১০ তলা থেকে লাফ দেওয়া শেকৃবি শিক্ষার্থী মারা গেছেন
শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম
ক্যাম্পাস
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ তম ব্যাচের মারিয়া রহমান নামের এক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলা আবাসিক হল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার আট দিন পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, একাডেমিক বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত মারিয়া রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের ১০ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরবর্তীতে মারাত্নকভাবে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
সেদিন প্রত্যক্ষদর্শী হলের গার্ড পাভেল ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘হঠাৎ শব্দ শুনে গার্ডরুম থেকে বাইরে এসে দেখি এক ছাত্রী নিচে পড়ে আছে। লাফ দেওয়ার সময় কাঁঠালগাছের ওপর পড়েছিল, ডাল ভেঙে নিচে পড়েছে। যতটুকু দেখেছি, হাত ভেঙে হাড় বের হয়ে গেছে।’
সুইসাইডের চেষ্টা করা শিক্ষার্থীর ব্যাচমেট বলেন, ‘ও কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিল। ওর বেশ কয়েকটা সিটি পরীক্ষা ডিউ ছিল। শুনেছি অনেক স্যাররা ডিউ পরীক্ষা গুলো নিবে না বলেছে। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারেনি।পরবর্তীতে স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের স্যাররা নাকি ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কথা বলেছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যাচমেট বলেন, ‘আমি আমাদের সেকশনের শিট গুলো সবাইকে দেই। মারিয়া ১০ তলা থেকে লাফ দেওয়ার আগের দিন শিট কপি করার জন্য নিষেধ করেছিল।ডিটেইলস তো আমি কিছু জানতাম না তবে ওকে চিন্তিত মনে হচ্ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক সংবাদ এটি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু পারিনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বার্তা২৪ কে বলেন, ‘মারিয়া মারা যাওয়ার ঘটনা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তবে মারিয়া বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রসাশন থেকে সর্বোচ্চ যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়েছে। আর মারিয়ার বাবা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে মারিয়ার মানসিক সমস্যা ছিল এবং এই কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা মারিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।'
সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম
ক্যাম্পাস
রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।
সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের।
সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'
সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল অনুষদে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।
সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।
প্রথমবারের মতো জাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালু, পাচ্ছেন ৫ শিক্ষার্থী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ক্যাম্পাস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার অর্ধশত বছর পর প্রথমবারের মতো ৫ টি অনুষদের অধীন ২০১৫ -১৬ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের (৪৫ ব্যাচ) স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফল (সিজিপিএ) ধারীদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে অবস্থিত কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীনের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন ও ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।
ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রাপ্তরা হলেন - কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে চারুকলা বিভাগের রুবাইয়াত ইবনে নবী (সিজিপিএ ৩.৯৮), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে অর্থনীতি বিভাগের ফারাহ নাসরিন (সিজিপিএ ৩.৯৮), জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনুজ ভৌমিক পিয়াস (৩.৯৮), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মো. আতা-ই-রাব্বি (সিজিপিএ ৩.৯৫) , গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ থেকে পরিসংখ্যান বিভাগের মোছা. নিলুফার ইয়াসমিন (সিজিপিএ ৩.৯৪)।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করা। অনেকদিন পর হলেও আমরা ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করতে পেরেছি৷ আমাদের ডীনস কমিটির দীর্ঘ আট মাসের আলোচনা-পর্যালোচনার পর আমরা ২০১৫-১৬ সেশনের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হবে৷'
আগামী ৭ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের মেডেল প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। এতে অ্যাওয়ার্ড বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ট্রাস্টি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন উপস্থিত থাকবেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. নুহু আলম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা।
প্রসঙ্গত, ডিনস অ্যাওয়ার্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ৩.৭৫ এর কম সিজিধারী কেও অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবেন না। তাই এ বছর আইন অনুষদের কোন শিক্ষার্থীর সিজিপিএ নীতিমালায় অনুযায়ী সমান বা উর্ধ্বে না থাকায় আইন অনুষদ থেকে ডিনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য কাউকে মনোনীত করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইন অনুষদের ডিনের সাথে আলোচনা করে আগামী বছর থেকে নতুন নীতিমালা আসতে পারে বলে জানান ডিন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ইউনিটের বিজ্ঞান ও অবিজ্ঞানের ৫টি গ্রুপ মিলিয়ে গড় পাসের হার ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক শহিদুল আলম তথ্যটি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবছর সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৩ হাজার ৮৬৯ জন ভর্তিচ্ছু। প্রশ্নোত্তর মূল্যায়ন করে গ্রুপ-১ পাস করেছে ৩২.৪২ শতাংশ এবং এই গ্রুপে সর্বোচ্চ নম্বর ৮০.৫০। গ্রুপ-২ এ পাসের হার ৩৮.৩১ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ৮৪.৭৫। গ্রুপ-৩ পাসের হার ৩২.৯৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ৮৮। গ্রুপ-৪ এ পাসের হার ২৪.৭৬ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ৮৭। এছাড়া গ্রুপ-৫ (অবিজ্ঞান) এ পাসের হার ৮৮.৩২ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ নম্বর ৮৮.৫০। ৫ টি গ্রুপ মিলিয়ে গড় পাসের হার ৪১.৩৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ২৯-৩১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬২ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে ২৯ মে ‘সি’ বিজ্ঞানের চার গ্রুপ এবং ৩১ একই ইউনিটের অবিজ্ঞান গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
রাবিতে প্রক্সিকাণ্ডে গ্রেফতার সেই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার
রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
হাসিবুল ইসলাম শান্ত
ক্যাম্পাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকা হাসিবুল ইসলাম শান্তকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রোববার (৪ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক, এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. হাসিবুল ইসলাম শান্ত (সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা)-কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হল।’
এর আগে, রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে সরাসরি আটককৃতদের তথ্য অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৩০ মে) হাসিবুল ইসলাম শান্তকে নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়ের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, রাবির গত বছরের ভর্তি পরীক্ষাতেও একই অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে বহিষ্কার করা হলেও তিন মাসের মাথায় বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।