চবিতে শুরু হচ্ছে ৯ম প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন

  • চবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার (সিইউমুনা) উদ্যোগে ৯ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকী জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২৫। আগামী ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি চলবে এই সম্মেলন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আয়োজকবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব ইশফাকুল কবির আসিফ, উপ-মহাসচিব রেহনুমা তাবাসসুম ও মহাপরিচালক নাজমুস সাকিব নুহাশ এবং চীফ অব স্টাফ আবদুল্লাহ আল মুহাইমিন।

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ১৫ জানুয়ারি দুপুর দুইটায় অনুষ্ঠিত হবে। এবং সমাপনী অনুষ্ঠান সংঘটিত হবে ১৮ জানুয়ারি দুপুর দুইটায়।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য ড মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও ড মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আমাদের এডভাইসর প্রফেসর ড. আমির মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম।

এবারের সম্মেলনে নেপাল, মালয়েশিয়া, ক্যামেরুন সহ দেশ বিদেশের ৪০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

'অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক অগ্রগতির জন্য যুব নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী উদ্ভাবনের প্রসার' এই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে আয়োজিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রসিদ্ধ এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি। সম্মেলনে এবার থাকছে ১০টি কমিটি। কমিটিগুলো হলো, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি), জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ-১ (ডাইসেক), জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি), বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা (ডাব্লিউআইপিও), জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনআইডিও), জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি), জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আইপি) এবং অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকার।

তরুণ শিক্ষার্থীরা এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ১০টি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, কূটনীতি পরিচালন ও দলবদ্ধভাবে কাজ করবে। প্রতিনিধিগণ উপযুক্ত উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজে উন্নতি সাধন এবং সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতির বিস্তার ও বিকাশে সম্ভাব্য বাধা উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সময়োপযোগী সমাধান নিরূপণ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যক্তি বা দলগত পর্যায়ে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা হিসেবে থাকছে, বেস্ট ডেলিগেট, আউটস্ট্যান্ডিং ডেলিগেট, স্পেশাল মেনশন ১ এবং স্পেশাল মেনশন ২ পুরস্কার।