ছাত্র লাঞ্ছিতের অভিযোগে জাবির দুই ছাত্রী বহিষ্কার
ছাত্র লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রসাশন। একইসাথে তার সহযোগী আনিকা তাবাসসুম মিমকেও ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিষ্কৃত সুমাইয়া বিনতে ইকরাম এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। ক্যাম্পাসের বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও তার বান্ধবী আনিকা তাবাসসুম মিম ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুদের সাথে রাস্তায় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুর্ব্যবহার করে। এসময় পথচারী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন।
ঘটনার একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে একটি খাবারের হোটেলের সামনে অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরামের ছেলেবন্ধুর সাথে কথা বলার সময় সুমাইয়া হঠাৎ করে ভিকটিমকে কয়েকটি চড় মারেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে উভয় পক্ষই লিখিত বক্তব্য জমা দেয়। শিক্ষার্থীরা এসময় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বডির মিটিংয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয় যা পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় পাশ হয়। বহিষ্কৃত সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও আনিকা তাবাসসুম মিম নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ আলী বলেন, লাঞ্ছনার দায়ে অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে এক বছর এবং আনিকা তাবাসসুম মিমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। উক্ত সময়ের মধ্যে তারা কোনও পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং কোন প্রকার সুবিধাদি গ্রহণ করতে পারবে না।