সাম্প্রতিক গ্রিসের কবিতা
পথ খরচ
আপনি ভাড়া নিয়ে অনেক কথা বললেন।
চুক্তিও করলেন আপনি, অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে দর কষলেন,
পাটাতনের কাঠ খুঁটিয়ে দেখলেন।
আপনি নাড়লেন গৌরাবান্বিত জাহজ ভাঙার জল
কিন্তু দাঁড় টানায় আছে সমুদ্র ভ্রমণের জ্ঞান।
বৈঠাগুলো,
তাদের দৈর্ঘ্য আর তাদের সংখ্যা,
দাঁড় টানা ছাড়া কি জায়গা বদল সম্ভব।
দুঃখের ব্যাপার সময়ের সঙ্গে জ্ঞান স্থায়ী নয়
দিগন্তকে চিহ্নিত করে যা সঞ্চয়ে রাখুন
অবিরাম বাঁক বদলাবার জন্য।
কবির পথ
গ্রীষ্মের পাহাড়ে
যেখানে প্রেমে জড়িয়ে থাকে বৃষ্টি
আর দারুচিনির সুগন্ধ,
আমি জাহাজে পাল তুলছিলাম স্পেসেস
দ্বীপে ভ্রমণের জন্য
তোমার দেহের চারদিকে।
সীমান্তের গোরস্থান ৪
পিতলা বাতাসের বাদ্যযন্ত্র
তার ঐশ্বরিক দেহে রূপ দেয়, তারপর ছেয়ে যায়।
একটি চিরন্তন সুর, যখন
সিল্কের শাড়ি চুম্বন করে দেহে।
প্রেম আচমকা আসে, তবে সর্বদা
ভবঘুরে স্বার্থপর আর ছলচাতুরির পথে চলে।
শতাব্দীভর
কে মায়ার বিষয় সম্পর্কে কথা বলেন?
কে আখেরন জলসীমার বদল নিয়ে কথা বলেন?
কে সিমি দ্বীপের সূর্য আর ‘ন’ নীল আকাশের কথা বলেন?
কে টেনারো দ্বীপের নির্জনতা নিয়ে কথা বলেন?
শেষ পর্যন্ত কে চিহ্ন থেকে শব্দের উত্তরণের কথা বলেন?
নোট নম্বর ১১
সে তাকে চুমো খেয়েছিল
স্বর্গদূতের মতো, তার বুকের গভীরে;
আর ধীরে ধীরে উড়ে গেল দীর্ঘ সমুদ্রের দিকে সে
স্কোপেলেস, আয়োস, ইভিয়া হয়ে উঠেছিল
তার দেহ
আচ্ছাদিত ছিল প্রাচীন ভূমধ্যসাগরের
ক্রিতে।
আন্তোনিস দি স্কিয়াথাস
কবি ও সমালোচক আন্তোনিস দি স্কিয়াথাসের জন্ম ২৩ মে ১৯৬০ সালে, গ্রিসের এথেন্স শহরে। পেশাগতভাবে তিনি একজন রসায়ন প্রকৌশলবিদ। আন্তোনিস ১২টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। ‘বর্ডার সিমেট্রি’ [১৯৮৩] তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। বইটি গ্রিক ভাষায় বেশ আলোচিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘দি হর্স অফ দি ওয়েভস’ [১৯৯০], ‘ফ্যান্টাসাইস অফ এ ওয়াকার’ [১৯৯৬], ‘ট্রেইসেস অব পিপল’ [২০০৬], ‘হসপিটাবল সিটি’ [২০১০] ও ‘দি সোল ফেইথফুল রেসিডেন্স’ [২০১৬]। এগারোর অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার কবিতা। ১৯৯০ সালে তিনি ‘এল-হুইল’ সাহিত্য জার্নালের পরিচালক ছিলেন। গ্রিক সোসাইটি অফ রাইর্টাসের সদস্য তিনি। বর্তমানে গ্রাফিয়ন পোইসিয়াস-এর পরিচালক তিনি। সম্প্রতি অনুবাদকের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এবং কবিতা পাঠিয়ে সানন্দ্যে অনুবাদের সম্মতি দেন তিনি। আন্তোনিস গ্রিসের পাত্রাসে বসবাস করছেন এখন।