কুবিতে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও নামফলক ভাঙচুর
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবির রহমানের ভাস্কর্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের খবর গণমাধ্যমে আসলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেল, ট্রাক নিয়ে মিছিল করতে করতে আসে স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের দেখা যায়।
তারা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও নামফলক ভাঙচুর করে। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের অংশ পায়রা ভেঙে ফেলে। এছাড়া ভাস্কর্যের গলায় জুতার মালা ঝুলানো হয় এবং গলায় ফাঁসির দড়ি স্বরূপ দড়ি ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত ভাস্কর্যটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভাস্কর্যটি ভাঙা যায়নি।
এছাড়া ছাত্রদল নেতাদের উপস্থিতিতে একটি মিছিল বের করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে। সেই মিছিল শহীদ মিনার হয়ে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এসে ভাঙে। এ সময় মাটির সাথে পানি মিশিয়ে কাদা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে ফেলা হয়। পরবর্তীতে মধ্যরাতে হলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্প্রে দিয়ে হলটির নামের উপর 'বিজয় ২৪' লেখা হয়েছে।
এছাড়াও ছাত্রদলের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোরমেটোরিতে তল্লাশি চালান সেকশন অফিসার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম মাজেদকে মারার জন্য। তবে পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন রেজাউল ইসলাম মাজেদ অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করেছে।
এ ব্যাপারে ছাত্রদল আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সাথে অনেকেই ঢুকেছিল। এখন কে বা কারা এসব ভাঙচুর করেছে সেটা বলতে পারছি না। আমরা চাই, আমাদের কেউ যাতে এই কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না থাকুক।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ' আমি শুনেছি কিছু বহিরাগত লোক এসব ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকল পক্ষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।'