‘দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে’

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন জাবি শিক্ষকদের

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষকরা।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে ৬টি অনুষদ ও ইন্সটিটিউটসমূহের শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে এ পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সরকার নানা ক্ষেত্রে শিক্ষকদের চেপে ধরেছে মন্তব্য করে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে পেনশন ছাড়া আমাদের তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। এটা আমাদের ন্যূনতম অধিকার। অন্যান্য সরকারি আমলাদের মতো আমাদের তেমন বেনিফিট নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবহেলিত। এসব বিবেচনায় পেনশন স্কিম বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

দেশকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে মন্তব্য করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক। তাই শিক্ষকদের সম্মানে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন বলে জানানো হয়৷

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং ৩০ জুন পূর্ণ কর্মদিবস পালন করা হবে। তবে এ সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।