বেরোবিতে অনলাইন ক্লাসের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

  • বেরোবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেরোবিতে অনলাইন ক্লাসের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

বেরোবিতে অনলাইন ক্লাসের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

সেশনজট নিরসনে দ্রুত অনলাইন ক্লাস চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের (২০১৪-১৫) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেট বন্ধ করে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা। পরে উপাচার্য ক্লাস শুরু করার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসিক ভবন অবমুক্ত করে চলে যায়।

বিজ্ঞাপন

ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অধিকাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি আমাদের (বেরোবি) বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিভাগে অনলাইনে ক্লাস চলছে। অথচ ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও ক্লাস শুরু করতে পারেনি ইংরেজী বিভাগ। ৪ বছরে ৮ সেমিস্টারে অনার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছরে মাত্র ৬ সেমিস্টার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অনার্স সম্পন্ন না হওয়ার কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত জায়গায় চাকরির জন্য আবেদন করতে পারছি না। প্রায় ৩ বছরের এ সেশনজটের পেছনে শিক্ষকদের হেয়ালিপনা ও দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করছেন তারা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২৭ বছরে ৪র্থ বর্ষে, অনার্স শেষ হবে কবে? হতাশার নাম ইংরেজি বিভাগ।’

বিজ্ঞাপন

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কিংবা শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আগামী ১৫ অক্টোবর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণকে নিয়ে ইউজিসিতে মিটিং আছে। মিটিংয়ে অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হবে তা পরবর্তীতে জানানো হবে।

উল্লেখ্য; গতকাল (১২ অক্টোবর) দ্রুত ফলাফল প্রকাশ, অনলাইনে ক্লাস চালুকরণ ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থা কর্মসূচি পালন করে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৮টি ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগীয় প্রধান তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।