ঢাবি হল ক্যান্টিনে মাংসের রেসিপিতে নতুন উপকরণ ‘১০ টাকা’
![খাবারে টাকার নোট / ছবি: বার্তা২৪](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jun/28/1719586022566.jpg)
খাবারে টাকার নোট / ছবি: বার্তা২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবার প্রায়ই জন্ম দেয় নানা ধরণের সমালোচনার। পঁচা মাছ-মাংস, খাবারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অখাদ্য, খাবারের নিম্নমান ইত্যাদি কারণে প্রায়ই আলোচিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের খাবার। এবার মাংসের তরকারিতে দশ টাকার নোট পাওয়া যাওয়ায় আবারো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে হলের খাবার নিয়ে।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হলের ক্যান্টিনে খেতে যান শামীম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ওই ক্যান্টিনে বসে খাবার অর্ডার করলে তিনি গোশতেরে সঙ্গে মেশানো দশ টাকার একটি নোট দেখতে পান। শামীমের দাবি, মাংসের সঙ্গে দশ টাকার এ নোটটি রান্না হয়েছে।
এ হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো হল রয়েছে তারমধ্যে হাজী মোহাম্মদ মুহসিন হলের খাবার সবচেয়ে নিম্নমানের খাবার বলে আমাদের ধারণা। এ ব্যাপারে হল প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ। এ হলের ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পরেন। অথচ অন্যান্য হলের ক্যান্টিনের খাবার দামেও ৫/১০ টাকা কম মানও অনেক ভালো।
তবে ক্যান্টিন ম্যানেজার রিপন হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রান্নার সময় টাকাটা ছিলো না। খাবার যেখান থেকে দেওয়া হয় সেখান থেকে হয়তো টাকা উড়ে মাংসের প্লেটে পড়তে পারে। টাকাটা কেও হয়ত টিপস দিয়েছিল। যেটা উড়ে এসে খাবারে পড়েছে। টাকাটা তো কাগজ, এটি রান্না করলে আস্ত থাকতো না।
'অন্যান্য হলের ক্যান্টিনের খাবার দামে কম মানেও ভালো' শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আগে হয়ত খারাপ ছিলো। আগের তুলনায় খাবারের মান এখন অনেক ভালো। শিক্ষার্থীরা খাবার খেয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন।