গভীর রাতে চুয়েটের হলে শিক্ষকের মদ্যপান, তদন্তে কমিটি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বসে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ জুন) চুয়েট প্রশাসন দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাফকাত আর রুম্মান। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মে) চুয়েটের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনীর শেষদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালীন সময়ে ভোর ৪টার দিকে শাফকাত আর রুম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তারেক হুদা হলে মদ্যপান করতে যান। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস তাকে মদ পান করতে দেখেন। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের স্ত্রী ও সহকর্মীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে বকাঝকা করতে থাকেন। পরে হলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে তাকে শিক্ষক ডরমিটরিতে পৌঁছে দেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে চুয়েট প্রশাসনের নজরে আসে এবং তারা এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধরকে সভাপতি এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে সদস্য করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

বিজ্ঞাপন

ড. সুনীল ধর বলেন, কমিটির সদস্যকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। খুব দ্রুতই আমরা কাজ শুরু করবো।

এ বিষয়ে চুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরিবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।