কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতি: উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করে।

প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও বিভিন্ন ভিডিও ঘেঁটে দেখা যায়, রোববার দুপুর ১টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে কুবি শিক্ষক সমিতির লাগানো তালা ভাঙতে যান অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিচতলায় শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করা শিক্ষক সমিতির নেতারা তাকে বাধা দেন।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে প্রবেশ করতে সাহায্য করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান শিক্ষক সমিতি ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এ সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এতদিন তিনজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আসছিলাম। শনিবার মেন গেটের সামনে আইকিউএসির পরিচালকও শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে মারতে তেড়ে আসেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত নানা কেলেঙ্কারি করে যাচ্ছেন ট্রেজারারকে সঙ্গী করে।

আজকে (রোববার) তো আমাদের গায়ে হাত দিয়েই তিনি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেছেন। এতদিন সাত দফা দাবি ছিল। এখন আমাদের দাবি একটাই। এই উপাচার্যকে আমরা আর চাই না।

   

চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

চবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত বাইকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বহিরাগত মোটরসাইকেল আরোহীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রক্টোরিয়াল বডি।

রোববার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রোববার থেকেই এই আদেশ কার্যকর হয়েছে এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত কিছু মোটরসাইকেল আরোহী বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করে এসব মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতির কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোটরসাইকেল ছাড়া বহিরাগতদের মোটরসাইকেল ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্ত রোববার (১৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

;

সিকৃবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দুজনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃত দুজন হলেন-নতুন কমিটির সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসন।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে রোববার বিকালে সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এতে ১৭ জন হতাহত হন। এই ঘটনার রেশ ধরেই কেন্দ্রীয় কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজের সাথে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না। তবে গতকাল হলের সিট সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা আসলে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সকল নেতাকর্মীরা বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়েও গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলবো না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।

তবে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এর আগে গেল শুক্রবার (১০ মে) রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুইদিনের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ এবং বহিষ্কার হলেন নেতা।

;

ইবির একই বিভাগের তিন বন্ধুর যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি’র স্বপ্নপূরণ



নূর ই আলম, ইবি করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন মানুষের সফলতার পেছনে একজন বন্ধুর অবদান কখনো কম থাকে না! হাসি, ঠাট্টা, গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা আর গানের পাশাপাশি যখন একই সঙ্গে সফলতার চূঁড়ায় আরোহন করা যায়, তার থেকে মধুর আর কিছু হতে পারে না!

তেমনি এক আকাশচুম্বী সফলতার মুখ দেখেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বন্ধু এবং তিনজনই একই বিভাগের। তিন বন্ধুই পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ’।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনি এক চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তিন মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে ‘শিক্ষার্থী’ বিশেষণ একপাশে রেখে তিন বন্ধু বলাই শ্রেয়! এই তিন বন্ধু হলেন- মামুনুর রশিদ, সুমন আলী ও নাঈম হোসেন।

জানা যায়, স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে তিনজনের রেজাল্ট একই। প্রথম থেকেই তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনীর দিকে আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসানের সহায়তায় ‘Hasan's research lab’ নামে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে সেখানে একসঙ্গে কাজ করতে থাকেন। করোনা মহামারির সময়ও থেমে থাকেনি তাদের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই এক বাসায় রুম ভাড়া নিয়ে কাজ চালিয়ে যান তারা। সেখানে তারা একইসঙ্গে গবেষণার মৌলিক কাজগুলো শেখেন।

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) একই বিভাগের তিন বন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করার সুযোগ পেলেন, ছবি- সংগৃহীত

এই সফলতার পেছনের ঘটনা বলতে গিয়ে তারা বার্তা২৪.কমকে জানালেন, আমরা সপ্তাহে ২-৩ বার জুমে মিটিং করতাম। ২০২১ সালের জুনের দিকে আমাদের গবেষণাপত্র প্রথম প্রকাশিত হয়। এর পর আমরা আরো বেশি ‘মোটিভেটেড’ হই। মনে প্রচণ্ড আনন্দ নিয়ে কাজ করতাম দিনরাত। স্যার আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন যে, তোমরা বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নেবে। তারপর বিশ্বের নামি-দামি গবেষকের সঙ্গে কাজ করবে। আমাদের নাম উজ্জ্বল করবে।

মাঝে মাঝে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তাম। আবার মোটিভেটেড হতাম স্যারের কথায়। স্যারই আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টা!

তারা বলেন, আমাদের এই সফলতার পেছনে সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসান স্যারের অবদান সবচেয়ে বেশি। বখতিয়ার হাসান স্যার আমাদের হাতেকলমে গবেষণা শিখিয়েছেন। সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। দেশি এবং আন্তর্জাতিকমানের গবেষকদের সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সুমন আলী বলেন, আমার বিভাগের এবং আমার পরিবারের জন্য এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! সবচেয়ে মজার বিষয়, আমরা যখন ড. বখতিয়ার স্যারের পাবলিকেশন দেখতাম, তখন তিনজন আলোচনা করতাম, আমরাও একদিন স্যারের সঙ্গে পাবলিকেশন করবো।

নাঈম হোসেন বলেন, মানুষের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য থাকে। বিসিএস অবশ্যই ভালো পেশা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে। তবে আমি কখনো সাধারণ জ্ঞান বা অনেক মুখস্থ পড়ায় আগ্রহ পেতাম না। অন্যদের মতো আমার পরিবারও বিসিএসকে গুরুত্ব দিতো। কিন্তু তারপরও আমার বড়ভাই আমাকে ‘সাপোর্ট’ জুগিয়েছেন। আমার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান বলবো, আমার বড় ভাইয়ের। একজন ভাইয়ের কী করা উচিত, তার সর্বোচ্চটা তিনি করেছেন। কোনো কিছুর কমতি কখনো তিনি আমার জন্য রাখেননি। সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

মামুনুর রশিদ বলেন, আমার জন্য এই সাফল্যটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, বাংলাদেশ থেকে খুব কম শিক্ষার্থীই আছেন, যারা সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিন্যান্সে পিএইচডিতে ‘ইনরোল’ (ভুক্ত) হতে পারেন। তিনি বলেন, ফিন্যান্সের পিএইচডি প্রোগ্রামগুলো খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়। সেখানে একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং তিন বন্ধু একইসঙ্গে পিএইচডিতে সুযোগ পাওয়া, অনেক গর্বের বিষয়!

আবেগ আর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মামুনুর রশিদ বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো, তিন বন্ধুর একইসঙ্গে পিএইচডি শুরু করা; যেখানে আমরা তিনজনই একসঙ্গে অনার্স চতুর্থ বর্ষ থেকেই গবেষণা শুরু করি।

সুপারভাইজারের শিক্ষকের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এখানে আমাদের তিনজনের সুপারভাইজার ড. বখতিয়ার হাসান স্যারের অবদান বলে শেষ করা যাবে না! তিনি না থাকলে হয়ত আমরা এই স্বপ্ন দেখার সাহসই পেতাম না! আমার মায়ের দোয়া সবসময় আমার সঙ্গেই ছিল।

আমার মা সবসময় বলতেন, ‘তুমি পারবা বাবা’- এই কথাটুকু আমার কাছে খুবই অনুপ্রেরণার ছিল। যাই হোক, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি অশেষ শুকরিয়া যে, আমরা এই ‘চ্যালেঞ্জিং জার্নিতে’ সফল হয়েছি। তবে এটাই শেষ না; যেতে হবে বহুদূর!

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায় শিক্ষার গবেষণা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আমি তাদের পরার্মশ ও গাইডলাইন দিয়েছি। তারা তিনজনই ছিল অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। তবে এটা খুবই ব্যতিক্রমী যে, তিন বন্ধু একইসঙ্গে ‘ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ’ পেয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে আনন্দ ও গৌরবের আর কিছু হয় না! এটাই আমার সবচেয়ে বড় সফলতা!

উল্লেখ্য, তিন বন্ধুর মধ্যে মামুনুর রশিদ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডির জন্য মনোনীত হয়েছেন। নাঈম হোসেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ ওরল্যান্সে ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিকসে মনোনীত হয়েছেন এবং সুমন আলী এল পাসোর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিন্যান্স নিয়ে পিএইচডি করার জন্য মনোনীত হয়েছেন।

;

ঢাবিতে ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা' স্লোগানকে ধারণ করে দু'দিনব্যাপী ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এবং পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ডিইউডিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, শহীদুল্লাহ হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডিইউডিএস-এর সভাপতি অর্পিতা গোলদার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের বাসযোগ্য ভূমি কমে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে বনাঞ্চল উজাড় করতে ও গাছপালা কেটে ফেলতে। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্ব জুড়েই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নের লক্ষে দেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। এসব কারণে পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে পরিবেশ বান্ধব ও একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পরিবেশ, জলবায়ু, তাপপ্রবাহ, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।

;