১-৪ জুলাই অর্ধবেলা কর্মবিরতির ঘোষণা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন দাবি আদায়ে দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে

ছবি: বার্তা২৪, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন দাবি আদায়ে দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ এর প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ও কর্মকর্তাদের জন্য ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন)-র সুপারিশকৃত অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন। দাবি আদায়ে দুই দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার (১ জুলাই) থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পর্যন্ত দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং আগামী ৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সভাপতি মীর মো. মোর্শেদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩’-এর প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার করা হয়নি বরং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি-পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমরা।

বিজ্ঞাপন

মীর মো. মোর্শেদুর রহমান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিন্ন নীতিমালা সুপারিশ করার আগে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা ও খসড়া উপস্থাপনের আশ্বাস দিয়েছিল; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সব অংশীজনকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে অভিন্ন নীতিমালা সুপারিশ করা হয়েছে। একই দেশে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকতে পারে না।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তাদের যে সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। এটা অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় আমরা কোনো বৈষম্য মেনে নেবো না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আজ অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছে। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের স্বার্থে এসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এসব অযৌক্তিক, সাংঘর্ষিক ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন কর্তৃক দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম হীরার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মো. মাসুদুর রহমান, চুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান চঞ্চল, চট্টগ্রাম অফিসার্স সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদ হাসান নোমানী প্রমুখ।