আমলের শেষভাগে। তার আসল নাম সৈয়দ আবদুল্লাহ শাহ কাদরি, যদিও কর্ম ও রচনার মাধ্যমে তিনি যুগযুগান্ত ধরে বুল্লে শাহ নামেই খ্যাতিমান। তার আবির্ভাব ১৬৮০ সালে, ভাওয়ালপুরের উচ নামক স্থানে, যেটি এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত। তার পূর্বপুরুষেরা বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা হতে এসেছিলেন। (হাফিজ তার কবিতায় প্রিয়ার গালের তিলের বিনিময়ে এই বুখারা ও তার সাথে সমরখন্দ বিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, পাঠকের হয়তো সে কথা মনে পড়ে যাবে।) তাদের বংশ মহানবির সরাসরি উত্তরসূরী।

বুল্লে শাহ’র বাবার নাম ছিল শাহ মুহম্মদ দরবেশ। তিনি গ্রামের মসজিদে ধর্মপ্রচারক (হয়তো ইমাম বা খতিব) ছিলেন ও শিক্ষকতা করতেন। পরে তিনি পেশাকর্মের জন্য পান্ডোকে যান। বুল্লে শাহ তার প্রাথমিক পড়াশোনা সেখানেই করেন, পরে উচ্চতর বিদ্যার্জনের জন্য কাসুর যান। সেখানে মাওলানা মহিউদ্দিনের কাছে শিক্ষালাভ করেন। বুল্লে শাহের আধ্যাত্মিক গুরু বা পীর ছিলেন লাহোরের প্রখ্যাত সুফি দরবেশ শাহ ইনায়েত কাদরি। বুল্লে শাহ’র জীবনধারা সম্পর্কে বেশি একটা জানা যায় না। নানা লোকশ্রুতিতে বিভিন্ন বর্ণনা আছে।

বিজ্ঞাপন

পাঞ্জাবি সুফি কবিতার যে-ঐতিহ্য রয়েছে, যে-ধারায় কবিতা লিখেছেন শাহ হুসাইন (১৫৩৮-১৫৯৯), সুলতান বাহু (১৬২৯-১৬৯১), ও শাহ শরাফ (১৬৪০-১৭২৪) সেই ধারায় বুল্লে শাহ কবিতা চর্চা করেন। বুল্লে শাহ’র সমসাময়িক সিন্ধি কবি ছিলেন শাহ আবদুল লতিফ ভিটাই (১৬৮৯-১৭৫২)। তার জীবনকালে খ্যাতনামা পাঞ্জাবি কবি ওয়ারিস শাহ (১৭২২-১৭৯৮)—যিনি ‘হির রানজা’ রচনায় খ্যাতিমান, ও সিন্ধি সুফি কবি সাচাল সারমাস্ত (১৭৩৯-১৮২৯) সৃজনশীল ছিলেন। তার সমকালে উর্দু কবিতার আরেক দিকপাল মির তকি মির (১৭২৩-১৮১০) ছিলেন ৪০০ মাইল দূরে আগ্রায়।

সাধারণত যে প্রকরণে বুল্লে শাহ কবিতা লিখতেন তার নাম কাফি। পাঞ্জাবি ও সিন্ধি কবিতার এটি একটি জনপ্রিয় ধারা। কাফি নামে সঙ্গীতের একটা রাগ যেমন আছে, তেমনি এটা গীতিকবিতার একটা ধরনও। বাবা ফরিদ, বুল্লে শাহ, শাহ হুসাইন, শাহ আবদুল লতিফ ভিটাই, সাচাল সারমাস্ত, খাজা গোলাম ফরিদ প্রমুখ এই ধারায় কবিতা লিখেছেন। সুরারোপিত হয়ে এই রচনাগুলো গীত হয়ে আসছে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষত পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে। এই ধারার কবিতায় একটা প্রধান ও কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে মানবাত্মা ও স্রষ্টার মধ্যে, বা ভক্ত (মুরিদ) ও গুরু (মুরশিদ, পীর), বা আশেক (ভক্ত) ও মাশুক (প্রেমাস্পদ, প্রিয়)-এর মধ্যে আলাপ বা কথোপকথন।

বিজ্ঞাপন

এইসব কাফির সুরারোপিত রূপটি রাস্তার গায়ক থেকে শুরু করে উঁচু-অভিজাত-বিখ্যাত গায়কেরা, যেমন : নুসরাত ফতেহ আলি খান বা আবিদা পারভিন এখনো গেয়ে চলেছেন। বিখ্যাত কাওয়ালি গান ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’-এর কথাই ধরা যাক। বুল্লে শাহ’র রচনা এটা। যদিও ত্রয়োদশ শতকে শাহবাজ কালান্দারের প্রয়াণের পর আমির খসরু প্রথমে ওটি লিখেছিলেন, পরবর্তীতে বুল্লে শাহ গানটিকে পরিমার্জিত ও বিস্তৃত করেন। তার লেখা রূপটিতেই গানটি প্রচলিত, যদিও বিভিন্ন শিল্পী আবার কিছু রকমফের করে গানটি উপস্থাপন করেন। নানাভাবে তাঁর কবিতা ও গান সরাসরি বা রূপান্তরিত হয়ে কিংবা অনুপ্রেরণা হয়ে পরবর্তী কালের শিল্প-সাহিত্যে প্রবহমাণ রয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতের অনেক সিনেমায় তার গান ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, বলিউডের ‘দিল সে’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত সাম্প্রতিক কালের বিখ্যাত গান ‘ছাইয়া ছাইয়া’ বুল্লে শাহ’র রচনার প্রেরণাতেই রচিত হয়েছে। গানটির দৃশ্যায়ন দেখে আপাতভাবে যেমনই মনে হোক, গানটির কথা (গুলজার এটি রচনা করেছেন) সুফিদর্শনেরই প্রকাশক :

‘যার মাথার উপর প্রেমের ছায়া পড়েছে
তার পায়ের নিচে বেহেশত রয়েছে
প্রেমের ছায়ায় ছায়ায় চলো।’

বুল্লে শাহ’র কবিতায় ও দর্শনে মুসলমানদের ধর্মীয় গোঁড়ামি ও নিয়মতান্ত্রিকতার প্রবল সমালোচনা পাওয়া যায়। বুল্লে শাহ’র ভাবধারা মানবতাবাদী। আধ্যাত্মিক বিষয়ের পাশাপাশি জগতের সামাজিক বিষয়েও তাঁর প্রজ্ঞাময় দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় মেলে। জীবন-জগতের জটিল বিষয়গুলোর সহজ-সরল উপস্থাপনা তার রচনাকে জনপ্রিয় করেছে।

কাফি রূপকল্পটি শুধু সুফিরাই নন, শিখ গুরুরাও ব্যবহার করতেন। বুল্লে শাহ’র জনপ্রিয়তা মুসলমানদের হতে হিন্দু ও শিখদের মধ্যে বিস্তৃত হয়েছিল। তার সম্পর্কে লিখিত তথ্যাদি হিন্দু ও শিখ লেখকদের রচনাতেই বেশি পাওয়া যায়। বুল্লে শাহ’র সময়টি মুসলমান ও শিখদের মধ্যে সঙ্ঘাতের কাল ছিল। কিন্তু সেই সময় বুল্লে শাহ ছিলেন পাঞ্জাবের অধিবাসীদের জন্য শান্তির আলোকবর্তিকা। একবার পূর্বঘটনার জের ধরে মুসলমানদের হাতে এক তরুণ শিখ নিহত হয়। বুল্লে শাহ এর প্রবল প্রতিবাদ করেন। এতে পাঞ্জাবের মোল্লা-মুফতিরা তার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়। হত্যা-আঘাত-সঙ্ঘাতের ঘটনার জবাব প্রতি-আক্রমণ নয়, বুল্লে শাহ এই আদর্শই প্রতিষ্ঠা করতে চান। শিখ গুরু তেগ বাহাদুরকে তিনি গাজি বলে সংবর্ধনা জানান। এতে ধর্মান্ধ মুসলমানেরা তার ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে।

তার তিরোধান ১৭৫৭ সালে, পলাশীর যুদ্ধের বছরে। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মোল্লারা তাকে কাফের ফতোয়া দিয়েছিল। তারা তাঁর জানাজা পড়তেও অস্বীকার করে। তখন কাসুরের প্রখ্যাত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব কাজি হাফিজ সৈয়দ জাহিদ তার জানাজায় ইমামতি করেন।

কাসুরে তিনি সমাহিত হন। সেটি একটি দরগাহে পরিণত হয়। তার রওজায় যেতে বিশাল একটি পরিচ্ছন্ন বারান্দা পেরোতে হয়। সেই বারান্দার ছাদে চমৎকার ক্যালিগ্রাফিতে তার কবিতা খচিত রয়েছে।


তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই;
ঘটনাই এই, আমি কী করি এখন?
বাঁচতে পারি না আমি, মরতেও নয়,
তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই।

আমার মিনতিটুকু শোনো।
দিন বলো, রাত বলো, শান্তি কোনো নাই।
আর এক মুহূর্ত আমি তোমাকে না পেলে বাঁচব না।
তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই;
ঘটনাই এই, আমি কী করি এখন?

বিরহ ব্যথার বুঝি কোনো শেষ নাই।
কেউ কি মিটিয়ে দিতে পারে এ বেদনা?
তাকে তো দেখি না আমি, বাঁচব কিভাবে?
তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই;
ঘটনাই এই, আমি কী করি এখন?

বুল্লে শা বলে, আছি চরম বিপদে,
দয়া করে এনে দাও ত্রাণ।
কিভাবে সইব আমি বেদনা এমন?
তোমাকে চাই, আমি তোমাকে চাই;
ঘটনাই এই, আমি কী করি এখন?

***
রানজা রানজা ডেকে ডেকে
নিজে আমি রানজা হয়ে গেছি।
আমাকে সবাই ডাকো রানজা নাম ধরে,
হীর বলে ডেকো না গো কেউ।
রানজা আমার মাঝে, রানজার মাঝে আছি আমি,
আর কোনো ভাবনা নাই অন্তরে আমার।
আমি নাই, শুধু সে-ই আছে।
মজা করে একা-একা সে নিজের সাথে।

***
না আমি মসজিদের ইমানদার,
না আমি কাফেরদের আচার-অনুষ্ঠান,
না আমি ভেজালের অভ্যন্তরে খাঁটি।

না আমি বৈদিক,
না আমি হাজির আছি নেশালু জিনিসে,
না আমি হারানো, না আমি দূষিত।

না আমি মিলন, না আমি দুঃখ,
না আমি নিহিত আছি খাঁটি বা ভেজালে,
না আমি পানি, না মাটি।

না আমি আরবীয়, না আমি লাহোরি,
না আমি ভারতীয় শহর নাগুরির,
না আমি হিন্দি, না আমি পেশোয়ারের তুর্কি।

না আমি তৈরি করেছি বিশ্বাসের বিভাজন,
না আমি সৃষ্টি করেছি আদম ও হাওয়াকে,
না আমি রেখেছি নিজের নাম।

শুরু হোক বা শেষ হোক,
আমি কেবল নিজের সত্তা সম্পর্কে জানি,
দ্বৈততাকে স্বীকার করো না,
আমি ছাড়া আর কোনো জ্ঞানী নাই।

কে এই বুল্লে শাহ?
বুল্লে, আমি জানি না—কে আমি।

না আমি মুসা নবি, না আমি ফেরাউন,
না আমি আগুন, না আমি বাতাস,
না আমি বাস করি মাসুমদের নগরে।
বুল্লে শাহ, কে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে?

বুল্লে, আমি জানি না—কে আমি।
বুল্লে, আমি জানি না—কে আমি।

***
কেবল তুমিই আছো, আমি নাই, ওগো প্রিয়তম।
কেবল তুমিই আছো, আমি নাই।
ধ্বংস-হয়ে-যাওয়া বাড়ির ছায়ার মতো
আমার মনেই আমি ফিরে আসি ফের।
যদি আমি কথা বলি, তুমি বলো সাথে,
যদি আমি চুপ থাকি, তুমি জাগো মনে,
যদি-বা ঘুমিয়ে পড়ি, ঘুমাও আমার সাথে তুমি,
যদি হাঁটি, সাথী হও,
আহা, বুল্লে! আমার বাড়িতে স্বামী এসেছেন আজ।
জীবন আমার তার জন্যে নিবেদিত।
কেবল তুমিই আছো, আমি নাই, ওগো প্রিয়তম।

***
হাজিরা মক্কায় যায়।
প্রিয়তম রানজাই মক্কা আমার।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

আমার হয়েছে বিয়ে রানজার সাথে।
আমার আব্বা তবু পিড়াপিড়ি করে বিয়ে দিতে।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

হাজিরা মক্কায় যায়।
আমার অন্তরে থাকে স্বামী, সে-ই মক্কা আমার।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

হাজি-গাজি সকলেই অন্তরে আছে,
চোর ও পকেটমার—তারাও রয়েছে।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

হাজিরা মক্কায় যায়।
আমি যাই হাজেরার তখতের দিকে।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

যেখানেই থাকে প্রিয়তম,
কাবা থাকে সেইখানে,
চারটি কেতাব তবু খুঁজে মরো তুমি।
হ্যাঁ, আমি পাগলই হয়ে গেছি।

***
আমাকে তোমার প্রেম নাচিয়েছে শুধু সারাক্ষণ।
তোমার প্রণয়ে পড়া মানে বিষ খাওয়া এক গ্লাস।
হেকিম আমার, এসো, এ আমার শেষের প্রহর।
আমাকে তোমার প্রেম নাচিয়েছে শুধু সারাক্ষণ।

***
প্রেমে যে মজেছে সেই জন
গান গায় নাচে সারাক্ষণ।

প্রেমিকের জামা যে পরেছে
তার উপর আশিস ঝরেছে।

পেয়ালায় সে দেয় চুমুক,
প্রশ্ন-জবাব নাই—আছে শুধু সুখ।

প্রেমে যে মজেছে সেই জন
গান গায় নাচে সারাক্ষণ।

প্রিয়তম আছে যে-হৃদয়ে,
পূর্ণ তা প্রণয়ে-প্রণয়ে।

নাই আর নিয়ম-আচার,
আছে শুধু উল্লাসে বাঁচা।

প্রেমে যে মজেছে সেই জন
গান গায় নাচে সারাক্ষণ।

***
ফেরাও তোমার মুখ এ-আমার দিকে, ওগো প্রিয়,
ফেরাও তোমার মুখ এ-আমার দিকে।

গেঁথেছো আমাকে তুমি—তুমিই—বড়শিতে,
টেনেছো আমাকে তুমি—তুমিই—সুতায়।
ফেরাও তোমার মুখ এ-আমার দিকে।

এসেছে আজান নেমে তোমারই আরশ হতে, আর
মক্কায় প্রতিধ্বনি।
ফেরাও তোমার মুখ এ-আমার দিকে।

বুল্লে বলছে, আমি কোনোদিনও মরব না, তবে
আর কেউ মরলে মরবে।
ফেরাও তোমার মুখ এ-আমার দিকে।

***
সে আমারে ছেড়ে গেছে, নিজেই বিদায় নিয়ে, হায়!
কী আমার দোষ ছিল? কী আমার অপরাধ ছিল?
না দিনে না রাতে আমি ঘুমাই শান্তিতে,
দুচোখ আমার শুধু পানি ফেলে যায়।
তলোয়ার-বল্লম তীক্ষ্ণ যতই
তারও চেয়ে বেশি ধার প্রেমের তীরের।
প্রেমের চাইতে বেশি নিষ্ঠুর নয় আর কেউ,
এ অসুখ সারাতে পারে না কোনো বৈদ্য-হেকিম,
বিরহের বেদনা প্রবল এত, গাঢ়।
বুল্লে, মালিক যদি ঝরাতেন করুণার ধারা,
রাতারাতি পাল্টে যেত আমার সময়।
সে আমারে ছেড়ে গেছে, নিজেই বিদায় নিয়ে, হায়!
কী আমার দোষ ছিল? কী আমার অপরাধ ছিল?

***
বহুত হয়েছে, বহুত;
কথা কও তুমি আমার সঙ্গে হেসে।

তুমি তো আমার হৃদয়েই করো বাস,
তবুও কেন যে আমাকে ছলনা করো!
আমার দু ঠোঁটে তোমার নামের জিকির,
তবু বারেবারে কেন তুমি সরে পড়ো!
বহুত হয়েছে, বহুত।

যে মরেই গেছে মারছো আবার তারে,
আমার মাথা কি তোমার ব্যাটের বল?
কণ্ঠে আমার কথাকে থামিয়ে দাও,
তোমার তীরের নিশানা বড় সফল।

পালাবে কোথায়? ফেলেছি তোমাকে ধরে,
বেঁধেছি তোমাকে আমার চুলের সাথে;
তবু দেখি তুমি পলায়নে তৎপর!
পাবে না সুযোগ এ দফায় অজুহাতে :
বহুত হয়েছে, বহুত!

বুল্লে বলছে, আমি দাস, ওগো প্রভু,
একটি পলক তোমাকে দেখতে চাই;
বারবার বলি, আমার হৃদয়টাকে
তোমার খোলসে আবৃত দেখতে চাই :
বহুত হয়েছে, বহুত।