আর্থিক অসচ্ছলতায় বন্ধের পথে জবি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা
-
-
|
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=1280&quality=75&type=webp&path=uploads/news/2024/Dec/19/1734547755359.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর আর্থিক সংকটে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর্থিক সংকটের কারণে ক্লাস বন্ধ রেখে গ্রামে অবস্থান করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী জানান, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়াতে ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্টে লেখাপড়া করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। আমি এসএসসিতে ৩.৩৩ ও এইচএসসিতে ৪.৮৩ অর্জন করেছিলাম। ২০২২ সালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ঢাবি বি ইউনিটে ৪৭৬৭ তম, রাবিতে ২৩১০ তম হই কিন্তু পছন্দের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারি নাই।
সে আরও বলেন, প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় বার গুচ্ছে পরীক্ষা দিয়ে ২৪৪৯ তম হই। ঢাকাতে থাকার স্বপ্ন ছিলো অনেক। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। একটি মেসে সিট গ্রহণ করি। বলা বাহুল্য যে আমি একজন রক্তশূন্যতার রোগী যার কারণে আমাকে প্রতিমাসে ৬-৭ হাজার টাকার ওষুধ খেতে হয়। যার কারণে ঢাকায় থাকা খাওয়া,মেস ভাড়া, অনেক খুঁজেও টিউশন না পাওয়া সব মিলিয়ে আমি এবং আমার ফ্যালিমি চরম হতাশায় পড়ে যায়। আমার পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং আমার ফ্যামিলি আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে না পেরে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। সামনে আমার মিড টার্ম পরীক্ষা অথচ আমি একদিন ও ক্লাস করতে পারি নি। তাই আমি কোন উপায় না পেয়ে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি। আপনারা আমার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টি থেকে বিবেচনা করে আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে আমাকে সাহায্য করলে আমি আপনাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকিব।
জবি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান বলেন, সরাসরি অর্থ দিয়ে সহযোগিতার কোনো সুযোগ নেই। তবে দরখাস্তের মাধ্যমে তার বিভাগে পরীক্ষার ফি আপাতত না দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে। পরবর্তীতে তার শিক্ষা বৃত্তির টাকা থেকে কেটে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আর্থিক সংকটের কারণে প্রথম মিড টার্ম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ জবি শিক্ষার্থী।