জাবি ভর্তি পরীক্ষা: প্রতি আসনের বিপরীতে ১৬৩ শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থীর। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২০ জুন থেকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাড়িয়ে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে গত শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে।
জাবির কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান জানান, এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রাথমিক আবেদন শেষে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেছেন মোট তিন লাখ ৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় ৫১ হাজার ৯৮৪ জন কম। তবে ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে আবেদন ফি পরিশোধের সময় আজ পর্যন্ত বাড়ানো হলেও এখন নতুন কোনো আবেদন করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও জানান, এ বছর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট ৯টি ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে। এর মধ্যে এ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ) ৬৮ হাজার ২০২ জন, বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ৩৭ হাজার ৮৪৭ জন, সি ইউনিট (কলা ও মানবিক অনুষদ) ৪১ হাজার ৬৭৭ জন, সি-১ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগ) ১০ হাজার ২৬৮ জন, ডি ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৬৯ হাজার ১২৯ জন, ই ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১৮ হাজার ৩৩ জন, এফ ইউনিট (আইন অনুষদ) ২৪ হাজার ৭৩ জন, জি ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ৮ হাজার ৮৬১ জন, এইচ ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) ২৩ হাজার ২৪০ জন এবং আই ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) ৬ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
ভর্তি পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিতেই জানিয়েছি যে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এখনো সেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের জানানো হলেই পরে আমরা জানিয়ে দিতে পারবো।
আবেদনের সংখ্যা কমের কারণ কি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারাই (ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা) ভালো বলতে পারবেন। আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখের বেশি হওয়ায় তিনি মনে করেন এ সংখ্যা কম নয়।
তবে ভর্তিচ্ছু বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা ও বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতায় হিসেবে বেশি জিপিএ চাওয়ায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেবেন এমন অনেক শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আবেদন করতে পারেনি এবং ভর্তি পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য না পাওয়ায় এ সংখ্যা অনেক কম হয়েছে।
ভর্তি পরিচালনার সাথে যুক্ত একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন হলের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিবেচনায় সিট সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ১৮৮৯ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল তিন লাখ ৫৯ হাজার ৯৬২ জন ভর্তিচ্ছুর।