কে হচ্ছেন রাবির পরবর্তী উপ-উপাচার্য?

  • আছিয়া খাতুন, রাবি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাডেমিক কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম। তবে গত ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো জাকারিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে সেই পদটি শূন্য আছে।

উপ-উপাচার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কোন শিক্ষক হবেন পরবর্তী উপ-উপাচার্য? দলীয় বিবেচনায় নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার মান ও নেতৃত্বদানে ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে আলোচনা।

বিজ্ঞাপন

তবে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে শিক্ষার্থীবান্ধব, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসক চান বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, ইচ্ছেমতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পছন্দের প্রার্থীকে প্রশাসনে আনতে উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতারা। এ নিয়ে সর্বমহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে কে হতে যাচ্ছেন রাবির দ্বিতীয় উপ-উপাচার্য সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ (সংশোধিত)-এর অধ্যাদেশ-১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দুভাগে ভাগ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো দুজন উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেন।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখাশোনার দায়িত্বের উপ-উপাচার্যের পদটি শূন্য হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই পদে দায়িত্ব পেতে পারেন এমন কয়েকজন শিক্ষকের নাম শোনা যাচ্ছে ক্যাম্পাস জুড়ে।

গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে জায়গা করে নিতে দৌড়াচ্ছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বর্তমান আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান খান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একরাম উল্ল্যাহ, শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাবেক কনভেনার ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. জুলফিকার আলীর নামও শোনা যাচ্ছে।

এদিকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটি ফাঁকা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, প্রায় একমাস যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের একটি পদ শূন্য আছে। স্বাভাবিকভাবেই যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে অন্যদের ওপর কাজের চাপ কম থাকে। তাই পদটি খালি থাকায় আমি একক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও উপাচার্যসহ আমরা সবাই সামগ্রিকভাবে কাজগুলো চালিয়ে নিচ্ছি। প্রশাসনিক কার্যক্রম আমরা ব্যহত হতে দিচ্ছি না।