বিচারপতির পদত্যাগ ও ক্যাম্পাসে অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

দলীয় লেজুড়বৃত্তির বিচার ব্যবস্থাকে রুখে দিতে বিচারপতিদের অপসারণ এবং ক্যাম্পাসে অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও পথসভা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর পোনে ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়ে এই কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা৷ এসময় একটি মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে যেয়ে এক সমাবেশের রূপ নেয়।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘অবৈধ বিচারপতি, মানি না মানবো না’, ‘স্বৈরাচারের বিচারপতি, মানিনা মানবো না’, ‘হাসিনার প্রেতাত্মাকে, মানি না মানবো না’, ‘ছাত্রলীগের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধা’, ‘হাসিনার দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রশাসনের ভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের অপচেষ্টার কারণে বিচার বিভাগ একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যখন বিচারপতি এসকে সিনহাকে সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেওয়ায় ন্যাক্কারজনক ভাবে দেশ ছাড়া করা হয় তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে বিচার বিভাগ আর স্বাধীন নেই। এছাড়াও, এই বিচারপতি নিয়োগ করার পরে ছাত্রলীগের দালালেরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তাই আমাদের আর কিছু বোঝার বাকী থাকে না।

বিজ্ঞাপন

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রশাসনহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের শেষ দিন থেকে আজ পর্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও নিরাপত্তা রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কার্যক্রমকে ২৪ এর পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দোসররা মেনে নিতে পারছে না। আমাদের দাবির মুখে ইতোমধ্যেই প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে আমাদের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে আমরা প্রস্তুত। এখন ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গুজব, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, আপনারা এসবের কান দিবেন না।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।