মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বুয়েটের ‘না’, পোষ্য কোটা বহাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য বছরের মতো এবারও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটায় ভর্তির সুবিধা থাকছে না।

কোটা না রাখার পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘কোটা সিস্টেম চালু হলে বুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রমের স্টান্ডার্ড (মান) ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য ‘পোষ্য কোটা’ সুবিধা বহাল রেখেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বুয়েটে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার বিষয়ে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল’-এর আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বুয়েট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। ওই চিঠির জবাবে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো ফোরকান উদ্দিন লিখিত জবাব দেন।

বুয়েট রেজিস্ট্রার ওই চিঠিতে জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আলোচনা হয়। ওই সভায় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়।’

ওইদিন একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভর্তির জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা ও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের পোষ্যদের জন্য ভর্তির কোটা থাকলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো কোনো কোটা ছিল না এবং এখনো নেই।’

‘মুক্তিযুদ্ধ প্রায় ৩৪ বছর আগে হয়েছে এবং এ যাবত কোনো কোটা ছাড়াই বুয়েটে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে। কোটা সিস্টেম চালু হইলে বুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিবে। সার্বিক বিবেচনায় একাডেমিক কাউন্সিল কোটা সিস্টেম চালুর বিপক্ষে মতামত দেন’ বলে সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়।

   

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইবি 



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ (জিএসটি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এসময় তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে র‍্যাবের সর্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। ভর্তি পরীক্ষা যেন নকল মুক্ত এবং প্রক্সি মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সর্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। 

সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিএনসিসি রোভার স্কাউটের ৬২ জন সদস্য বিভিন্ন ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ১৭৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ২৩ জন পোশাকধারী আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ১০০ জন ভ্যান চালকদের পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তারা মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের ভবনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও পার্কিং করার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের ৩নং গেইটে (ডরমিটরি গেইট) নামিয়ে দিয়ে শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাড়ি অবস্থান করবে এবং ঝিনাইদহ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের শেখপাড়া বাজারে নামিয়ে দিয়ে ডিএম কলেজে গাড়িসমূহ অবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মে (শুক্রবার) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা এবং ১০ মে (শুক্রবার) ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায়ী শিক্ষা) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবে।

;

সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ে অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এ আয়োজন বাতিল করতে হয়।

বুধবার (২৪এপ্রিল) এ সালাত আদায়ের কথা থাকলেও আগের দিন রাতেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ঢাবি প্রশাসন এ আয়োজনের অনুমতি দেননি।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ ইস্তিস্কার নামাজ। ইমামতি ও মুনাজাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শাইখ অধ্যাপক মুখতার আহমদকে। তবে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে রাতেই জানানো হয়, এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সালাতুল ইস্তেস্কার আদায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য সালাতুল ইস্তেস্কারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ডেকেছে। তীব্র তাপবদাহ চলমান থাকায় এই মুহুর্তে প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সে জায়গায় আমরা খোলা মাঠে নামাজের অনুমতি দিতে পারি না। নামাজের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, হলে হলে মসজিদ রয়েছে, ইমাম-খতিবও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টির আশায় এ ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।

;

আসন বণ্টন নিয়ে সিনিয়রের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় সংরক্ষিত কক্ষে 'অনুমতি না নিয়ে' আসন বণ্টনের জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সাথে এক জুনিয়র শিক্ষক ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ' আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া জুনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষককে 'মারতে তেড়ে' যাওয়া ও নিজেকে 'উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ লোক' হিসেবে পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঐ ভুক্তভোগী শিক্ষক।

ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা শিক্ষক হলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আসন বণ্টন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে আছেন। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডিয়া ল্যাবকে আসন বণ্টনের আওতায় রাখেন। অনুমতি না নিয়ে কেন এই কক্ষকে আসন বণ্টনের আওতায় আনা হলো এ বিষয়ে কাজী আনিছ কথা বলতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে ঈদের বন্ধের পর গত ২১ এপ্রিল তাদের দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে। সেখানে কথা কথায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান।

পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তাদের ঘটনা সমাধানের লক্ষ্যে কয়েকজন শিক্ষক আলোচনায় বসেন। সেখানেও আবু ওবায়দা রাহিদ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষকরা। এই আলোচনায় কাজী এম. আনিছুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

এ ব্যাপারে একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'বিষয়টি খুবই ক্ষুদ্র। ব্যক্তিগত ইগোর জায়গা থেকে সরে আসলে ঘটনাটি সহজেই সমাধান হতে পারতো। একজন শিক্ষকের সাথে আরেকজন শিক্ষক এমন আচরণ কখনো করতে পারেন না। বিষয়টির কোন গভীরতা নেই। আসন বিন্যাস নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা এতদূর টেনে আনার কোন মানে নেই।'

অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির হুসেইন বলেন, ‘এই ধরনের আচরণ কখনোই কাম্য নয়। শিক্ষকসুলভ আচরণ বলে মনে হয়নি।'

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে আবু ওবায়দা রাহিদ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। একারণে মন্তব্য নেই যে, মিজান স্যার ছিলেন, প্রক্টর স্যার ছিলেন, জাহিদ হাসান স্যার ছিলেন। আমাদের দুইজনের মধ্যে যদি কথোপকথন বা তর্কবির্তক হয়ে থাকে তাহলে বাকি তিনজন মানুষ নিরপেক্ষ। বাকি তিনজন যদি বলে থাকেন এধরনের কিছু হয়েছে তাহলে আমি ধরে নিব আনিছ ভাইয়ের কথাটি সঠিক।'


সিট বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা যথেষ্ট প্রসিডিওর বুঝি। আনিছ ভাই যখন অনুমতির কথা বলেছেন তখন আমি বলেছি যে, আপনার অনুমতি চেয়ে আপনাকে মেইল করেছি। তখন তিনি বললেন, আমি মেইল দেখি নাই। আমি অফিসিয়াল প্রসিডিওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগকে মেইল করেছি আমরা যাওয়ারও দশদিন আগে।'

সার্বিক বিষয়ে বলেন, 'আমি এখনো বলছি, এধরনের কিছুই হয়নি। আমি মনে করি একজন সহকর্মী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে উনার সহযোগিতা করা উচিত ছিলো। কিন্তু তিনি সেটি না করে উনার চেয়ারম্যানশিপ ফলানোর জন্য আমার সাথে এবং আল-আমিন স্যারের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন।'

এ ব্যাপারে কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'বিভাগের একটি সংরক্ষিত কক্ষে আমার অনুমতি না নিয়েই আসন বণ্টন করা হয় আর এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি (আবু ওবাইদা রাহিদ) আমার সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। পরবর্তীতে ঈদের বন্ধের পর আমাদের দেখা হয়। সে সময় আমরা ভালোভাবেই কথা বলি। কিন্তু এক সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। এরপর আমার সহকর্মীরা সেদিনকার ঘটনা সমাধানের জন্য আমাদের নিয়ে এরপরের দিন আলোচনায় বসেন। সেখানে তিনি আমার দিকে মারতে তেড়ে আসেন এবং উনি উপাচার্যের কাছের শিক্ষক, উনি আমাকে দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন।'

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী কোন মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'সকল শিক্ষকই আমার কাছে সমান। আর বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। এই বিষয়ে অভিযোগ আসলে আমি ব্যবস্থা নিবো। ভুক্তভোগী শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে।'

 

;

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষার দিন শিথিল থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ মার্চ উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির ৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও উপাচার্য দাবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল তারিখে দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সদস্য সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ অত্যন্ত হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (২৪ এপ্রিলের মধ্যে) সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে।’

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ শিক্ষক সমিতি থেকে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বারবার উপাচার্যের কাছে যৌক্তিক দাবিগুলো মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই উপস্থাপন করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল দাবি বাস্তবায়নের যে কমিটি দিয়েছে এটা বিতর্কিত কমিটি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন লঙ্ঘন করে যাদেরকে বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা। প্রক্টরের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে প্রক্টর দায় এড়াতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে কোষাধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আমরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। শিক্ষক সমিতির দাবির সাথে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আমি জানি না। শিক্ষক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত আমি মনে করছি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। শিক্ষক সমিতির দাবির ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাল একটি মিটিং হবে কমিটির সাথে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে কেউ অবাঞ্ছিত করতে পারে কিনা সেটা তাদের বিষয়। কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলতেই পারে। তবে সেটা কতটা আইনসিদ্ধ সেটা একটা প্রশ্ন।’

;