কুবিতে গুচ্ছ পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলে অবস্থান কর্মসূচি

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে দাবিগুলো জানায় দুইটি পক্ষ। এরপর দুটি পক্ষের সাথেই আলোচনায় বসেন উপাচার্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের সামনে এবং গোলচত্ত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সমন্বয়করা প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়া, পোষ্য কোটা বাতিল করা, দ্রুত ছাত্রসংসদ কার্যকর করা, ভর্তি আবেদন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, অল্প সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা, ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরগুলোতে নেওয়া, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে হলের আসনবন্টন।

বিজ্ঞাপন

এসময় সমন্বয়ক মো. পাভেল রানা বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে স্মারক লিপি জমা দিয়েছিলাম যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে না থাকে এবং পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করে। আমাদের ২৪ এর যে অভ্যুত্থান ছিল তা ছিল মূলত কোটা প্রথার বিরুদ্ধে এবং তা পরবর্তীতে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। যেহেতু কোটা বাতিল ছিল তাই কোনো ধরনের কোটা এই ক্যাম্পাসে থাকবে না। আমরা চাই যে এই কুবি ক্যাম্পাস পোষ্য কোটামুক্ত হবে। আমরা কোটার জন্য জীবন দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবির বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে, নাকি থাকবে না সেটা পরিষ্কার করে বলা এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া।’

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে উপাচার্য তাদের সাথে আলোচনায় বসেন।

আলোচনায় স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি নিজেও চাই না গুচ্ছে থাকতে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় চারটি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পরেও আমি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, একাডেমিক কাউন্সিলে মিটিং করব। সেখানেই গুচ্ছের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে তিনি জানান, ‘এটা সাধারণ সিটের অন্তর্ভুক্ত না। সাধারণ সিটের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে প্রতিটি বিভাগে দুইটি করে পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। তারপরেও এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিব।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, কুবি গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিবে। পরবর্তীতে গতকাল ৪ জানুয়ারি দ্রুত গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।