বিনয় মজুমদারের অনুবাদে আলেকসান্দর পুশকিন

  • আলেকসান্দর পুশকিন ।। অনুবাদ: বিনয় মজুমদার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

এই দুটি কবিতা শঙ্খ ঘোষ ও অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের সম্পাদনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। পাঠকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় বার্তা২৪-এ পুনরায় প্রকাশিত হলো। বিনয় মজুমদার একদা রুশ ভাষা শিখেছিলেন, সেই ভাষা থেকে অনুবাদও করেছেন অনেক। তবে তিনি আলেকসান্দর পুশকিনের এই দুটি কবিতার অনুবাদে যেন সেই চূড়া স্পর্শ করেছিলেন, যেখানে একজন শিল্পী যেতে চান। বাংলা ভাষায় পুশকিনকে নিয়ে তিনি পৌঁছেছিলেন ভাবনা ও ভাষার প্রবল সংরাগ ও সংযোগে। - বিভাগীয় সম্পাদক


রূপসী

বিজ্ঞাপন

সকলি সাবলীল মহাশ্চর্য
সকলি পৃথিবীর, রিপুর ঊর্ধ্বে,
সে থাকে নিশ্চুপ লজ্জারুণ মুখ
আপন স্নিগ্ধ রূপের সূর্যে।
চতুর্দিক সে হরিণচোখে চায় :
বন্ধু নেই—নেই প্রতিদ্বন্দ্বী,
হারিয়ে যায় সে পরিমণ্ডলে
অন্য রূপসীর পাংশু ফন্দি।

যেদিকে অতি দ্রুত যাও না কেন তুমি—
হয়তো প্রেমিকার বিদায়লগ্ন,
মনের মোহনায় লালন করো তুমি
যে কোনো অপরূপ সোনালি স্বপ্ন,
তবু অকস্মাত্ দেখলে তাকে তুমি
থমকে পথে থেমে যাবে অনিচ্ছায়,
অলোকস্বর্গীয় রূপের সকাশে
প্রার্থনায় ধীর আনত শ্রদ্ধায়।

ভালোবাসা

তোমাকে ভালোবেসেছিলাম; হয়তো ভালোবাসা
এখনো প্রাণে নেভেনি নিঃশেষে।
একথা শুনে আবার হয়ো না যেন বিচলিত;
চাই না তুমি বিধুর হও বিষাদমেঘাবেশে।
নীরবে ভালোবেসেছিলাম—ছিল না প্রত্যাশা—
ঈর্ষাজ্বরে কখনো আর কখনো উচ্ছ্বাসে।
ভালোবাসায় ছিল এমন পেলব প্রগাঢ়তা!
তেমনি যেন আরেকজন তোমাকে ভালোবাসে।