ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

   

বেরোবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান মোরশেদ হোসেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচির মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (১২ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০০৯ অনুসারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোরশেদ হোসেনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই নিয়োগ আদেশ ১২ মে, ২০২৪ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পরিবর্তিত হলে পরবর্তী সময়ে দায়িত্বে আসা ডিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ মার্চ। ওই দিন থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর সই করা পৃথক পৃথক তিনটি পত্রের মাধ্যমে তিন দফায় তিনজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কেউই দায়িত্ব নেননি।

গত প্রায় দুই মাস সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের পদটি শূন্য ছিল। এতে বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সেশন জটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা ৭ মে (মঙ্গলবার) থেকে বিভাগের প্রধান নিয়োগের দাবিতে লাগাতার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন। ওই ঘটনার পর রোববার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে ওই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেয় প্রশাসন।

 

;

রাবি ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এবং ওই হলের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। অভিযুক্তরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার মধ্যরাতের সংঘর্ষে নিয়াজ মোর্শেদকে (শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) আমি নাকি সহযোগিতা করেছি। এজন্য রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। তারা আমার হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, আমরা সকালে হল থেকে বের হওয়ার সময় দেখি ওই কর্মচারী অন্যপাশে হয়ে ফোনে বলছিল, ‘হলে ওরা আসছে, তিনজন ঢুকছে’। এই কথা শোনার আমরা তার ফোন চেক করি তিনি একটি নাম্বারে কথা বলছিলেন। নম্বরটি ট্রু কলারে চেক করে দেখি সেটা নিয়াজ মোর্শেদ ভাইয়ের নাম্বার। শুধু তাকে নয়, সে ছাত্রদল থেকে সবার কাছে তথ্য পাচার করেছে। এরপর তাকে আমরা হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের হাতে তুলে দিয়ে চলে এসেছি। তাকে কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি।

আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি বলেন, না এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা বানোয়াট একটা তথ্য, বিভিন্ন জায়গা থেকে এমনটা শুনতে পাচ্ছি। আমি এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই ব্যক্তি তথ্য পাচার করছিল তাই তাকে ওরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাৎক্ষণিক হল প্রাধ্যক্ষ এসে তাকে নিয়ে গেছে।

তবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। হলের কর্মচারীকে মারধর করা মানে হল প্রশাসনের উপর আঘাত আনা। আমরা আজ প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

;

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

'জাতীয় পরিবেশ পদক' পাচ্ছেন জাবি অধ্যাপক ড. মনোয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিভাগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন৷ এর আগে গত ০৯ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ড. মো. মনোয়ার হোসেনের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনয়নের তথ্য জানায়।

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করে আসছে৷ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ৩টি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ৩টিসহ মোট ৬ শাখায় এ পদক প্রদান করা হয়৷ তবে এ বছর তিন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়৷

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পূর্বক পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ এ পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, যেকোনো স্বীকৃতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে৷ আমি সম্মানিত বোধ করছি যে, রাষ্ট্র আমাকে এ পদক দিয়ে সম্মানিত করছে। কাজের স্বীকৃতি কাজের পরিধি বাড়িয়ে দেয়। তাই বলতে হয়, এখনো এ দেশের প্রাণ-প্রকৃতির জন্য অনেক কিছুই করার বাকি৷ আমরা প্রজাপতি ও প্রকৃতি নিয়ে ২০১০ থেকে এখন অবধি গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর প্রজাপতি মেলার আয়োজন করে যাচ্ছি৷ প্রজাপতি তার সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি প্রকৃতিতে উদ্ভিদের পরাগায়নে সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই উদ্ভিদ বংশবিস্তার করতে সক্ষম হয়। প্রজাপতি টিকে থাকলে সবুজ বন টিকে থাকবে। আর সবুজ বন টিকে থাকলে আমরা অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিকে পরিবেশ রক্ষায় যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। পাখি, জলাশয়, লেক, সাপ, ব্যাঙসহ সকল ধরনের প্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

এদিকে আজ এক অভিনন্দন বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ড. মনোয়ার হোসেন ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৩’ এর জন্য মনোনীত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এ পদক পরিবেশ বিষয়ে তার গবেষণা ও উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষে উপাচার্য ড. মনোয়ার হোসেনের অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন এর আগে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২০’ লাভ করেন। তিনি প্রজাপতি, মৌমাছি, ফড়িংসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী বিষয়ে অধ্যয়ন, অধ্যাপনা এবং গবেষণা করে আসছেন।

জাতীয় পরিবেশ পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে৷

;

খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক

খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ স্কুলের ৪ জন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষককে তিনি ৫০ হাজার টাকার চেক, সনদপত্র ও মেডেল তুলে দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দ হলেন- বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. অনুপম কুমার বৈরাগী, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলভুক্ত অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, জীববিজ্ঞান স্কুলভুক্ত ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ জামাল উদ্দিন এবং কলা ও মানবিক স্কুলভুক্ত বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. দুলাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই কৃতিত্ব শিক্ষকমণ্ডলীর। আজ যে সকল শিক্ষকরা ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন তাদের গর্বে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা এখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে গবেষণা অনুদান পাচ্ছেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গবেষণা অনুদান কমে গেছে। শিক্ষকদের উচিত এখন গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা। টানা দু’বছর ধরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিং এবং কিউএস র‍্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে। এই র‍্যাংকিং ধরে রাখতে আরও বেশি গবেষণা প্রয়োজন। এজন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ ও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে কোলাবরেশন প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন থেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষণা তহবিল ‘রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। এই ফান্ডে ২০ কোটি টাকা জমা হলে, তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের গবেষণাকার্য নিজেরাই পরিচালনা করতে পারবে। এই ফান্ডে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এই ফান্ডের অর্থ বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস। সঞ্চালনা করেন সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;