ঢাবিতে 'মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা
'সম্প্রীতি বাংলাদেশ' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আয়োজনে 'মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ' শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তৎপর রয়েছে। এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার জন্য তরুণ প্রজন্মসহ সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো, ঢাকা শহরেই লাখ মানুষ মারা গেল। আপনারা ছবিতে দেখতে পাবেন এ চিত্র।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চের এ আঘাতের পর তাজউদ্দীন আহমদ সাহেব ২৯ কিংবা ৩০ তারিখের দিকে বর্ডার ক্রস (সীমান্ত অতিক্রম) করেছিলেন।
তিনি কিন্তু পালিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুর পূর্ব নির্দেশে তিনি সেখানে অবস্থা বুঝে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে গিয়েছিলেন। তিনি কিন্তু সোজা গিয়ে বর্ডার ক্রস (সীমান্ত অতিক্রম) করেননি। তিনি বসে ছিলেন বর্ডারে। তিনি চাইছিলেন, এভাবে চোরের মতো বর্ডার ক্রস করবেন না। ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সাদরে গ্রহণ করতে হবে এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণে সহযোগিতা করতে হবে এবং সেটাই করা হয়েছিল। এভাবেই মুজিবনগর সরকার গঠনের শুরুটা হয়েছিল।
সম্প্রীতির জন্য শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আমাদের সঙ্গে সম্প্রীতির জন্য কাজ করছেন। আমার বিশ্বাস, এখানকার শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ আন্দোলন-সংগ্রাম, অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. সোমেন ভারতিয়া (আসাম), ড. রীতা চৌধুরী (আসাম), অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার এবং ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন প্রমুখ।