মেয়ে, মদ ও কাগজ ফুল



তানিয়া চক্রবর্তী
অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

  • Font increase
  • Font Decrease

কবিতা কী যে নেশাদ্রব্য তার আর বিবরণে, ভনিতায় কাজ নেই। কবিতা খাদ্যদ্রব্যে মিশে যাওয়া অমৃত বা বিষের মতো কিছু! বিষ বলাই ভালো বিশেষত স্লো পয়জন পদ্ধতি যদি এর প্রকৃত গাঢ় রূপের সন্ধান পাওয়া যায় তবে—কারণ এর নির্মাণ জীবন নিয়ে নিয়ে তৈরি, হয়ে সম্ভবত জীবন খেয়ে খেয়ে। আর বলে না যা কিছুই খুব তীব্র তা সন্দেহের ফলে অমৃত না ভেবে তাকে সুস্বাদু বিষ বলাই ভালো। মনের ঘূর্ণিতে খুব একটা বই নিয়ে আলোচনা করিনি বা এমনিতেও সেটা করতে নিজেকে উপযোগী বলে মনেও হয় না। কারণ পড়া, বোঝা আর প্রকাশিত লেখা এই তিনটে ধাপের মধ্যে বেশ পার্থক্য থাকে—তাকে কায়দায় আনা মুশকিল! নিজের অনুভূতি ও মুহূর্তের যাপন দিয়ে একটি জিনিস বুঝেছি কোনো কবির কবিতা ভালো লাগলে সেই কবিতাকে একটি সিন্দুকে রেখে দেওয়া ভালো। সেই সৃষ্টিকর্তার কাছে পাঠকের আরোই যাওয়া উচিত নয় কারণ স্রষ্টাকে সাধারণ নৈকট্য নিয়ে ধরলে তার শিল্প বা সাহিত্যের প্রতি বিনাহেতুতেই আকর্ষণ লঘু হয়ে যায়—ফলে ভালো লাগাকে সংরক্ষণ করাও একটি দায়িত্ব উপভোগের সঙ্গে।

এই মুহূর্তে কিছু কবিতা নিয়ে আলোচনা করব। আলোচনা নয় শুধু ভাগ করে নেওয়া। কবির সঙ্গে আলাপ নেই অবশ্য আলাপের প্রয়োজনও নেই ফলে একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি থেকে এই লেখা লিখতে আগ্রহী হলাম। যে কটি বই থেকে আমি কবিতা নিয়ে আলোচনা করব তার নাম মদ, কাগজ ফুল, তিরিশটি প্রেমের কবিতা(ভাষালিপি প্রকাশনী), মেয়ে (শুধু বিঘে দুই প্রকাশনী)।

“স্তন থেকে চোখ তুলে তাকাই চোখের দিকে। দেখি, জল টলমল করে। নৌকা, ভাসাব কিনা ভাবি। তারপর জানালার বাইরে তাকাই। একবার দেখি, বারবার দেখি, মনের গহনে পৌঁছোনোর সুগম নিশ্চিত কোনো পথ আছে নাকি? পাহাড়ের গা বেয়ে, নদীর দু পাড় দিয়ে? নদীর প্রসঙ্গে এসে ফের মনে পড়ে যায় দুটি চোখ। স্তন থেকে কিছুটা উপরে। দেখি জল টলমল করে” (দর্শন, তিরিশটি প্রেমের কবিতা)

এই কবিতা নিয়ে কী বলা যায়—একটি অন্যরকম তীব্র গভীর কবিতা—শুধুই কি তাই? তবে কি একজন নারী লেখক বলে স্তনের চেয়ে চোখের উপমা পেয়েছি বলে অন্যরকম মনে হলো—না, কারণ দুটোর মধ্যে কোনোটাই কোনো নারী পুরুষ একেবারে বাদ দিয়ে চলবে না। তবে চোখ কি খুব সাধু, স্তন কি খুব যৌন তাও নয়—স্তন তীব্র বাৎসল্যের হতে পারে, চোখ তীব্র যৌনতার হতে পারে। বিষয় হলো পথ, বিষয় হলো মুখ—কবিতাটির শুরু ও শেষ স্তন ও চোখের সঙ্গে এক প্রহেলিকা করে খেলেছে। এই চোখ এই যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারী অঙ্গ তাকে ছুঁয়ে কবিতাটি অতলের হয়ে গেছে যা পড়ার জন্য এক নির্মোহ মায়া আহ্বান করে চলেছে। এখানেই এই দর্শন নামক কবিতাটি অমৃতরূপী বিষ এবং তীব্র।

“তাঁত বোনে। হয়তো তোমারই গায়ে উঠবে ওই কাপড়ের ডুরে। তুমি কোথায় কত দূরে কোন নদীর ধারের গ্রামে তোমার বাড়ি, জানে না ওই মগ্নতম তাঁতি। আর তুমি, কিশোরীনি, জানো নাতো ঐ যুবাটির নাম। তোমার জন্যই শাড়ি বুনেছে সে, তার ব্যস্ততম হাতে। শুক্র অথবা বুধবারের হাট থেকে কিনে নিয়ে যাবে তোমার বাবা। লণ্ঠনের আলোয় দেখা হবে তোমাদের” (তিরিশটি প্রেমের কবিতা)

কবিতাটির নাম “শাড়ি”, পড়ে দেখুন কবিতাটি একটি জীবনের খুব গূঢ় টানাপোড়েনে পূর্ণ নয় কিন্তু কবিতাটি চূড়ান্ত আলোকিত যখন এই দৃশ্যকল্প ভেসে উঠবে যে এক তাঁতির হাত, দেহ, খটাখট শব্দ একটি যাপনে পূর্ণ নির্মাণে ভরা শাড়ি মেয়েটি লণ্ঠনের আলোয় দেখছে—এই দৃশ্যের অন্তর্নিহিত ভাবের মূল্য এক বুক রক্তের আত্মায় ভরা নয় কি? ঐ “লণ্ঠনের আলোয় দেখা হবে তোমাদের”—কবিতাটির সব রস এনে এই হাঁড়িতে ভরে দিল। একটি শাড়ি একটি জীবন ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেল কোন অনন্তে...

“তবু আমি ফুল। তবু আমি ফুল।/ রাতের আলকাতরায় ঢেকে রেখেছি নিজেকে।/ যেহেতু সৌরভ সুবাস কিছু ছড়াতে পারি না।/ আকর্ষণের কোনো প্রভাই আমাকে দেননি ভগবান।/ তবু আমি ফুল—এটাই সান্ত্বনা।/ পরজন্মে সত্যি কোরো—জানাই প্রার্থনা”

“তুমি আমার গন্ধ পেলে না।/ ঝড়ের মুখে আমার নাচ/ দেখলে ভুলতে না/ অপরিচয়ের ফলে তৈরি/ তোমার মনের বেদনা—/ আমার মর্মে এসে টুকি দেয় যদি/ তোমাকে দেখাবই, দেখাবই/ কুসুমের নদী”...

টুকরো টুকরো ১৪টি কবিতা নিয়ে এই উক্ত কবিতাদের সহযোগিতায় “কাগজ ফুল” বইটি প্রকাশিত হয়েছে ভাষালিপি প্রকাশনী থেকে। কাগজফুলকে কেমন দেখি আমরা? জানি নকল তবু কেন যেন ভালোবাসি, আসল কাগজও ফুলের মতোই সরল ফলে বিকল্প রূপেও সে নিরাময়ের প্রেম যেন। এই উক্ত কবিতাদুটি দেখুন প্রথমটি অভিমানের কবিতা—এ অভিমানে অভিযোগ নেই শুধু নিভৃতের পেলব প্রার্থনা আছে। সেই প্রার্থনা জুড়ে এক অসহায়তা আছে তবু তা অপরাজেয় কিছুতেই ন্যুব্জ নয়—সে ফুলেল মর্মে অসহায় হয়েও সেই জন্ম চেয়েছে আবার—যেন আঁধারের সঙ্গে প্রেম, যেন আঁধারের প্রতি, এ জীবনের প্রতি মায়া। দ্বিতীয় কবিতাটি একটি লুকাচুরি খেলা—এক প্রেমিকের অঙ্গীকার, তার প্রত্যয় অথচ আগ্রাসী নয় যেন খেলাচ্ছলে অনুযোগ অথচ শব্দের আর মুহূর্তের এমন সহবাস যে একবার পড়লে প্রথম দুটি লাইনে মুখের শীর্ষে এসে রাজত্ব করে।

“টান শুধু টান অনুভব করে গেছি আমি/ দূর পাহাড়ের মদ আমাকে ডেকেছে বারবার”—এভাবে কবিতাটি শুরু হয়ে শেষ হয়েছে এভাবে—“এত কাছে কখনো উঠে আসোনি যে/ তোমার ঠোঁটে অবিরাম চুমু খেতে পারি/ মায়াময় কত সন্ধ্যা জোনাকি-নিবিড় কত কত রাত/ মদহীন প্রেমহীন কেটেছে আমার।”

যদিও শুরু ও শেষ দিয়ে মধ্যযামের কিছুই বোঝা যায় না ফলে আগ্রহী পাঠককে কবিতাটি পড়তে হবে। কবিতাটির নাম “পাহাড়ি ঝিঁঝিঁর ডাক”। কখনো যদি গভীর রাতে একা বিছানায় শুয়ে ঝিঁঝিঁর ডাক শোনেন বুঝবেন এর মতো ঘন তীব্র জীব বুঝি আর হয় না! যখন ডাক গভীর থেকে গভীরতর হয় তখন একই সঙ্গে হর্ষ, বিষাদ, রোমাঞ্চ এক তীব্র ঝিলমিলের মিশ্র অনুভূতি তৈরি হয়। এই কবিতাটিও সেইরকম শুরুতে স্বপ্ন, সম্ভোগ শেষে উদাস এই যে কাউন্টার এখানেই কবিতাটি নামে, দেহে পূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বইয়ের এলগিন রোড, মৃত্যুর পর, আক্ষেপ, কথা, আমার মদ, পুরনো, শুভ জন্মদিন—প্রত্যেকটি তীব্র যাকে বলে ডার্ক , সান্দ্রতায় ভরপুর এবং এর গায়ের গহনা নিরীক্ষণের চেয়ে এর ভাবের কাছে এমনভাবে টেনে নেয় যে পার্থিবরা অসাড় হয়ে আসে।

“কালো দরজা খুলে তুমি বাইরে এসে দাঁড়াতেই, আমি বুঝে গেলাম শেষের সেদিনের আর দেরি নেই, খুলি ফাটিয়ে ঘিলুর রস খাবেই তারিয়ে তারিয়ে, তোমার চারহাত যখন সাঁড়াশির মতো ধরল জড়িয়ে, আমার নশ্বর হাড়সকল ভেঙে গেল তোমার বুকের চাপে, পুরুষাঙ্গ কেটে তুই ভরে নিলি অতিকায় যোনিটির খাপে”

এই কবিতাটির নাম কালী, এছাড়াও আছে লক্ষ্মী, দুর্গা, সরস্বতী এবং বইয়ের শেষে “ডানকুনি-গড়িয়া” বলে একটি কবিতায় একদম ভিন্ন থেকে ভিন্নতরভাবে নারীর যত যত রূপ কবির জীবনে, দর্শনে, ভাবকল্পে এসেছে তাকে বিভিন্ন মহিমায় পাঠক পাবেন এই “মেয়ে” কাব্যগ্রন্ত্রে। কিন্তু এটা ঠিক ঐ নারী তোমার একই অঙ্গে কত রূপের মতো নাটকীয় নয় এবং তা কত মুচড়ে দেওয়া অনুভূতির তা পূর্বোক্ত কালী কবিতাটি পড়লেই বোঝা যায়। যেখানে তুমি থেকে তুই আর জাপটানো সঙ্গম থেকে এক গভীর গ্রাসে পৌঁছে গেল কবিতাটি—একে বলে উজ্জ্বল সমর্পণ!

এবারে যেটা বলার, প্রকৃত ভালো লেগে যাওয়া কবিতাকে নিয়ে কিছু বলা নিতান্ত কঠিন। যেমন লেখা একটু দূরত্বে থাকলে পাঠযোগ্য হয় সেরকম একটু কম ভালো লাগলে ভালো আলোচনা করা যায়। কারণ ভালো লাগা মানে ইন্দ্রিয়ের বশীকরণ হয়ে গেছে এর পর একে নিয়ে বলা যায় না। বইগুলো পড়ে একরকম আচ্ছন্ন অনুভূতি এসেছিল তাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই লেখা রইল। পরিশেষে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলি যাঁর কবিতা নিয়ে আলোচনা হলো সেই কবির নাম বিপ্লব চৌধুরী।

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;