পেনশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে: অধ্যাপক মোতাহার হোসেন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার, সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকেরা। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানার সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। তবে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজকে ছাত্ররা আন্দোলন করছে, অথচ আপনিই বলেছিলেন, যে কোটা থাকবে না, কিন্তু আবার কেন কোটা ফিরিয়ে আনা হলো? আপনিই বলেছেন, পেনশন সংক্রান্ত কোন ঝামেলা হবে না, কিন্তু কেন শিক্ষকদেরকে এই ধরণের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। একটা কুচক্রী মহল শিক্ষকদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে । দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের দ্রুত ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিন।

আমলারা এই ধরণের স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের অপমানিত করেছে এটা সরকারের বোঝা উচিত মন্তব্য করে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা একটা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। আমি বলতে চাই, শিক্ষকদের এই আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। কেননা এই বাংলাদেশে ৫২ থেকে শুরু করে যত আন্দোলন হয়েছে তা করেছে ছাত্ররা এবং এর পিছনে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। সুতরাং শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছে সেটা কোনো ভালো কিছু না। এমন অর্থমন্ত্রী আমরা চাই না, পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি যেভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে দিলেন এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কখনোই অযৌক্তিক আন্দোলন করে নাই, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমরা প্রাণ দিয়েছি, আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু যারা সর্বোচ্চ প্রশাসনের সাথে রয়েছে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যারা অধ্যাপক রয়েছি আমাদেরকে মারাত্মকভাবে চপেটাঘাত করা হয়েছে। আমরা এই স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, লুৎফর রহমান, শফিক উর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সুব্রত বণিকসহ আরও অনেকে।

রাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশগ্রহণ করবে না শিক্ষক সমিতি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠা লাভ করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সে হিসেবে আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) প্রতিষ্ঠার ৭২ বছরে পদার্পণ করবে প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। 

৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে আনন্দমুখর করে তুলতে নানা কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করায় কর্মসূচিতে অংশ নিবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন রাবি শিক্ষক সমিতি। 

শুক্রবার (০৫ জুলাই) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার।

জানতে চাইলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে না। এটা আমরা উপাচার্যকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কারণ আমরা এখন একটা আন্দোলনের মধ্যে আছি। এই মুহুর্তে কেক কেটে আনন্দ করার মতো পর্যায়ে আমরা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যদি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাহলে করতে পারেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় তো প্রশাসনিকভাবে বন্ধ নেই। তবে শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে না।

তবে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছে তাদের হয়তো একটা যৌক্তিক ব্যাপার থাকতে পারে। এটা তারা গণতান্ত্রিক অধিকারের জায়গা থেকে করতেই পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তো সবার। এই দিনটা আমরা অল্প করে হলেও পালন করব। যেহেতু শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছে, তাই আমরা সেটা বড় করে উদযাপন করছি না। প্রতিষ্ঠানটা সকলের, তাই আমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন স্বল্প সময়ের জন্য হলেও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

;

কোটা ইস্যু: চবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় অর্ধশত ব্যাচ তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাচগুলো হলো: রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ-১ম বর্ষ, স্নাতকোত্তর, সংস্কৃত বিভাগ-৪৬তম ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ-৪১তম ব্যাচ,লোকপ্রশাসন বিভাগ- ৪২তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ ৪৩তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ - ৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ, দর্শন বিভাগ-৫৭তম ব্যাচ,দর্শন বিভাগ-৫৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৮তম, ইতিহাস বিভাগ-৫৬তম ব্যাচ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ-৩৬ তম ব্যাচ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ ১৫তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ ৫৬তম ব্যাচ সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব জানান, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" প্ল্যাটফর্মের আগামী কর্মসূচির সাথে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের "১৫ তম ব্যাচ" একাত্মতা ঘোষণা করছি। কোটা একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি যার মাধ্যমে যোগ্যতা, মেধা এবং পরিশ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। তাই আমরা এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আগে পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না। আগামী রবিবার থেকে যদি শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন শেষ করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করব, আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের কেউ ক্লাসে ফিরবো না এবং কোনোরকম একাডেমিক কার্যক্রমেও অংশ নিবো না। সকলধরণের ক্লাস ও পরীক্ষা আমরা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচ আজকে থেকে বর্জন করছি।

ক্লাস বর্জনকারী বাংলা বিভাগের ৫৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই কোটা সিস্টেম চালু থাকলে চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন কখনো হবে না। তাই আমরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হয় ততদিনে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরব না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিতের রহমান বলেন, আমরা কোটার বৈষম্য চাই না। কোটা দিয়ে কখনো মেধার মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ২নং গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগেও দুই দফায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করেছিল শিক্ষার্থীরা।

;

জবি ছাত্রলীগের 'ঋণাত্মক' অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মদ্যপান, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়সহ সকল ঋণাত্মক অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো এবং সাত দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

কমিটিতে থাকা দুজন সদস্য হলো—বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী।

গত বুধবার জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন চৌধুরী পিংকুর মদপানের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে এই নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

কী কারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেখতে পেয়েছি, বিভিন্ন ঋণাত্মক বিষয় দেখতে পেয়েছি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় শুনেছি। সে অভিযোগ গুলোর সত্যতা কতটুকু তা যাচাই-বাছায়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তের অন্তর্ভুক্ত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উদ্ভূত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

;

কোটা আন্দোলনে ঢাবির অন্যতম সমম্বয়ককে হল থেকে বের করার চেষ্টা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্যতম সমম্বয়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলমকে হল থেকে বের করার চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে অমর একুশে হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে নানা স্লোগান দেন।

সারজিস আলম জানান, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের হল শাখার কয়েকজন পদপ্রার্থী সারজিসের এক রুমমেটকে ডেকে হল থেকে নেমে যাওয়ার কথা জানান। বিষয়টি জানার পর তিনি পদপ্রার্থীদের সাথে টিএসসিতে দেখা করেন এবং তথ্যের সত্যতা জানতে চান। ছাত্রলীগের পদপ্রার্থীরা তাকে জানান, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাদেরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চলমান আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে হল থেকে নেমে যাওয়াকে ভালো মনে করি। কিন্তু আমি হল থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা আমাকে হলের সামনে আটকে দেয়।

এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ তাকে অভয় দিয়ে হলে থাকতে বলেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, পরে জানতে পেরেছি ছাত্রলীগের হাইকমান্ড থেকে এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। হল পদপ্রার্থীরা 'কৃতিত্ব' পাওয়ার জন্য এমন কাজ করেছে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানের প্রতিনিধিরা আমার সাথে দেখা করেছে। যারা আমাকে নেমে যেতে বলেছে, তারা পরে ক্ষমা চেয়েছে।

হলের কোন পদপ্রার্থীরা তাকে নেমে যেতে বলেছেন, তা সারজিস জানাননি।

তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দামের হোসেনের অনুসারী পদপ্রত্যাশীরা তাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, সারজিসকে নেমে যাওয়ার নির্দেশের তথ্যে হলের মূল ফটকে অন্তত পাঁচশ শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে পুরো ঘটনা জানালে তারা রাত ১টা নাগাদ স্থান ত্যাগ করেন।

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ জানান, এটি একটি অপতথ্য ছিল। আমি ভেবেছিলাম শিক্ষাথীদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়েছে। পরে দেখি, এমন কোনো পরিস্থিতি নয়। যারা সারজিসকে হল ছাড়ার কথা বলেছে, তাদের সাথে তার মীমাংসা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুরো ঘটনা না জেনেই অবস্থান নিয়েছে।

;