বিজ্ঞপ্তির ২ বছরেও শেষ হয়নি শেকৃবির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) বিভিন্ন বিভাগে স্থায়ী শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের প্রেক্ষিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও শিক্ষক নিয়োগের এই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।

নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় ভুক্তভোগী হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নিয়োগপ্রার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের জন্য প্রকাশিত ৮২ জন শিক্ষক নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক হিসেবে ২ জন, সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ৩ জন, সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ৩৩ জন এবং প্রভাষক হিসেবে ৪৪ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা উল্লিখিত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ এর প্রকাশিত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পূর্বেই ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে স্থায়ী শূন্য পদের জন্য ৩৪ জনের আরেকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। মূলত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও বিভিন্ন জটিলতায় ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছি না। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে নিয়োগ কিছু দিনের মধ্যেই হতে পারে। আবার প্রক্রিয়া কিছুটা দীর্ঘয়িতও হয়ে যেতে পারে যেহেতু সামনে নির্বাচন রয়েছে । তবে আমরা সর্বোচ্চ যোগাযোগের চেষ্টা করতেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রভাষক প্রার্থী বলেন, প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে দিন যাপন করছি। দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রয়েছি নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার। ২ বছর দীর্ঘ সময়, এতটা সময় পেরিয়ে গেলও এখনো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া অবশ্যই দুশ্চিন্তার এবং উদ্বেগজনক। তাছাড়া আমাদের প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে অন্য কোনো চাকরির প্রস্তুতি নেয়নি। কেননা আমাদের রেজাল্ট ভালো এবং নিজেদের যোগ্যতার ওপর বিশ্বাসী হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।এখন প্রতিনিয়ত এভাবে পিছিয়ে যাওয়ায় সন্দিহান অবস্থায় রয়েছি কি হবে। তাছাড়া অনেকের পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো না, দ্রুত আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া প্রয়োজন। সবকিছু মিলিয়ে আমরা এতটুকুই প্রত্যাশা করছি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক অন্যথায় জানানো হোক আর কত সময় আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

আরেক নিয়োগপ্রার্থী বলেন, সিজিপিএ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়ে আমি শুরু থেকেই প্রত্যাশিত ছিলাম। আমি নিজেকে শুধু এই পেশার জন্য যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে প্রচণ্ড অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছি। আসলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে না পারলে আমার আর কোনো উপায় থাকবে না। এলোমেলো কিছু হলে অনেকে আত্মাহত্যাও করে ফেলতে পারে। আমরা শুধু এতটুকুই চাই যে নিয়োগ প্রক্রিয়া একটু দ্রুত হোক। অপেক্ষার প্রহর প্রতিনয়ত আমাদের এবং আমাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘতর হচ্ছে।

এএসভিএম অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তিতে মোট শিক্ষক নিয়োগের একটা বড় অংশ এএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের। আসলে আমাদের অনুষদের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্ট একজন কিংবা দুইজন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এভাবে ডিপার্টমেন্ট পরিচালনা করা শিক্ষকদের জন্য যেমন অতিরিক্ত চাপ এবং কষ্টের কাজ। তেমনি অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও ভুক্তভোগী হয়ে যায়। অনেক শিক্ষক রয়েছেন যাদের দুই লেভেল কিংবা তিন লেভেল পর্যন্ত কোর্স রয়েছে। তাহলে একজন শিক্ষক এতগুলো লেভেলের ক্লাস কিভাবে নিবেন। আবার পরীক্ষা নিবেন নাকি পরীক্ষার খাতা দেখবেন। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য জটিল অবস্থা তৈরি হয়। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই সমস্যাগুলো থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো বলেই প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক অলক কুমার পাল বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে । কিন্তু সরকারের অন্যান্য দফতরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঠিক কবে নিয়োগ হবে বলতে পারবো না তবে তিন দিন আগেও এবিষয় নিয়ে আমরা মিটিং করেছি। প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করছে এবং প্রক্রিয়া দ্রুত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিয়োগ প্রার্থীদের একটু ধৈর্য রাখতে হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যুক্ত হতে গেলেও কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হয়।

   

ঢাবিতে দু'দিনব্যাপী ফার্মাফেস্ট শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগ, ফার্মেসি অনুষদ এবং ফার্মেসি ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী 'ফার্মাফেস্ট-২০২৪' শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন খন্দকার বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এই ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এবং রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ফেস্ট-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন- ফেস্ট-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুন। ফার্মেসি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা তালুকদার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশের ফার্মেসি খাতের চাহিদা পূরণে এবং ওষুধ শিল্পে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন, শ্রেণিকক্ষ আধুনিকায়নসহ শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী দেশের ওষুধ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ককে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ফার্মাসিস্ট পেশাকে শুধু শিল্পখাতের সাথে সম্পৃক্ত না রেখে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং কমিউনিটিতে ফার্মাসিস্ট পেশার কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের সামাজিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ফার্মা অলিম্পিয়াড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং বক্তৃতা আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ফেস্ট। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, ফার্মাসিস্ট এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।

;

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতি: উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করে।

প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও বিভিন্ন ভিডিও ঘেঁটে দেখা যায়, রোববার দুপুর ১টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে কুবি শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে যান অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান শিক্ষক সমিতি ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এ সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এতদিন তিনজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আসছিলাম। শনিবার মেন গেটের সামনে আইকিউএসির পরিচালকও শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে মারতে তেড়ে আসেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত নানা কেলেঙ্কারি করে যাচ্ছেন ট্রেজারারকে সঙ্গী করে।

আজকে (রোববার) তো আমাদের গায়ে হাত দিয়েই তিনি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেছেন। এতদিন সাত দফা দাবি ছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। এই উপাচার্যকে আমরা আর চাই না।

;

চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু মঙ্গলবার



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

তীব্র গরমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সশরীরে বন্ধ হওয়া ক্লাস-পরীক্ষা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে যথারীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি সভায় ক্লাস অনলাইনে ও পরিক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

;

গাড়িসহ কুবি ট্রেজারারকে পথরোধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পথরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির এ কাজে বাঁধা দিয়েছে শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অবরোদ্ধ অবস্থায় মূল ফটকে গাড়িতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলোতে যান উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়, ট্রেজারারের কার্যালয় এবং প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিতে যায়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তারা দেখেন প্রশাসন থেকে আগে থেকেই উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝোলানো। ফলে উপাচার্য দপ্তরে আর তালা দিতে পারেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে তারা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রেজারার তার গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা এবং ট্রেজারারের গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ট্রেজারার তাদের কথার সাথে একমত না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তাকে পথরোধ করেন।

শিক্ষক সমিতি ট্রেজারারকে পথরোধ করা অবস্থায় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষক সমিতির সাথে তালা লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। এ সময় তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালা সংস্কৃতি' বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লিখলো শিথীল থাকবে। এটা এক প্রকার প্রতারণা। আমরাও শিক্ষক সমিতির সদস্য। এভাবে শিক্ষক সমিতি খেয়াল খুশি মত চলতে পারে না। আমরা এই তালা সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কিছু হলেই তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ যে প্রতারণা করলো সাধারণ শিক্ষকদের সাথে সেই প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি।'

এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম হচ্ছে তার সহায়ক হচ্ছেন ট্রেজারার। আর এই অনিয়মগুলো তিনি চালু করেছেন। অর্থ কমিটির বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের টাকা পয়সা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করাসহ এই যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তার সবকিছুর পেছনে তিনি আছেন। এই কারণে শিক্ষকরা সাধারণ সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রক্টর হিসেবে যদিও শিক্ষার্থীদের উপরে আমার দায়িত্ব তারপরেও সার্বিক শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমাদের উপরে আসে। আজকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। আজকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ট্রেজারারকে তারা এভাবে পথ আটকে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তারা নৈতিকতার জায়গা লঙ্ঘন করেছে।'

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে উপাচার্য স্যার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সচল রাখতে কি করণীয় সে বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কুবি শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিতে তাদের সাতটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষক সমিতির দেওয়া সাত দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৫ তারিখ সকালে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেন। তবে ২৭ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল করে এবং তালা খুলে দেয়। তবে আজকের (২৭ এপ্রিল) অফিস সময়সূচি শেষ হওয়ার পর তারা আবার তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে।

 

;