কাজ শেষ হওয়ার দুই বছর পরেও তালাবদ্ধ শেকৃবি টিএসসি

  • শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

ক্লাস শেষে চায়ের কাপের আড্ডা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা অথবা ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রমে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গন মুখরিত হওয়ার কথা থাকলেও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্সের চিত্র এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাজ শেষ হওয়ার দুই বছর পরেও শিক্ষক শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত হওয়ার বিপরীতে তালাবদ্ধ এখানকার টিএসসি ।

৩২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে টিএসসির তৃতীয় থেকে ষষ্ঠতলার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর পূর্বে ২০২২ সালের শুরুতে। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তা উদ্বোধন করেনি। তবে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ও বাইরের অনেক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে এই টিএসসি ভবনে। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসি উন্মুক্ত করা, সংগঠনগুলোকে রুমবন্টন করার দাবি জানিয়ে আসলেও লোকবলের অভাবসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি ছয় তলা বিশিষ্ট কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই টিএসসি ভবন।

বিজ্ঞাপন

ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সংগঠন ভিত্তিকরুম না থাকায় খোলা আকাশের নিচে মাঠে কিংবা ক্লাসরুমে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। এতে অনেকটাই সংকুচিত হয়ে পড়ছে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম।

অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথম দিকে আমাদের টিএসসি নিয়ে বেশ গর্ব হতো। ছয় তলা বিশিষ্ট দেশের মধ্যে সবথেকে বড় টিএসসি গুলোর মধ্যে একটি হতে যাচ্ছে আমাদের টিএসসি এটা ভেবে। কিন্তু বিল্ডিং এর এলোমেলো পরিকল্পনা, সংগঠনগুলোর জন্য পর্যাপ্ত রুম না থাকা, শুধু বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে বিশেষ সময়ে উন্মুক্ত হওয়া ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি না থাকায় আমরা হতাশ হয়েছি। লোকবলের অভাবে উন্মুক্ত করতে অক্ষমতার কথা প্রশাসন বললেও ক্যাম্পাসের বাইরের বড় বড় প্রোগ্রামগুলো কিভাবে পালিত হয়ে আসছে সে বিষয়টি জানার আগ্রহ কাজ করছে।

টিএসসি কমপ্লেক্স এর পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান বার্তা২৪ কে বলেন, টিএসসি কমপ্লেক্সে বর্তমানে আমি পরিচালক হিসেবে এবং একজন ডিপুটি অফিসার ও একজন সেকশন অফিসার নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছি। মূলত এত বড় কমপ্লেক্স এবং এর কার্যপরিধির বিস্তৃতি দীর্ঘ হওয়ায় অনেক লোকবলের প্রয়োজন।নিয়োগপ্রাপ্ত এই লোকবল দিয়ে পরিচালনা সম্ভব নয়। তবে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান এবং লোকবল দ্রুত পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের উপাচার্য মহোদয় এ ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন যার ফলস্বরূপ আমরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। আশাকরি খুব দ্রুতই টিএসসি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করতে সক্ষম হবো।

বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনকে সংগঠন পরিচালনার জন্য রুম দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের উপাচার্য মহোদয়সহ আমরা সবাই পজিটিভ। অবশ্যই সংগঠনগুলো পরিচালনার জন্য আমরা রুমের ব্যবস্থা করবো। এক্ষেত্রে নিবন্ধিত সংগঠন গুলোকে আমরা প্রায়োরিটির ভিত্তিতে রুম দিব।

কাজ শেষ হওয়ার দুই বছর পরেও টিএসসি কমপ্লেক্স উন্মুক্ত না হওয়ার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল বলেন, আমরা শুরু থেকেই টিএসসি কমপ্লেক্স উন্মুক্ত করার বিষয়ে সচেষ্ট আছি। কিন্তু লোকবল না থাকায় সম্ভব হয়নি। লোকবল নিয়োগ ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত হতে বিলম্বিত হওয়ার আমাদের উন্মুক্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দ্রতই হয়তো আমরা লোকবল নিয়োগে সক্ষম হব।

বিজ্ঞাপন